Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

বইমেলায় স্টল তৈরি হচ্ছে দ্বিতীয় দিনেও

কোচবিহার বইমেলা দ্বিতীয় দিনে পড়ল মঙ্গলবার। তবুও স্টল তৈরির কাজ পুরোপুরি সম্পূর্ণ হয়নি। কিছু প্রকাশনী সংস্থা বই সাজিয়ে রাখার কাজই শুরু করতে পারেনি। মেলা চত্বরে বৈদ্যুতিক আলোকস্তম্ভ বসানোর কাজও চলছে। ৫ জানুয়ারি সোমবার রাসমেলা ময়দানে ওই বইমেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

এখনও বইয়ের পসরা ঠিকমতো সাজাতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার কোচবিহার বইমেলায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

এখনও বইয়ের পসরা ঠিকমতো সাজাতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার কোচবিহার বইমেলায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:৪৮
Share: Save:

কোচবিহার বইমেলা দ্বিতীয় দিনে পড়ল মঙ্গলবার। তবুও স্টল তৈরির কাজ পুরোপুরি সম্পূর্ণ হয়নি। কিছু প্রকাশনী সংস্থা বই সাজিয়ে রাখার কাজই শুরু করতে পারেনি। মেলা চত্বরে বৈদ্যুতিক আলোকস্তম্ভ বসানোর কাজও চলছে। ৫ জানুয়ারি সোমবার রাসমেলা ময়দানে ওই বইমেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

উদ্যোক্তারা জানান, ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত বইমেলা চলবে। প্রতিদিন দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বইমেলা খোলা থাকবে। প্রবেশ মূল্য গতবারের মত এবারেও মাথাপিছু ৩ টাকা ধার্য করা হয়েছে। তবে ছাত্র-ছাত্রীরা পরিচয়পত্র দেখালে প্রবেশ মূল্য ছাড়াই মেলা চত্বরে যাতায়াত করতে পারবে। মঙ্গলবার বইমেলার দ্বিতীয় দিনেও সমস্ত স্টল তৈরির কাজ অবশ্য সম্পূর্ণ হয়নি। উদ্বোধনের দিন ১১০টি প্রকাশনী সংস্থার মধ্যে অন্তত ২০ শতাংশ সংস্থা উদ্বোধন পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “তুমুল বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য মেলার স্টল তৈরির কাজ ব্যাহত হয়। তা ছাড়া উত্তরবঙ্গে আরও দুটি জেলার বইমেলা চলছে। ফলে কিছু প্রকাশনী সংস্থার লোকেরা উদ্বোধনের দিন লোকেরা সমস্ত সম্ভার নিয়ে পৌঁছতে পারেননি।” উদ্যোক্তাদের আশা, রেকর্ড পরিমাণ বই বিক্রি হবে।

জেলা বইমেলা কমিটি সূত্রেই জানা গিয়েছে, গতবারের চেয়ে মেলায় স্টলের সংখ্যা বেড়েছে। গতবার ১১৫টি স্টল হয়েছিল। এবার ১৪১টি স্টল তৈরি করা হচ্ছে। বইমেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় অবশ্য বলেন, “উদ্বোধন অনুষ্ঠান চলাকালীন ১২১টি স্টল তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়। বাকি কয়েকটি স্টলের কাজ রাতেই মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার দুএকটি ক্ষেত্রে বাড়তি কোনও পরিকাঠামো তৈরির কাজ হয়ে থাকতে পারে। উদ্বেগের কিছু নেই ভিড় ও বিক্রি হবেই।’’

মেলার আয়োজকদের ওই আশ্বাসে অবশ্য খুশি নয় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনী সংস্থার কর্তাদের অনেকেই কলকাতার একটি প্রকাশনী সংস্থার কর্তা সঞ্জয় সাহা বলেন, “বই সাজিয়ে রাখার পুরো সামগ্রী প্রথম দিন পাইনি মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন সেসব পেলেও সাজাতে গোছাতে কেটে যায়।” উত্তরবঙ্গের এক প্রকাশনী সংস্থার কর্তা চন্দন কুমারের বক্তব্য, “জলপাইগুড়ি জেলা বইমেলা শেষের দিন কোচবিহারে উদ্বোধন হল। ফলে ওই দিন স্টল চালু করা সম্ভব হয়নি। আয়োজকরা দিনক্ষণ ঠিক করার আগে সতর্ক থাকলে হেনস্থা হতো না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

cooch behar book fair
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE