রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল যানজট। —নিজস্ব চিত্র।
রাস্তা তৈরি হচ্ছে। তাই থমকে সারি সারি লরি, যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য যানবাহন। মঙ্গলবার রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে, দুবরাজপুর থেকে সদাইপুর পর্যন্ত ছিল এমনই ছবি। ফলে দিনভর নাকাল হতে হল ওই রাস্তা ব্যবহারকারীদের। এতটা যানজট হলেও সেটা নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠল।
প্রশাসন সূত্রের খবর, পানাগড় থেকে ইলামবাজার হয়ে দুবরাজপুরে এসে মিশেছে ১৪ নম্বর রাজ্য সড়ক। ইলামবাজার থেকে পানাগড়ে রাস্তায় কাজ হচ্ছে। তাই ওই রাস্তা দিয়ে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ছিল প্রশাসনের তরফে। ছাড় ছিল যাত্রীবাহী বাস ও ছোটগাড়ির। সমস্যা হল সিউড়ির দিক থেকে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে বিপুল সংখ্যক ভারী গাড়ি দুবরাজপুরের সাতকেন্দুরী মোড় থেকে ১৪ নম্বর রাজ্য সড়ক ধরে। এ দিন ওই রাস্তাটি বন্ধ থাকায় ইলামবাজার থেকে সদাইপুর পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় ভারী পন্যবাহী লরিগুলি আটকে যাওয়ায় সমস্যা বেড়ে যায়। সাবাই আগে যেতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের সৃষ্টি হয়, ১৪ নম্বর রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়কে। গোদের উপর বিষফোঁড়া দুবরাজপুরের সাতকেন্দুরী থেকে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ পর্যন্ত বেহাল জাতীয় সড়ক। যানজটে হাঁসফাস মানুষের প্রশ্ন, কেন দুবরাজপুর ও সদাইপুর থানা দুবরাজপুর থেকে জাতীয় সড়ক দিয়ে পন্যবাহী লরিগুলিকে ১৪ নম্বর রাজ্য সড়কে না ঢুকিয়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে রানিগঞ্জের দিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে না? পুলিশ অবশ্য বলেছে, যেহেতু চালকেরা ওই রাস্তা দিয়েই যেতে অভ্যস্ত, তাই বলা সত্ত্বেও অধিকাংশ লরিচালক সেটা না মেনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়েছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ বুধবার ও বৃহস্পতিবারও রাস্তা তৈরির জন্য ১৪ নম্বর রাজ্য সড়কে ভারী গাড়ি চলাচলে একই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকছে। ফলে আগামী দু’দিন একই দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে বলে আশঙ্কা ওই রাস্তা ব্যবহারকারীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy