—ফাইল চিত্র।
নতুন করে দুই যুবকের শরীরে করোনা সংক্রমণ মিলল ইলামবাজার ও পাড়ুই এলাকায়। ওই এলাকাগুলি থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সেগুলিকে কনটেনমেন্ট জ়োন করছে প্রশাসন। করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে সিউড়িতেও।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলামবাজারের একটি গ্রামে ২১ বছরের এক যুবকের শরীরে সংক্রমণ মিলেছে। ওই যুবক মাস তিনেক আগে চেন্নাই গিয়েছিলেন। লকডাউনের কারণে ওখানেই আটকে পড়েন তিনি। ১৯ মে ওই যুবক গাড়ি ভাড়া করে ইলামবাজার ফেরেন। ওই দিনই ওই যুবকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বুধবার রাতে রিপোর্ট পজিটিভ এলে বৃহস্পতিবার তাঁকে বোলপুর কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রশাসনের তরফ থেকে এ দিন ওই এলাকাটিকে কন্টেনমেন্ট জোন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বাইরে থেকে যাতে ওই গ্রামে কেউ ঢুকতে না পারে এবং গ্রাম থেকে কেউ না বাইরে বেরোয় সেদিকেও নজর রাখছে প্রশাসন। ইলামবাজারের বিডিও মহম্মদ জসিমউদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা পরিবারের দু’জনকে সরকারি নিভৃতবাস কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ও ওই এলাকাটিকে কন্টেনমেন্ট জোন করে নজর রাখা হচ্ছে।’’
পাড়ুই এলাকার একটি গ্রামেও ৩৩ বছরের এক যুবকের শরীরে করোনা সংক্রমণ মিলেছে। ওই যুবক কয়েক মাস আগে মহারাষ্ট্রে শ্রমিকের কাজে গিয়েছিল। ১৯মে আরও অনেকের সঙ্গে বাস ভাড়া করে গ্রামে ফেরেন। তারপর বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ওই যুবক সহ বাকিদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বুধবার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরে তাঁকেও কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই যুবকের সংস্পর্শে আসা পরিবারের তিনজনকে সরকারি নিভৃতবাস কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ওই এলাকাটিকেও কন্টেনমেন্ট জোন করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
করোনা আক্রান্তের হদিস মিলেছে সিউড়ি শহর লাগোয়া এলাকাতেও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত রোগী সিউড়ি ১ ব্লকের একটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মাসখানেক আগে দিনমজুরের কাজ করার জন্য উত্তর ভারত গিয়েছিলেন। ইদের কিছুদিন আগে তিনি বাড়ি ফেরেন। সেই সময় তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এ দিন তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ওই ব্যক্তিকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তিকে বাড়ি ফেরার পর গৃহ নিভৃতবাসে থাকার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি অবাধে বাড়ির বাইরে ঘুরে বেরিয়েছেন। এমনকি বৃহস্পতিবার সকালেও তিনি বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন কাজের জন্য। ওই ব্যক্তি আর কার সংস্পর্শে এসেছেন কি না তার খোঁজ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy