Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ধর্ষণে সাজা বাবার

সোমবার বাঁকুড়া জেলা দায়রা বিচারক (২) অরুণকিরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে ওই রায় হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৫৮
Share: Save:

মা বাপের বাড়ি চলে গেলেই বাবা ধর্ষণ করতেন। মাস দুয়েক ধরে নির্যাতনের শিকার হয়ে বছর চোদ্দোর মেয়েটি সব কথা খুলে বলেছিল মাকে। কিন্তু মা বিশ্বাস করেননি। তার পরে নিজেই থানায় যায় সে। বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। মামলা চলার সময়ে স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন নাবালিকার মা। কিন্তু প্রায় আড়াই বছর আগের সেই মামলায় শেষ পর্যন্ত মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ হল বাবার।

সোমবার বাঁকুড়া জেলা দায়রা বিচারক (২) অরুণকিরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে ওই রায় হয়েছে। সরকার পক্ষের আইনজীবী লক্ষ্মীনারায়ণ গোস্বামী জানান, অভিযোগকারী নাবালিকা গঙ্গাজলঘাটি থানা এলাকার বাসিন্দা। তার বাবা পেশায় দিনমজুর। চার ভাই বোনের মধ্যে ওই মেয়েটিই বড়। ২০১৬ সালের ৭ নভেম্বর সে বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ধর্ষণ-সহ পকসো (প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইনে মামলা রুজু হয়। নাবালিকার অভিযোগ ছিল, বাড়িতে একা বাবা তাকে ধর্ষণ করত। মা কয়েক দিনের জন্য বাপের বাড়ি চলে যাওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছিল। লাগাতার প্রায় দু’মাস ধরে নির্যাতনের শিকার হয় সে। এর পরে মা ফিরে এলে তাঁকে সব কথা খুলে বলে মেয়েটি। তিনি বিশ্বাস করেননি। থানায় গিয়ে নিজেই অভিযোগ করার পরে পুলিশ অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে। নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। সেখানে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়। নাবালিকা আদালতে গোপন জবানবন্দিও দেয়।

লক্ষ্মীনারায়ণবাবু জানান, তার অভিযোগের জেরে বাবা গ্রেফতার হওয়ায় বাড়িতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল ওই নাবালিকা। তাই কিছু দিন তাকে হোমে রাখা হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে বাড়ি ফেরে। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযোগের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই (২০১৬ সালের ২৬ নভেম্বর) মামলার চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। বিচার চলাকালীন জামিনে মুক্ত হয়েছিলেন অভিযুক্ত। লক্ষ্মীনারায়ণবাবু বলেন, “আদালতে সাক্ষ দিতে এসে স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন নাবালিকার মা। তবে ওই নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট ও গোপন জবানবন্দিতেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।” তিনি জানান, বিচারক দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছ’মাস কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ওই নাবালিকাকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষকে।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rape Bankura
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE