মুখোমুখি: পুরুলিয়া বেলগুমা পুলিশ লাইনে। —নিজস্ব চিত্র।
ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ সীমানা লাগোয়া এলাকার জঙ্গলে ফের মাওবাদীরা ঘাঁটি গাড়ছে কিনা, খতিয়ে দেখতে দুই রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের একটি সমন্বয় বৈঠক হল পুরুলিয়ায়। মঙ্গলবার ওই বৈঠকে দুই রাজ্যের পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন নাগাল্যান্ড আর্মড পুলিশের কমান্ডিং অফিসার এবং সিআরপি-র একাধিক ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসার।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, বাংলার সীমানা লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে গত ৯ জুন যৌথবাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের গালুডির জঙ্গলে মাওবাদীদের একটি শিবির রয়েছে, এই খবরের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী ওই জঙ্গলে অপারেশন চালায়।
বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াইয়ের পর মাওবাদীরা জঙ্গলে গা ঢাকা দেয়। বাহিনীর কাছে খবর ছিল, এই শিবিরে মাওবাদীদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক অসীম মণ্ডল ওরফে আকাশ এবং মদন মাহাতো ছিল। যদিও বাহিনী ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়েও মাওবাদী শীর্ষ নেতাদের কারও নাগালই পায়নি।
পুলিশের দাবি, মাওবাদীদের শিবির থেকে একটি একে-৪৭, ওয়াকিটকি, ৯ এমএম পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
বান্দোয়ানের ফুলঝোর এলাকার সীমানা থেকে গালুডির ওই জঙ্গলের দূরত্ব থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার। স্বাভাবিক ভাবেই এ দিনের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ ওঠে। বৈঠক শেষে রাজ্য পুলিশের আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) রাজীব মিশ্র বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে মাওবাদীদের কিছু কার্যকলাপ থাকলেও এ দিকে তেমন গতিবিধি নজরে আসেনি। আমাদের রাজ্যে যে শান্তি রয়েছে, তা রক্ষায় আমরা সতর্ক নজর রেখেছি।’’ বৈঠকের আলোচনা নিয়ে অবশ্য তিনি বিশদে কিছু জানাননি।
সূত্রের খবর, মাওবাদীদের গতিবিধির খবর পাওয়া গেলে দুই রাজ্যের পুলিশ ও যৌথবাহিনী সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাতে দ্রুত কাজ করতে পারে এবং কী ভাবে দু’রাজ্যের পুলিশের তথ্য আদানপ্রদান করা হবে, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আইজি-র দাবি, এটি রুটিন বৈঠক। জঙ্গলমহলে এখন যৌথবাহিনী থাকা প্রয়োজন কিনা, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের কোনও প্রতিক্রিয়া তাঁর কাছ থেকে মেলেনি। ঝাড়খন্ডের ডিআইজি (বোকারো) প্রভাত কুমার বৈঠকে হাজির থাকলেও কয়েকটি জেলার পুলিশ সুপারেরা অবশ্য গরহাজির ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy