Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

চার নাবালিকার বিয়ে বন্ধ দুই জেলায়

দুই জেলায় অভিযান চালিয়ে নাবালিকা বিয়ে রুখল চাইল্ড লাইন। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে বাঁকুড়ার হিড়বাঁধ থানা এলাকায় রোখা হয়েছে দুই নাবালিকার বিয়ে। বাঁকুড়া জেলা চাইল্ড লাইনের কো-অর্ডিনেটর সজল শীল জানান, শুক্রবার রাতে হিড়বাঁধের একটি গ্রামে বছর পনেরোর এক কিশোরীর সঙ্গে পুরুলিয়ার পাড়া থানা এলাকার এক যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হিড়বাঁধ শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৬ ০২:১৭
Share: Save:

দুই জেলায় অভিযান চালিয়ে নাবালিকা বিয়ে রুখল চাইল্ড লাইন। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে বাঁকুড়ার হিড়বাঁধ থানা এলাকায় রোখা হয়েছে দুই নাবালিকার বিয়ে। বাঁকুড়া জেলা চাইল্ড লাইনের কো-অর্ডিনেটর সজল শীল জানান, শুক্রবার রাতে হিড়বাঁধের একটি গ্রামে বছর পনেরোর এক কিশোরীর সঙ্গে পুরুলিয়ার পাড়া থানা এলাকার এক যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সূত্র মারফত খবর পেয়ে বিষয়টি ব্লক অফিস এবং থানায় জানানো হয়। ওই রাতেই চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধি, ব্লক প্রশাসনের এক জন আধিকারিক এবং থানার ওসি বাহিনী নিয়ে গ্রামে হাজির হন। প্রথমে রাজি না হলেও, আইনি জটিলতার কথা জানতে পেরে কিশোরীর অভিভাবকেরা বিয়ে স্থগিত রাখতে রাজি হন।

সজলবাবু জানান, আজ, রবিবার হিড়বাঁধের অন্য একটি গ্রামে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বছর ষোলোর এক কিশোরীর সঙ্গে রানিবাঁধের এক যুবকের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। শনিবার দুপুরে গ্রামে গিয়ে সেই বিয়েও রুখে দেন পুলিশ, প্রশাসন এবং চাইল্ড লাইনের কর্মীরা। হিড়বাঁধ থানার ওসি প্রসেনজিৎ বিশ্বাস জানান, দুই কিশোরীর অভিভাবকেরা আঠারো বছর বয়স হওয়ার আগে পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন।

অন্য দিকে, পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকায় শুক্রবার এক নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করেন চাইল্ড লাইনের কর্মীরা। জেলা চাইল্ড লাইনের কো-অর্ডিনেটর দীপঙ্কর সরকার জানান, স্থানীয় সূত্রে নাবালিকা বিয়ের খবর পেয়ে গ্রামে উপস্থিত হন চাইল্ড লাইনের কর্মীরা। ওই দিনই কোটশিলা থানা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে ওই কিশোরীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। পাত্রীর বাবার কাছে মেয়ের জন্ম শংসাপত্র দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। পরে চাইল্ড লাইনের কর্মীরা বুঝিয়ে বলায় তিনি সাবালিকা হওয়ার আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দেন।

শনিবার বিকেলে মানবাজার থানা এলাকায় রোখা হল আরও এক নাবালিকার বিয়ে। পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে খাতড়ার এক যুবকের বিয়ের তোড়জোড় চলছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে বিডিও (মানবাজার ১) সত্যজিৎ বিশ্বাস মানবাজার থানার ওসিকে নিয়ে ওই কিশোরীর বাড়ি যান। সত্যজিৎবাবু বলেন, ‘‘চলতি মাসের ২৭ তারিখ ওই নাবালিকার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার আইনি জটিলতার দিকটি আমরা ওই কিশোরীর বাবাকে বুঝিয়ে বলি। পাশাপাশি, কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধার কথাও বলা হয়।’’ তার পরে, মেয়ে সাবালিকা হওয়ার আগে পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে জানান ওই কিশোরীর বাবা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Minor Marriage
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE