Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Bablakali Puja

করোনার জেরে আয়োজন কম বাবলাকালী পুজোয়

রবিবার গভীর রাতে অমাবস্যা লাগলেও এ বছর সোমবার সন্ধ্যা থেকে বাবলাকালীর পুজো হবে। পুজোর ভোগ নিবেদন থেকে মানসিক নিবেদনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতিতে নির্দেশিকা। নিজস্ব চিত্র।

করোনা পরিস্থিতিতে নির্দেশিকা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:১৪
Share: Save:

জাতীয় সড়ক ধারে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা। অন্য বছর অগ্রহায়ণ মাসের অমাবস্যা তিথিতে হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় বাবলাকালী মাতার পুজো ঘিরে সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামতে শুরু করে। পরের দিন অমাবস্যা তিথি চলাকালীন সেই ঢল চলে। রামপুরহাট হাসপাতাল সংলগ্ন বাবলা কালী মাতার পুজো ঘিরে সেই ভিড় সামাল দিতে জাতীয় সড়কের উপর যান নিয়ন্ত্রনের জন্য করতে হয় বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা। এবছর করোনা আবহে বাবলাকালী পুজোর আয়োজনে রাশ টানা হয়েছে।

রবিবার গভীর রাতে অমাবস্যা লাগলেও এ বছর সোমবার সন্ধ্যা থেকে বাবলাকালীর পুজো হবে। পুজোর ভোগ নিবেদন থেকে মানসিক নিবেদনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুজো কমিটির সদস্য প্রশান্ত দাস, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যরা জানান, এ বছর করোনা আবহে সংক্রমণ ঠেকাতে এবং ভিড় এড়াতে মন্দিরে প্রবেশ করে পুজোর ভোগ নিবেদন এবং মানসিক নিবেদনে মানা করা হয়েছে। মণ্ডপ, আলোকসজ্জাও বাদ দেওয়া হয়েছে। খিচুড়ির ভোগ বিতরণও বাদ দেওয়া দেওয়া হয়েছে। পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য বাঁশের ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে এসে নানান রোগের চিকিৎসা করতে এসে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সারা বছর বাবলা কালীর পুজো দিয়ে যান। অগ্রহায়ণ মাসের অমাবস্যায় চর্তুদশী তিথিতে বাবলা কালী মাতার বাৎসরিক উৎসব হয়। সেই উৎসবে যোগ দিতে যেমন শামিল হয় বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ, তেমনই বীরভূম ছাড়া লাগোয়া জেলা মুর্শিদাবাদ এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষও যোগ দেন।

দীর্ঘদিন আগে হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সুবল চন্দ্র দাস স্বপ্নাদেশ পেয়ে হাসপাতালের মর্গ লাগোয়া এলাকায় প্রাচীন একটি বাবলা গাছের তলায় কালীমূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই কালীই এলাকায় বাবলা কালীনামে পরিচিত। আগে হ্যাজাকের আলোয় পুজো হতো। এখন বৈদ্যুতিন আলোতে বিশাল মণ্ডপের ছাউনি করে মহিলা ও পুরুষ পুণ্যার্থীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে হয়। সারারাত জেগে সেই ছাউনির তলায় বসে থেকে পুজো দেন পুণ্যার্থীরা।

বাবলাকালী মাতার মন্দির সংলগ্ন এলাকার উন্নয়নে সাংসদ শতাব্দী রায় এলাকা উন্নয়ন খাতে ২ লক্ষ টাকা প্রদান করেছেন। ওই টাকায় মন্দির সংলগ্ন এলাকার উন্নতি ঘটেছে। বাবলাকালী মাতা ছাড়া রামপুরহাট লোটাস মোড় এলাকা, কামারপট্টি মোড় এলাকা, শ্রীফলা মোড়, নিশ্চিন্তিপুর এলাকা অগ্রহায়ণ মাসের অমাবস্যায় দক্ষিণাকালিকা মাতার পুজো হয়। দক্ষিণাকালিকা মাতার পুজোতেও করোনা বিধি মানা হচ্ছে বলে উদ্যোক্তারা জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bablakali Puja Rampurhat Coronavirus in West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE