স্কুল থেকে ফেরার সময় প্রকাশ্যে এক ছাত্রীর পথ আটকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়িতে। মঙ্গলবার বিকেলে হাকিমপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে।
রিকশায় চেপে বাড়ি ফেরার সময়ে তিন ছাত্র বাইকে চেপে এসে ওই ছাত্রীর পথ আটকে দাঁড়ায় বলে অভিযোগ। সে সময় ওই রিকশা চালক চিত্কার শুরু করলে, এলাকার বাসিন্দারা জড়ো হয়ে যান। ঘটনাচক্রে, সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার কার্যকরী সভাপতি নান্টু পাল। তিনি সেখানে দাঁড়ান। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত তিন ছাত্র পালিয়ে যায়। যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের বাড়ি। খবর যায় তাঁর কাছেও। ভিড় দেখে ঘটনাস্থলে চলে যান মন্ত্রীও।
বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ানোয় শিলিগুড়ি থানার আইসি অচিন্ত্য গুপ্ত, এসিপি (পূর্ব) পিনাকী মজুমদারও ঘটনাস্থলে যান। ছাত্রীকে নিরাপত্তা দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেয় পুলিশ অফিসাররা। অভিযুক্ত তিন ছাত্রের মধ্যে একজন ছাত্রীর পরিচিত বলে পুলিশ জানতে পারে। ছাত্রীর বয়ান অনুযায়ী দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছাত্রদের মোবাইল এবং মোটরবাইকও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।
ঘটনার পরে, এক ছাত্রীকে অপহরণ করার চেষ্টা হয়েছে বলে চাউর হয়ে যাওয়াতে গোটা এলাকাতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গৌতমবাবু বলেন, “খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে গিয়েছিলাম। যাই হোক পুলিশ গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখুক। অভিভাবকদের আশ্বস্ত করতে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে এক অভিযুক্তের জানাশোনা ছিল। মোবাইলে দু’জনের নিজস্বী ছবিও খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। ওই অভিযুক্ত শহরের একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃত অন্য অভিযুক্ত একাদশ শ্রেণির ছাত্র। এ দিনের ঘটনা নিয়ে ছাত্রীটি বা অভিযুক্ত কোন পরিবারের তরফেই মন্তব্য করতে চাওয়া হয়নি। এসিপি বলেন, “দু’জন গ্রেফতার হয়েছে।”
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার কিছু আগেও ছাত্রী এবং অভিযুক্তের মধ্যে এসএমএস চালাচালি হয়েছে। স্কুলের পুলকার না আসায় রিকশায় যাতায়াত করবে তাও এসএমএসে জানানো হয় বলে পুলিশের দাবি। সব তথ্য জেনেই অভিযুক্ত ছাত্র দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ছাত্রীর ফেরার পথ আগলে দাঁড়ায় বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন বিকেলে স্কুল ছুটি হওয়ার পর দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর পথ আগলে দাঁড়ায় তিন স্কুল পড়ুয়া। অভিযোগ সে সময়ে, ছাত্রীকে কিছু বলার চেষ্টা করতে থাকে অভিযুক্তরা। সে সময়ই রিকশা চালক চিত্কার করতে শুরু করেন বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy