ফাইল চিত্র
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে হওয়া লকডাউনের কারণে প্রায় এক মাস শান্তিনিকেতনের হস্ত ও কুটির শিল্পের মার্কেট বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। সমস্যার কথা জানিয়ে বুধবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন হস্ত ও কুটির শিল্প ব্যবসায়ীরা।
শান্তিনিকেতন রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম নাম। প্রতিদিনই কয়েক হাজার দেশ-বিদেশের পর্যটক বোলপুর শান্তিনিকেতন বেড়াতে আসেন। এখানকার দর্শনীয় স্থানগুলি ঘুরে দেখার পাশাপাশি অধিকাংশ পর্যটকই বাড়ির জন্য হস্ত ও কুটির শিল্পের সামগ্রী কিনে নিয়ে যান। কিন্তু করোনা-সংক্রমণের ভয়ে এ বার লকডাউনের আগেই বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যশালী বসন্ত উৎসব বাতিল হয়েছে। বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে সোনাঝুরির হাট-সহ একাধিক দর্শনীয় স্থান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে দোলের পর থেকে শান্তিনিকেতনে পর্যটক আসা বন্ধ।
বোলপুর-শান্তিনিকেতন রাস্তার উপরে রয়েছে কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেট। সেখানে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৪০টির বেশি হস্ত ও কুটির শিল্পের দোকান। সারাবছর পর্যটকদের উপরে নির্ভর করেই চলে হস্ত ও কুটির শিল্প ব্যবসায়ীদের সংসার। কিন্তু করোনা-আতঙ্কের কারণে পর্যটক না আসার পাশাপাশি বন্ধ হয়ে রয়েছে কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটটি। বেচাকেনা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংসার চালাবেন কী করে, তা ভেবেই কুল পাচ্ছেন না ওই ব্যবসায়ীরা।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন। এ দিন তাঁদের আর্থিক দুর্দশার কথা মহকুমাশাসককে (বোলপুর) জানানোর পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতার অনুরোধ জানান। হস্ত ও কুটির শিল্প ব্যবসায়ী গৌতম গড়াই, মনোজ যাদব, অরুণ পালেরা বলেন, “এই রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি এর আগে কখনও হতে হয়নি। ব্যবসা পুরো বন্ধ থাকায় আমরা কী ভাবে সংসার চালাব, ভেবে পারছি না। প্রশাসন যদি আমাদের কিছু সহযোগিতা করে তা হলে খুব উপকার হয়।“
শান্তিনিকেতন কবিগুরু হস্ত ও কুটির শিল্প সমিতির সম্পাদক আমিনুল হুদা জানালেন, সবাই ভেবেছিলেন, এ বার শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবে প্রচুর পর্যটক আসবেন এবং ব্যবসা ভাল হবে। সেই মতো অনেক শিল্পীই বসন্ত উৎসবকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের হাতের কাজ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের আতঙ্কের কথা মাথায় রেখে বসন্ত উৎসব না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের অনেক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। আমিনুলের কথায়, “এর পরে লকডাউনের কারণে বোলপুর শান্তিনিকেতনের পর্যটক আসা বন্ধ করে দেওয়ায় হস্ত ও কুটির শিল্পের ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাই প্রশাসনের কাছে আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানিয়ে মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি।“
প্রশাসনের তরফ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy