হাইকোর্টের নির্দেশ হাতে নিয়ে দফতরে পৌঁছেও গত সোমবার কোনও আধিকারিকদের ডেকে দেখা পাননি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শুভাশিস পাল ওরফে সোনা। মঙ্গলবার অবশ্য বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা সোনাবাবুর সঙ্গে বৈঠকে বসেন জেলা পরিষদের বাস্তুকারেরা। জেলার বিভিন্ন রাস্তা এবং পূর্ত দফতরের প্রকল্পের কাজের পর্যালোচনা হয় বৈঠকে।
দল বিরোধী কাজের অভিযোগে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পরে গত ৩ জানুয়ারি তলবি সভা ডেকে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে সোনাবাবুকে অপসারণ করে বোর্ডের ক্ষমতাসীন তৃণমূল সদস্যরা। এর পরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বহিষ্কৃত নেতা। হাইকোর্ট অনাস্থা প্রস্তাবের উপর স্থগিতাদেশ জারি করায়, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে কাজ চালাতে সোনা পালের কোনও বাধা রইল না বলে দাবি করা হয়। সেই মতো গত সোমবার হাইকোর্টের নির্দেশ হাতে নিয়ে তিনি জেলা পরিষদে আসেন। যদিও বৈঠকের জন্য বাস্তুকারদের ডাকলেও সে দিন কোনও সাড়া মেলেনি। হাইকোর্টের নির্দেশে তিনি পদে বহাল হওয়ায় পুরো বিষয়টি হাইকোর্টকে লিখিত ভাবে জানাবেন বলে সোনা পাল জানিয়ে দেন। সেই সঙ্গে বাস্তুকার এবং আধিকারিকদের লিখিত ভাবে বৈঠকের কথা জানাবেন বলেও ঘোষণা করেন। এরপরেই বাস্তুকার এবং আধিকারিকরা বৈঠকে আর আপত্তি করেননি।
এ দিন সোনা পাল দফতরে আসার পরে, জেলা পরিষদের নির্বাহী বাস্তুকার বিকাশ সরকার বৈঠকের জন্য বার্তা পাঠান। দুপুর ১টা নাগাদ জেলা পরিষদের নির্বাহী বাস্তুকারের সঙ্গে সোনা পালের বৈঠক হয়। বৈঠকে রাস্তা, সেতু, ভবন, কালভার্টের মতো চালু কাজের বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। চলতি প্রকল্পগুলি সরেজমিনে পরিদর্শনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
দল থেকে বহিষ্কার এবং পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারণের প্রক্রিয়ার জন্য দীর্ঘদিন সোনাবাবু জেলা পরিষদে আসেননি। এ দিন তিনি বলেন, “ইতিমধ্যে কাজের অগ্রগতি কী হয়েছে, সব দেখা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy