Advertisement
১১ মে ২০২৪
Lok Sabha Election 2019

চার দলের ঠাঁই হবে চার জায়গায়

প্রশাসনের খবর,  গণনাকেন্দ্রের বাইরে বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে হবে বিজেপির শিবির। সরকারি আইটিআই কলেজে হবে সিপিএমের। সতীঘাটা শ্মশানের কাছে শিবির করবে তৃণমূল। একটু তফাতে শিবির হবে কংগ্রেসের।

মনোযোগী: মঞ্চে তখন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। ভোটগণনার প্রস্তুতি বৈঠক ক্যামেরাবন্দি করছেন এক শ্রোতা। শুক্রবার সিউড়িতে। নিজস্ব চিত্র

মনোযোগী: মঞ্চে তখন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। ভোটগণনার প্রস্তুতি বৈঠক ক্যামেরাবন্দি করছেন এক শ্রোতা। শুক্রবার সিউড়িতে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৯ ০০:০৪
Share: Save:

আগামী ২৩ মে ফল বেরোনোর দিনে চার দলের ঠাঁই হবে চার জায়গায়, তা সে সিউড়ি হোক বা বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র। গণনাকেন্দ্রের বাইরে যুযুধান রাজনৈতিক দলগুলির কর্মী-সমর্থকেদের মধ্যে উত্তেজনা রুখতেই এমন পদক্ষেপ বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।

ভোটগণনার দিন এগোতেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, গণনাকেন্দ্র ঘিরে নিরাপত্তা, প্রস্তুতিও চূড়ান্ত করা হচ্ছে। শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকে এ কথা জানাল পুলিশ-প্রশাসন। রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রাজনৈতিক দলের শিবির কোথায় কোথায় হবে, তা-ও চিহ্নিত করেছে পুলিশ।

২৩ মে বীরভূমের দু’টি লোকসভা কেন্দ্র— বোলপুর ও বীরভূমের ভোটগণনা হবে দু’টি পৃথক জায়গায়। বোলপুর কেন্দ্রের ভোটগণনা হবে বোলপুর কলেজে। বীরভূম লোকসভা আসনের ভোটগণনা হবে সিউড়ি সরকারি পলিটেকনিক কলেজ বা শ্রীরামকৃষ্ণ শিল্প বিদ্যাপীঠে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ভোটগণনা কেন্দ্র ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। অন্যান্য বার পলিটেকনিক কলেজের সামনে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের এদিকে ওদিকে বিচ্ছিন্ন ভাবে রাজনৈতিক দলের শিবিরগুলি থাকে। আগে কয়েক বার গণনার দিন তার জেরে উত্তেজনাও ছড়িয়েছে। এ বার যাতে তেমন কিছু না ঘটে, তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণনাকেন্দ্রের ১০০ মিটার দূরে জাতীয় সড়কের পাশে চিহ্নিত জায়গায় শিবির করতে বলা হয়েছে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসকে।

প্রশাসনের খবর, গণনাকেন্দ্রের বাইরে বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে হবে বিজেপির শিবির। সরকারি আইটিআই কলেজে হবে সিপিএমের। সতীঘাটা শ্মশানের কাছে শিবির করবে তৃণমূল। একটু তফাতে শিবির হবে কংগ্রেসের।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী এবং প্রশাসনিক কর্তারা মানছেন, এ বার ভোটগণনায় সময় লাগবে। এতক্ষণ সময়ে সব দিক সামলানোই লক্ষ্য।

এ বারেই প্রথম সব কেন্দ্রের ইভিএমের সঙ্গে রয়েছে ভিভিপ্যাট। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের সব বুথে ইভিএমের গণনার পাশাপাশি লটারির ভিত্তিতে বাছাই করা পাঁচটি করে বুথের ভিভিপ্যাটের গণনা করা হবে। সে জন্য অনেকটা বাড়তি সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে।

সময় বেশি লাগলে ক্ষতি নেই। তবে নির্ভূল হতে হবে ভোটগণনা— এমনই নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইভিএম, ভিভিপ্যাটের স্লিপ গণনা ছাড়াও এ বারেই প্রথম সার্ভিস ভোটারেরা ‘ইলেকট্রনিক্যালি ট্রান্সমিটেড পোস্টাল ব্যালট সিস্টেম’ (ইটিবিপিএস)-এ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সেই সব ভোট গণনার ক্ষেত্রে স্ক্যানার মেশিন প্রয়োজন। সময় লাগেবে সেখানেও। কারণ, একটি একটি
কোড ‘স্ক্যান’ করতে হবে গণনাকর্মীদের। এ ছাড়া প্রতিটি রাউন্ড গণনার পরে ‘সুবিধা’ অ্যাপে ফলাফল আপলোড করার পরেই পরের রাউন্ডের গণনা শুরু করা যাবে।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা এলাকায় প্রায় দু’হাজার বুথ রয়েছে। সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র ধরে এক একটি হলে ১৫টি করে টেবিল থাকবে। প্রতি টেবিলে থাকবেন দু’জন করে গণনাকর্মী। বুথ সংখ্যা ধরলে সর্বোচ্চ ২০ রাউন্ড গণনা হতে পারে। প্রশাসনের বক্তব্য, তাই দীর্ঘ সময় ধরে রাউন্ড পিছু ওঠানামা ধরে গণমাকেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনা ছড়ানো অস্বাভাবিক নয়। সব রাজনৈতিক দলের শিবির মুখোমুখি থাকলে সেই আশঙ্কা থাকেই। তাই দূরে দূরে শিবির করার সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের এক কর্তা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE