Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

যন্ত্র এনেও ভোল বদলায়নি শহরের

শহর পরিষ্কার করার জন্য অন্তত ৭ কোটি টাকা দিয়ে আনা হয়েছে ৩টি আধুনিক যন্ত্র, ১৬ টি ময়লা ফেরার গাড়ি। বিভিন্ন মোড়ে বসানো হয়েছে রঙচঙে বড় আকারের ভ্যাটও। তবু শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন গলির রাস্তায় জঞ্জাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার দৃশ্য বদলায়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। মঙ্গলবারও শহরের রাজা রামমোহন রায় রোড, হায়দারপাড়া বাজার, চার্চ রোড, মহানন্দা পাড়া, খালপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় জঞ্জালের স্তূপ জমে থাকতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৫ ০২:৪৩
Share: Save:

শহর পরিষ্কার করার জন্য অন্তত ৭ কোটি টাকা দিয়ে আনা হয়েছে ৩টি আধুনিক যন্ত্র, ১৬ টি ময়লা ফেরার গাড়ি। বিভিন্ন মোড়ে বসানো হয়েছে রঙচঙে বড় আকারের ভ্যাটও। তবু শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন গলির রাস্তায় জঞ্জাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার দৃশ্য বদলায়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। মঙ্গলবারও শহরের রাজা রামমোহন রায় রোড, হায়দারপাড়া বাজার, চার্চ রোড, মহানন্দা পাড়া, খালপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় জঞ্জালের স্তূপ জমে থাকতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। জঞ্জাল নজরে এসেছে বর্ধমান রোডের একপাশেও।

শহরের গলির রাস্তাতে জঞ্জাল চোখে পড়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবেরও। এ বিষয়ে পুরকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশও মন্ত্রী দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। মন্ত্রীর কথায়, “আগের তুলনায় পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। বেশিরভাগ এলাকাতেই নিয়মিত সাফাই হচ্ছে। তবে দু’একটা এলাকায় কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলির ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে কিছুদিন সময় লাগবে।” মন্ত্রীর দাবি, এ দিন-ই তিনি পুর আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে জঞ্জাল অপসারণ এবং বিভিন্ন এলাকায় নষ্ট হয়ে থাকা পথবাতি মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন।

যদিও বিরোধীদের দাবি, শহরের সব ওয়ার্ডে নতুন যন্ত্র তথা অত্যাধুনিক গাড়ি দিয়ে সাফাই হচ্ছে না। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলেছেন বিরোধী কাউন্সিলররা। তবে পুরসভার তরফে দাবি করা হয়েছে, শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই কম্প্যাক্টর যন্ত্রের সাহায্যে সাফাই চলছে। দ্রুত আরও একটি কম্প্যাক্টর, ড্রোজার পুর কর্তৃপক্ষের হাতে আসার কথা রয়েছে। আপাতত যে তিনটি কম্প্যাক্টর আনা হয়েছে তার সাহায্যে ময়লা গাড়িতে তুলে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। শিলিগুড়ির পুর কমিশনার সোনম ওয়াদি ভূটিয়ার কথায়, “যন্ত্রগুলি সবেমাত্র আনা হয়েছে। কর্মীদের প্রশিক্ষণের কাজ চলছে। পুরো মাত্রায় পরিষেবা দেওয়ার বিষয়টি গুছিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগছে। তবে সব ওয়ার্ডেই নজরদারি রয়েছে।”

দীর্ঘদিন ধরেই জঞ্জাল অপসারণ নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। শহরের গলির রাস্তাগুলি থেকে এখনও নিয়মিত জঞ্জাল অপসারণ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। নতুন যন্ত্র আসার পরে কিছু রাস্তায় এখনও পর্যন্ত কম্প্যাক্টর চোখেই পড়েনি বলে অভিযোগ। নতুন ভ্যাট বসানো হলেও সেবক রোডের কয়েকটি এলাকায় দু’তিন দিন পরে পরিষ্কার হচ্ছে বলে অভিযোগ। ততদিনে, ভ্যাট উপচে ময়লা রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লেও পুর কর্মীদের দেখা মেলে না বলে অভিযোগ। বর্ধমান রোডে বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকাতেও একই ঘটনা ঘটে চলেছে বলে দাবি। শহরের প্রাক্তন বাম কাউন্সিলর কমল অগ্রবালের অভিযোগ, “নতুন যন্ত্র নিয়ে এসে সাফাই পরিষেবা দেওয়ার ঘোষণা হয়েছে, কিন্তু আমার এলাকায় একদিনও সে সব যন্ত্র দিয়ে সাফাই হয়নি। বেছে বেছে বিশেষ কিছু এলাকায় সাফাই চলছে। জঞ্জাল সাফাই নিয়েও পক্ষপাতিত্ব চলছে।”

পুর কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, সব ওয়ার্ডেই পালা করে যন্ত্রের সাহায্যে সাফাই চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

cleaning machine garbage siliguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE