Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র নিয়ে বিতর্ক সিউড়িতে

অভিযোগ উঠেছিল, বেশ কয়েক জন পুরভোট প্রার্থী (অধিকাংশই শাসকদলের) তাঁদের মনোনয়নপত্র নির্বাচন বিধি মেনে জমা করেননি। সিউড়ি পুরসভার রিটার্নিং অফিসার, মহকুমাশাসক অরুন্ধতী ভৌমিকের কাছে লিখিত আকারে কংগ্রেস তাই অভিযোগ জানিয়েছিল, অভিযুক্ত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হোক। কংগ্রেসের আনা সে অভিযোগ ধোপে টেকেনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৫ ০১:২৬
Share: Save:

অভিযোগ উঠেছিল, বেশ কয়েক জন পুরভোট প্রার্থী (অধিকাংশই শাসকদলের) তাঁদের মনোনয়নপত্র নির্বাচন বিধি মেনে জমা করেননি। সিউড়ি পুরসভার রিটার্নিং অফিসার, মহকুমাশাসক অরুন্ধতী ভৌমিকের কাছে লিখিত আকারে কংগ্রেস তাই অভিযোগ জানিয়েছিল, অভিযুক্ত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হোক। কংগ্রেসের আনা সে অভিযোগ ধোপে টেকেনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় কমিশন সিউড়ি পুরসভার ১৯টি ওয়ার্ডের জন্য মোট ৮৪জনের বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে তৃণমূলের কোনও প্রার্থীর নামও বাদ পড়েনি!

কংগ্রেসের শহর সভাপতি চঞ্চল চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এ দিনও বলেছেন, “সিউড়ি পুরসভায় তৃণমূলের কিছু প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে বড় গলদ ছিল। তার ভিত্তিতেই আমরা মনোনয়নপত্র বাতিলের দাবি তুলেছিলাম। কিন্তু আমাদের কথা শোনা হয়নি। তৃণমূল জামানায় সব সম্ভব।” সিউড়ি পুরভোটের দায়িত্ব যাঁর কাঁধে, তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “দল দিশেহারা হলে কর্মীরাও দিশেহারা হয়ে পড়ে। সব আইকানুন মেনেই মনোনয়ন জমা করা হয়েছিল। মহকুমাশাসক বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন অভিযোগ হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা চলছে তারপরই সিদ্ধান্ত হবে। এ দিনও সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।” কংগ্রেসের আনা অভিযোগ কেন ধোপে টিকল না, সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিকাশবাবু বলেন, “যে যে দিক তুলে অভিযোগ জানানো হয়েছিল, নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন মেনে সেগুলির প্রত্যেকটি খতিয়ে দেখা হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিলের মত কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল না।”

কী কী অভিযোগ ছিল কংগ্রেসের?

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, ৯ জন বিদায়ী কাউন্সিলর (যাঁদের মধ্যে সাত জনই শাসক দলের হয়ে এবার মনোনয়ন জমা করেছেন), তাঁরা গত পুর নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর নির্বাচনে তাঁদের কী খরচ হয়েছিল, তার হিসাব জমা দেননি। এবং প্রাথমিক শিক্ষক কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের অনুমতি পত্র ছাড়াই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এমনও অভিযোগ ওঠে, যে শাসকদলের অন্য এক প্রার্থী একটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্ক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছিলেন। তিনি পরিষোধ করেননি। নিয়ম মোতাবেক ইনসলভেন্ট কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে পারেন না।

মহকুমাশাসক জানান, কারা পুরভোটের খরচের হিসাব জমা দেয়নি, তেমন একটি তালিকা প্রকাশ করে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের কারও নাম নির্বাচন কমিশনের তালিকায় নেই। আবার কেউ ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করলে ব্যাঙ্ক যদি কোনও অভিযোগ করত ঠিক ছিল, এক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি। আর ড্রপআউট স্কুল হলেই প্রাথমিক শিক্ষকের অনুমতি নেওয়াটা বাধ্যতামূলক। ফলে আদপেই সেগুলি ধোপে টেকার মতো অভিযোগ নয়। তিনি বলেন, “কেন অভিযোগের বৈধতা দেওয়া হল না, এই নিয়ে শনিবার সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে ব্যাখ্যা করা হবে।” শনিবারই মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন। তারপর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE