Advertisement
১১ মে ২০২৪

মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে পৌঁছে গেল ট্যাব

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দুটি স্বাস্থ্য জেলা রামপুরহাট ও বীরভূমের মোট ৪৮৪টি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে ট্যাব পৌঁছেছে দিন কয়েক আগেই।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবাকে প্রযুক্তি নির্ভর করার দিকে এগোল স্বাস্থ্য দফতর। জেলার প্রতিটি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী বা এএনএমদের হাতে পৌঁছল ট্যাব।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দুটি স্বাস্থ্য জেলা রামপুরহাট ও বীরভূমের মোট ৪৮৪টি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে ট্যাব পৌঁছেছে দিন কয়েক আগেই। তার মধ্যে বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায় ২৭৭ জন এএনএম বা মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।

স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের ‘পেপার ওয়ার্ক’ কমানো বা পেপারলেস উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা এর প্রথম কারণ। দ্বিতীয় কারণ হল, গ্রামীণ এলাকায় যে স্বাস্থ্য পরিষেবা এএনএমরা দেন, সঙ্গে সঙ্গে সেই তথ্য তাঁরা আপলোড করলে সমস্ত হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পৌঁছে যাবে নিমেষে। বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য অধিকর্তা হিমাদ্রি আড়ি জানান, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে প্রযুক্তি নির্ভর করতেই এমন ভাবনা।

মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ গ্রামীণ এলাকায় তৃণমূলস্তরে নানা ধরণের স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেন এএনএমরা। কে কোনও পরিষেবা পাচ্ছেন, ট্যাবের মাধ্যমে প্রকৃত সময়ে সেটা জানা সম্ভব।জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বোঝালেন, কোনও একটা উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র এলাকায় এক জন মহিলাকে গর্ভকালীন কী কী পরিষেবা দেওয়া হল, কোথায় পাঠানো হল সে সবই এখন ট্যাবে উঠবে। একই ভাবে কুষ্ঠ বা যক্ষ্মারোগী ওষুধ খেয়েছে কি না, জানা যাবে নিমেষে। ট্যাবে সমস্ত তথ্য পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সফটওয়ার ডেভলপ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেটা লোড করে ইন্টারনেট যুক্ত ট্যাব থেকে তথ্য পাওয়া সহজ হবে।

তবে এএমএমদের ট্যাব দেওয়া হলেও নির্দিষ্ট সফটওয়ার বা সেটা চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়নি। হিমাদ্রি আড়ি বলছেন, ‘‘খুব শীঘ্রই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হচ্ছে। যে এলাকায় যে মোবাইল পরিষেবা সংস্থার নেটওয়ার্ক ভাল, সেই সংস্থার সিম কিনতে বলা হয়েছে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের। সিম কেনার টাকাও দেওয়া হবে।’’

মা ও শিশুদের মৃত্যুর হার কমানো থেকে শিশুদের টিকাকরণ কর্মসূচি সফল করার পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে এএনএনদেরই। কেননা গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী মহিলাদের দেখভালের দায়িত্ব তাঁদেরই হাতে। শিশুদের টিকাকরণও তাঁরাই করে থাকেন। এ ছাড়া কুষ্ঠ, যক্ষ্মা দূরীকরণ ফাইরেলিয়া ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধ সহ গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবা দেন তাঁরা। জননী সুরক্ষা যোজনা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় বাল সুরক্ষা কার্যক্রম, নন কমিউনিকেবল ডিজিজ নিয়ন্ত্রণ-সহ একাধিক প্রকল্প চলে রাজ্যজুড়ে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই সব প্রকল্পের সুবিধা গ্রামীণ স্তরে পৌঁছে দেন এএনএম নার্সরা। তাঁদের সাহায্য করতে থেকেন আশাকর্মীরা। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একাধিক নথিও সংগ্রহ করেন তাঁরা। নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রারে সেগুলি লিখে রাখতে হয়। পরে তথ্যগুলি ব্লক হাসপাতালে থাকা ডেটা এন্ট্রি অপারেটর মারফত আপলোড করা হয়। সেটা সময় সাপেক্ষ। ট্যাব দেওয়ায় সেই ঝামেলা এক ধাক্কায় কমে গেল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Auxiliary Nursing Midwifery Tab Health Department
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE