প্রতীকী ছবি।
শহরে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে কন্টেনমেন্ট এলাকা ও পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক নিভৃতবাস কেন্দ্র। গৃহ-নিভৃতবাসেও আছেন অনেক শ্রমিক। সেই সব এলাকায় নিয়ম মানা হচ্ছে কি না তা দেখতে পরিযায়ী শ্রমিকদের সরকারি নিভৃতবাস কেন্দ্র ও তাঁদের বাড়ির এলাকাতেও ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালাল প্রশাসন।
বুধবার রামপুরহাট ১ ব্লকের কন্টেনমেন্ট এলাকা রামপুরহাট পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং দখলবাটি পঞ্চায়েতের শেরপুর গ্রামে ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে কন্টেনমেণ্ট এলাকা-সহ পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সরকারি নিভৃতবাস গুলির পরিস্থিতি কীরকম, সঠিক ভাবে গৃহ নিভৃতবাসের নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে কি না এ সমস্ত কিছুই ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করা হচ্ছে। রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও দীপান্বিতা বর্মণ জানান, ২৫ মে পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্দেশে রামপুরহাট পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং রামপুরহাট থানার শেরপুর এলাকা কন্টেনমেন্ট এলাকা ঘোষিত হয়। পরবর্তীতে এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য কন্টেনমেণ্ট এলাকা বাড়ানো হয়েছে।
রামপুরহাট শহরে নতুন আরও একজন করোনা আক্রান্তর হদিস মিলেছে। এই নিয়ে শহরে করোনা আক্রান্ত বেড়ে ৩ জন হল। মঙ্গলবার রাতে রামপুরহাট পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত ১৩ বছরের এক কিশোরী করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসে পৌঁছায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ৩১ মে করোনা ওই কিশোরীর বাবার লালারসের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ মিলেছিল। কিশোরীর বাবা দিল্লিতে দর্জির কাজ করতেন। ২৫ মে রামপুরহাটে বাড়ি ফিরেছিলেন তিিন। তাঁর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় স্বাস্থ্য দফতর ওই পরিবারের ১১ জন সদস্যের লালারস নমুনা সংগ্রহ করে। সকলকেই রামপুরহাট শহরের দুটি প্রাতিষ্ঠানিক সরকারী নিভৃতবাসে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মঙ্গলবার ওই আক্রান্তের ১৩ বছরের মেয়ের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরে স্বাস্থ্য দফতর ওই কিশোরীকে রামপুরহাটের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ, রামপুরহাট শহর ও আশপাশ এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে সচেতনতা বোধ খুবই কম। শহরের মধ্যে টোটোতে কোনওরকম স্বাস্থ্য বিধি ছাড়া গাদাগাদি করে যাত্রী বহন চলছে। তিন চার জন যাত্রী একসঙ্গে বাইকে বিনা মাস্কে ঘোরাঘুরি করছেন। হাটে বাজার দোকানে কোনওরকম পারস্পরিক দূরত্ব মেনে চলা হচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy