Advertisement
১১ মে ২০২৪

ফাঁড়ি ভাঙচুর, তৃণমূল নেতাকে ধরেও ছাড়

ফের তৃণমূলের নিশানায় পুলিশ। বোলপুর-আলিপুর-নোয়াপাড়ার পর এ বার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের রামগঞ্জ ফাঁড়ি। বুধবার রাতে এক অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে নিতে উত্তর ২৪ পরগনার নোয়াপাড়া থানায় ভাঙচুর চালিয়েও রেহাই পান তৃণমূল পরিচালিত গারুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ও তাঁর দাদা।

ভাঙচুরের পর। ছবি: অভিজিৎ পাল।

ভাঙচুরের পর। ছবি: অভিজিৎ পাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইসলামপুর শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৫৬
Share: Save:

ফের তৃণমূলের নিশানায় পুলিশ। বোলপুর-আলিপুর-নোয়াপাড়ার পর এ বার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের রামগঞ্জ ফাঁড়ি।

বুধবার রাতে এক অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে নিতে উত্তর ২৪ পরগনার নোয়াপাড়া থানায় ভাঙচুর চালিয়েও রেহাই পান তৃণমূল পরিচালিত গারুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ও তাঁর দাদা। আর বৃহস্পতিবার রাতে রামগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে জেরার জন্য আটক করে ছেড়ে দেওয়ায় বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, “বোলপুর, আলিপুর, ইসলামপুর সর্বত্রই পুলিশের উপর হামলা হচ্ছে নবান্নের নির্দেশে। পুলিশ আক্রান্ত হলে জনতার নিরাপত্তার যে কী দশা, তা সহজেই অনুমেয়! ইসলামপুরের ঘটনা ফের দেখাল, রাজ্যে তৃণমূলের গুন্ডারাজই শেষ কথা।”

বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামপুর থানার রামগঞ্জে লটারির দোকানে জুয়া খেলার অভিযোগ ঘিরে ঝামেলার শুরু। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার ছাত্রদের একাংশ ও কিছু ব্যবসায়ী এই দোকানগুলি থেকে নিয়মিত টিকিট কেনেন। তা নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে বৃহস্পতিবার। এক দল যুবক একাধিক দোকানে ভাঙচুর চালায়। পুলিশ পৌঁছালে শুরু হয় বিক্ষোভ। লটারি বিক্রেতাদের পক্ষ নিয়ে একদল যুবক রামগঞ্জ ফাঁড়ি আক্রমণ করে। অভিযোগ, হামলার নেতৃত্বে ছিলেন ইসলামপুরের তৃণমূল নেতা ইদ্রিশ আলম। ফাঁড়িতে এক কনস্টেবল ও দুই জন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। জনতা তাঁদের ধাক্কা দিয়ে ঢুকে ঘরের ফাঁড়ির চেয়ার, বেঞ্চ বের করে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ইদ্রিশকে পুলিশ ধরে নিয়ে এলেও শুক্রবার গ্রেফতার না করেই তাঁকে ছাড়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের অভিযোগে ওই তৃণমূল নেতার নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ছাড়ায় পুলিশের একাংশে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এসপি সৈয়দ ওয়াকার রেজার দাবি, “ওই ব্যক্তি অসুস্থ। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফাঁড়িতে হামলা ও রামগঞ্জ বাজারের ঝামেলায় ১৭ জনকে ধরা হয়েছে।” তবে ইদ্রিশের নাম এফআইআরে আছে বলে জানান এসপি। ইদ্রিশের বক্তব্য, “পুলিশ বুঝেছে আমি জড়িত নই। তাই ছেড়ে দিয়েছে।”

বিরোধীরা বলছেন, এমন নতুন নয়। গত বছর বোলপুর থানায় পুলিশ পেটানোয় অভিযুক্ত বীরভূমের যুব তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ আজও অধরা। অধরা আলিপুর থানায় হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতারাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

islampur tmc rampage
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE