Advertisement
১১ মে ২০২৪
TMC

বুথ সভাপতির নালিশ মিথ্যা, দাবি নেতাদের

তাই তিনি এত বেপরোয়া। ব্লক সভাপতি স্বর্ণশঙ্কর সিংহও মানছেন সে কথা। তবে, কারও নাম তিনি নেননি। জসিমউদ্দিন অবশ্য তাঁর অভিযোগে এ দিনও স্থির। যদিও প্রধান,পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য থেকে অঞ্চল সভাপতির বক্তব্য, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হলেই দুধ, জল আলাদা করা যাবে।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
সিউড়ি শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:৩০
Share: Save:

মিথ্যা, দাবি নেতাদেবুথ-ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে শুক্রবার জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সামনেই আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তিলপাড়া পঞ্চায়েতের হুসনাবাদ সংসদের বুথ সভাপতি সেখ জসিমউদ্দিন। তাঁর অভিযোগের নিশানায় ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান, সিউড়ি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও দলের অঞ্চল সভাপতি। ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে একযোগে সরব হয়েছেন প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য থেকে ব্লক সভাপতি। কিন্তু, প্রকাশ্য সভায় তাঁদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা হলেও শুক্রবার কেন তাঁরা প্রতিবাদ করেননি, সে প্রশ্নে সদুত্তর মেলেনি। তবে, জসিমউদ্দিনের অভিযোগের পরেই সংশ্লিষ্ট অঞ্চল সভাপতির ক্ষমতা কেড়ে পাঁচ জনের কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন অনুব্রত। শুক্রবার বুথ সভাপতি অভিযোগ করেন, প্রধান নিজে আবাস যোজনায় ঘর পেয়ে দোতলা বাড়িতে বাস করছেন। এমনকি, লোককে ঘর ভাড়াও দিয়েছেন। অথচ, এলাকার অনেক গরিব মানুষ আবাস যোজনায় বাড়ি পাননি। অঞ্চল সভাপতি ঘর পেয়ে সেখানে দোকান করেছেন। সিউড়ি ১ পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্য আবাস যোজনায় ঘর পেয়ে সেখানে সিমেন্টের গুদাম বানিয়েছেন। অভিযোগ নস্যাৎ করে শনিবার তিলপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান সন্ধ্যা দাই বলেন, ‘‘আবাস যোজনায় বাড়ি আমি পাইনি। আর্থসামজিক জাতিগত সমীক্ষায় আমার নাম ছিল না। নিজেদের বাড়ি রয়েছে। তাই বাড়ি পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না।’’ নিজেদের বাড়িতেই সিমেন্টের দোকান চালান এবং সে বাড়ি কোনও সরকারি প্রকল্পের নয়—জোরের সঙ্গে এই দাবি করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তপতী দাসের স্বামী তাপস।

তাহলে অভিযোগ কেন তুলছেন ওই বুথ সভাপতি? প্রধানের কটাক্ষ, ‘‘কারও নেতা হওয়ার শখ হলে কী করা যাবে!’’ অন্য দিকে, অঞ্চল সভাপতি বনোজ সাহা জানান, তাঁদের কোনও পাকা বাড়ি ছিল না। টিনের চাল মাটির বাড়ি। এখনও বর্ষায় জল পড়ে। অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর দাবি, ‘‘বাবা গীতাঞ্জলি প্রকল্পে বছর কয়েক আগে ৭০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। সেটা দিয়ে একটি পাকা ঘর করেছেন। পারিবারিক আয়ের সূত্র মুদিখানার দোকান সেই ঘরটিতেই চালান।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এখানে দুর্নীতি কোথায়? জসিমউদ্দিন দলকে বিপথে চালিত করতে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’’ জসিমউদ্দিনের এমন অভিযোগ অবশ্য প্রথম নয়। লোকসভা ভোটের আগে অঞ্চল সভাপতির উপর হামলার নেপথ্যেও জসিমউদ্দিনের হাত ছিল বলে দলের একাংশের অভিযোগ। শুক্রবার অনুব্রতের সভায় ১৫টি সংসদের ১১টিতে বিজেপির থেকে পিছিয়ে থাকার কারণ হিসেবে অঞ্চল সভাপতি মার খাওয়ার যুক্তিই দিয়েছেন বুথ সভাপতি। তৃণমূলের একটা সূত্রের দাবি, জসিমউদ্দিনের মাথায় হাত রয়েছে দলের উঁচু তলার। তাই তিনি এত বেপরোয়া। ব্লক সভাপতি স্বর্ণশঙ্কর সিংহও মানছেন সে কথা। তবে, কারও নাম তিনি নেননি। জসিমউদ্দিন অবশ্য তাঁর অভিযোগে এ দিনও স্থির। যদিও প্রধান,পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য থেকে অঞ্চল সভাপতির বক্তব্য, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হলেই দুধ, জল আলাদা করা যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Anubrata Mondal Birbhum
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE