শ্লীলতাহানির অভিযোগে তৃণমূলের বুথ কমিটির সভাপতি-সহ চার জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছিল এক ছাত্রী। এ বার সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ছাত্রীর বাবাকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও তাঁর এক সঙ্গীর বিরুদ্ধে। বীরভূমের ইলামবাজার থানার শীর্ষা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। পুলিশের দাবি, তদন্ত শুরু হয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
ঘটনা গত ২৮ মার্চের। সেই রাতে গ্রামের দোকান থেকে চা-চিনি নিয়ে ফিরছিল এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া ওই ছাত্রী। তখনই তৃণমূলের স্থানীয় বুথ কমিটি সভাপতি শেখ আরফান ও তার সঙ্গী শেখ রাইহান, শেখ রাজিজুল, শেখ মহম্মদ তাঁর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। ৩০ মার্চ ইলামবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ জানায় ছাত্রীটি। পুলিশ তার ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল। ছাত্রীটি আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছিল।
ছাত্রীর অভিযোগ, তার পর থেকেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তৃণমূলের একাংশ তথা অভিযুক্তদের কাছ থেকে চাপ আসছিল। রাজি না হওয়ায় শনিবার সকালে তার বাবাকে মারধর করা হয়। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, সোমবার সকালে তাঁকে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্তেরা পথ আটকেছিল। শেষে পুলিশ এসে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে।
দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ কুণাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আহতের শরীরে বেশ ভাল রকম আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমরা তাঁকে সিউড়ি রেফার করেছি।’’ যদিও এ দিন তাঁর সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানোর কোনও খবর মেলেনি। নির্যাতিতার পরিবার ও বিজেপির দাবি, আতঙ্কের কারণে দূরে কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাবেন বলে ঠিক করেছেন তিনি, তাই আর সিউড়িতে যাননি।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রামকৃষ্ণ রায়ের অভিযোগ, ‘‘শেখ আরফান ও শেখ মহম্মদেরা দলবল নিয়ে ইলামবাজারের খরুই মোড়ের কাছে আমাদের সমর্থকের উপরে চড়াও হয়েছিল। লাঠি দিয়ে মারাত্মক মারধরের পর তাঁর মোটরবাইকের টুলবক্সে কিছু পোস্তোর খোল ঢুকিয়ে পুলিশ ডাকে ওরা।’’ শেখ আরফান অবশ্য অভিযোগ মানতে চাননি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ জাফারুল ইসলাম বলেন, ‘‘যেহেতু ঘটনাটি পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে, মন্তব্য করব না। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’’
এ দিন বীরভূমেই পাড়ুইয়ের বেলপাতা গ্রামে আব্দুল সলাম নামে এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তবে রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy