অবৈধ সব বালিঘাট থেকেই উত্তোলন বন্ধ। নিজস্ব চিত্র।
নদী থেকে বালি তোলাকে কেন্দ্র করে নানা অভিযোগের মধ্যেই কঠোর সিদ্ধান্ত নিল বীরভূম জেলা প্রশাসন। পরবর্তী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত আপাতত বৈধ, অবৈধ সব বালিঘাট থেকেই উত্তোলন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
ঠিক হয়েছে, যাঁরা বৈধ ভাবে বালি তোলার বরাত পেয়েছেন, আগে তাঁদের প্রত্যেকে বালি তোলার বৈধ কাগজপত্র, নদী থেকে বালি তোলার পদ্ধতি এবং নির্ধারিত সীমানা মেনে বালি তুলছেন কিনা— তা প্রশাসনকে জানাবেন। যন্ত্র ব্যবহার করলে নদীতে গর্ত খোঁড়ার ক্ষেত্রে বিধি মানা হচ্ছে কিনা, খতিয়ে দেখা হবে তাও। বাকি যাঁরা অবৈধ বালি কারবার চালাচ্ছেন, তাঁদের যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। কোনও অন্যথা হলে নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইন মেনে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩৭টি ঘাটের মধ্যে কিছু বালিঘাটে দীর্ঘ মেয়াদি (লং টার্ম পারমিট) এবং কয়েক’টিতে স্বল্প মেয়াদি অনুমোদন পেয়েছেন ঠিকাদাররা। কিন্তু, তার বাইরেও প্রচুর ঘাট থেকে বালি তোলা হচ্ছে লুকিয়ে। এমনও অভিযোগ রয়েছে, বৈধ ভাবে লিজ নিয়ে নির্ধারিত এলাকার বাইরে বালি তুলছেন বরাত পাওয়া ঠিকাদারদের লোকজন। স্বল্প মেয়াদি লিজ নিলেও নবীকরণ না করানো বা লিজ নিলেও পুরো টাকা জমা না করার অভিযোগও কিছু বালি কারবারির বিরুদ্ধে রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, বালি নিয়ে অতীতে তো বটেই ইদানীং নানা অশান্তি ও দুর্ঘটনা বেড়েছে। তা রুখতেই এমন কঠোর সিদ্ধান্ত বলে ওই সূত্রটি জানাচ্ছে।
জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী বলেন, ‘‘জেলার নানা জায়গা থেকে অবৈধ বালি তোলার বিভিন্ন অভিযোগ আসছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪২টি বালিঘাট থেকে বালি তোলার বৈধ অনুমোদন রয়েছে। তাঁদের বালি তোলা আটকানো ঠিক নয়। তবে অভিযোগ যখন উঠছে তখন ব্লকস্তরের যে কমিটি রয়েছে, তারা সব কিছু খতিয়ে দেখুক।’’ তিনি জানাচ্ছেন, অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ ধরে বালি তোলা হচ্ছিল কিনা, এলাকা খুঁটি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে কিনা— দেখা হবে সে সবও। তারপরই বালি তোলার অনুমতি দেওয়া হবে। এর বাইরে যাঁরা বালি তুলে চলেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy