রান্নাবান্না: এ ভাবে কত দিন চলবে, শঙ্কায় রাজমিস্ত্রি, কালীপদ মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
সংসারে একটু স্বচ্ছলতা আসবে, এই আশায় বছর তিনেক আগে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে এক পরিচিতের মাধ্যমে পাড়ি দিয়েছিলাম গুজরাতের সুরেন্দ্রনগরে। দৈনিক মজুরি ছিল ৩৭০ টাকা। খাওয়ার খরচ বাদে হাতে থাকত ৩০০ টাকা। রোজগার খুব বেশি না হলেও প্রতিদিন কাজ জুটত। ছিল ‘ওভারটাইম’-এর বাড়তি রোজগারও।
বাড়িতে দুই ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী। ভালই ছিলাম। তিন-চার মাস পরে বাড়ি ফিরতাম। এ বারও কালীপুজোর ছুটি কাটিয়ে ফিরে যাই গুজরাতে। এক দিন শুনলাম, প্রধানমন্ত্রী কাজে যেতে নিষেধ করেছেন। সে দিন গেলাম না। পরের দিন কাজে গিয়ে দেখি, বিল্ডিংয়ের কাজ বন্ধ।
সুপারভাইজ়ার হাতে হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে সে দিনই দেশে ফিরে যেতে বললেন। যে কোনও সময়ে ট্রেন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আরও তিন হাজার টাকা বকেয়া ছিল। কিন্তু সুপারভাইজ়ার জানালেন, ফিরে
গেলে দেবেন।
সে দিন থেকেই মেসে খাওয়াদাওয়া বন্ধ। ব্যাগ নিয়ে সোজা স্টেশন। কিন্তু ট্রেনের রিজার্ভেশন নেই। ফিরব কী করে? আরও দু’জন সহকর্মীর সঙ্গে জেনারেল কামরায় উঠলাম। সে যেন এক যুদ্ধ! গুঁতোগুঁতি করে কোনও ভাবে ট্রেনে উঠে ফেরা।
এখানেও কাজ বন্ধ। হাতে পড়েছিল ছশো টাকা। তা দিয়েই কোনও রকমে কয়েক দিন চলল। এখন হাত একেবারে ফাঁকা।
বিভিন্ন মানুষের দয়ার দানে ভাত চাপছে। সে ভাবে ক’টা দিন চলবে? কী জানি, কবে আবার সব কিছু ঠিক হবে। বকেয়া মাইনে আর ফেরত পাব কি না, তারও ঠিক নেই। এত বড় সংসার কাজ না পেলে চলবে কী করে?
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy