—প্রতীকী চিত্র।
মাওবাদীদের নাম করে এক জনের বাড়িতে হুমকি চিঠি দিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগে যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের ব্লক রানিবাঁধের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত আদিত্য মুর্মু রানিবাঁধের গড়রা এলাকার বাসিন্দা। সোমবার তাঁকে খাতড়া আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়রা এলাকার বাসিন্দা তথা রানিবাঁধের কাঠিয়াম ল্যাম্পসের চেয়ারম্যান শ্যালম টুডুর বাড়ির মূল দরজার ফাঁক দিয়ে একটি চিঠি গলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। চিঠিতে নির্দেশ ছিল—বিকেলে গ্রামেরই একটি ফুটবল মাঠে নগদ ষাট হাজার টাকা রেখে আসতে হবে। না হলে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়।
চিঠির শেষে লেখা— ‘মাওবাদী জিন্দাবাদ’।
ঘটনা হল, লালগড় আন্দোলনের সময়ে একই ভাবে টাকা চেয়ে মাওবাদীদের হুমকি চিঠি কথা সামনে আসত। রাজ্যে পালাবদলের পরে সেই ছবিটা বদলেছে।
রবিবার শ্যামলবাবুর কাছ থেকে হুমকি চিঠির অভিযোগ পেয়েই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় পুলিশ। চিঠির যিনি পাঠিয়েছেন তাঁকে ফাঁদে ফেলতে শ্যামলবাবুকে চিঠির নির্দেশ মতোই কাজ করতে বলা হল। নির্দিষ্ট সময়ে একটি খামের মধ্যে টাকা ভরে গ্রামের ফুটবল মাঠে রেখে আসেন শ্যামলবাবু।
রানিবাঁধ থানার পুলিশকর্মীরা সাদা পোশাকে মাঠের আশপাশেই ছিলেন। পুলিশের দাবি, শ্যামলবাবু মাঠে খাম ফেলে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই আদিত্য মাঠে এসে টাকার সন্ধান শুরু করেন।
সেই সময়ই তাঁকে গ্রেফতার করেন পুলিশ কর্মীরা। তদন্তকারীদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে আদিত্য হুমকি চিঠি পাঠানোর কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আদিত্যের বাবা ক্ষুদ্র চাষি। আদিত্য নিজে ছাগল চরান। কেন তিনি কেন এমন করলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ দিন অভিযোগকারী শ্যামল টুডু বা আদিত্যর পরিবারের সঙ্গে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা বলেন, “ধৃতের সঙ্গে মাওবাদী যোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy