Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

ভিন্‌ রাজ্যে আটকে অনেক শ্রমিক

তেলঙ্গনায় থাকা শ্রমিকদের মধ্যে পুঞ্চার দেবগ্রামের বাসিন্দা সাজিদ আনসারি রবিবার ফোনে বলেন, ‘‘কোম্পানির কেউ এখানে নেই। নেই খাবার। টাকাও ফুরিয়েছে।’’

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
মানবাজার ও ইঁদপুর শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২০ ০৩:৫৬
Share: Save:

জেলা থেকে ভিন্ রাজ্যে কাজে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্কট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার ৪২ জন শ্রমিক নির্মাণকাজে তেলঙ্গনায় গিয়ে ‘লকডাউন’-এ আটকে পড়েছেন। অন্য দিকে, তামিলনাড়ুর তিরুপুর এলাকাতেও আটকে ইঁদপুরের হাটগ্রামের ৫০ জন শ্রমিক।

তেলঙ্গনায় থাকা শ্রমিকদের মধ্যে পুঞ্চার দেবগ্রামের বাসিন্দা সাজিদ আনসারি রবিবার ফোনে বলেন, ‘‘কোম্পানির কেউ এখানে নেই। নেই খাবার। টাকাও ফুরিয়েছে।’’ শ্রমিকদের এক জন বলেন, ‘‘ঘরে থাকলে না খেতে পেয়ে মরব। বাইরে বেরোলে পুলিশ মারবে। কী করব?’’

তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাঁকুড়ার ছাতনার বাসিন্দা গোবিন্দ কর। তিনি বলেন, ‘‘এখন তেলঙ্গনার গাজুয়েল জেলার বেগমপেট থানা এলাকায় রয়েছি। ফিরতে পারছি না। খাবারের নিশ্চয়তা পেলে উদ্বেগ কমে।’’

প্রশাসন সূত্রে খবর, পুঞ্চার বারমেশিয়া গ্রামের ৩০ জন শ্রমিক হুগলি জেলায় কাজে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন। মানবাজার ১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ অংশুমান রায় জানান, মানবাজারের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু হুগলি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ঘরে ফেরা নিশ্চিত করেন। শনিবার রাতে তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন।

একই সমস্যায় তামিলনাড়ুর তিরুপুর থানা এলাকায় কাজ করতে যাওয়া ইঁদপুরের হাটগ্রাম এলাকার ৫০ জন শ্রমিক। ‘লকডাউন’-এ অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন কাটছে তাঁদের। তাঁরা প্রত্যেকেই গেঞ্জি ছাপানোর কাজ করেন। তাঁদেরই এক জন কাজল দত্ত বলেন, ‘‘কালীপুজোর পরে আমরা এখানে কাজে এসেছি। এখন বাড়ি ফিরতে না পেরে সমস্যায় পড়েছি।’’ আটকে থাকা পিন্টু ভদ্র জানান, বাড়িতে তাঁর বৃদ্ধ বাবা, স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। বাড়ি ফিরতে না পারায় এই মুহূর্তে পরিবারের জন্য খুবই চিন্তায় রয়েছেন। তা ছাড়া, কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন কী ভাবে খরচ চালাবেন তা নিয়েও দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন বলে জানান তিনি। কাজলবাবুদের আর্জি, প্রশাসন অন্তত তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসার বন্দোবস্ত করুক।

পিন্টুর বাবা বছর ষাটের তপন ভদ্রের আবেদন, ‘‘কাজ বন্ধ। ওঁদের হাতে বেশি টাকা নেই। প্রশাসনের কাছে আর্জি, ওঁরা যেন দু’মুঠো খেতে পায়।’’ এসডিপিও (খাতড়া) বিবেক ভার্মা জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী এখন যে যেখানে রয়েছেন, তাঁকে সেখানেই থাকতে হবে। এই মুহূর্তে ফিরে আসা সম্ভব নয়। তবে তামিলনাড়ু সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন ওঁদের পাশে থাকবে।

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE