ফি বর্ষাতেই নিকাশি উপচে নোংরা জল ঢোকে মাদ্রাসায়। তাতে শিকেয় ওঠে পঠনপাঠন। সে অভিযোগ বহুবার জানানো হয়েছে পঞ্চায়েতে। তারপরেও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ। এই মরসুমেও একই অবস্থা মহম্মদবাজারের সোঁতসালে মোরগ্রাম-রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারের ‘মদিনাতুল উলুল’ নামে ওই আবাসিক মাদ্রাসায়। বারবার অনুরোধের পরেও নালার সংস্কার না হওয়ায় জমেছে ক্ষোভ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার কথা ভেবে ১৯৭৭ সালে সোঁতসালে ওই আবাসিক মাদ্রাসা গড়ে তোলেন স্থানীয় কিছু মানুষ। ক্রমে মাদ্রাসা বড় হয়। রাজ্য সড়কও ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে উত্তীর্ণ হয়। জাতীয় সড়ক হওয়ার সুবাদে বালি পাথর দিয়ে রাস্তাটি আগের চেয়ে উঁচু করা হয়। মাদ্রাসার নিকাশি সমস্যার সেই শুরু।
পরিস্থিতি দেখে সেই সময়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে মাদ্রাসার দক্ষিণে একটি কাঁচা নর্দমা করে দেওয়া হয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ওই কাঁচা নর্দমা ঠিক মতো সংস্কারের অভাবে প্রায়ই আবর্জনায় ভরে থাকে। বর্ষার মুখেও সংস্কার করা হয় না। তার ফলে আশপাশের নোংরা জল মাদ্রাসার ভিতরে ঢুকে পড়ে। তাতে পড়ুয়া থেকে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মাদ্রাসায় যাতায়াতে যেমন অসুবিধে হয়, তেমনই দৈনন্দিন পঠনপাঠনের পরিবেশও নষ্ট হয়।
মাদ্রাসার সম্পাদক ইমামিম মোবিন জানাচ্ছেন, বর্তমানে ১৬৩ জন আবাসিক পড়ুয়া আছে মাদ্রাসায়। জমা জলে দুর্ভোগ বেড়েছে তাদের।
কবে সংস্কার হবে?
তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান নুর আকসানা বিবি বলেন, ‘‘এই পঞ্চায়েত দীর্ঘ দিন সিপিএমের দখলে ছিল। মাসখানেক হল তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে। আমরা পরিস্থিতির কথা জানি। খুব তাড়াতাড়ি নিকাশি সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।’’ মহম্মদবাজারের বিডিও তারাশঙ্কর ঘোষ পঞ্চায়েত প্রধানকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy