গন্ধেশ্বরীর জল ধুয়ে নিয়ে গিয়েছে সেতু সংলগ্ন রাস্তা। বাধ্য হয়ে এ ভাবেই পারাপার করতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। ছবি: অভিজিৎ সিংহ
বৃষ্টি থামার পরেই জল পরছে না কল থেকেও।
পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ায় দামোদরে জলস্তর বেড়েছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে পাম্প হাউস। জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদীর মধ্যে থাকা সাবমার্সিবল পাম্প। ফলে প্রকল্প থেকে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে নিতুড়িয়া ব্লকের ভামুরিয়া পঞ্চায়েত এলাকায়। গত পাঁচ দিন ধরে ওই এলাকার বাসিন্দারা জল পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।
আপাতত, পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্য পঞ্চায়েত এলাকার জলপ্রকল্প থেকে ট্যাঙ্কারে করে নিয়ে এসে ভামুরিয়া এলাকায় জল দিচ্ছে পঞ্চায়েত সমিতি।
টানা বৃষ্টিতে পাঞ্চেত জলাধার থেকে গত কয়েক দিনে প্রচুর পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে। ফলে দামোদর নদের জল এখন কার্যত পাড়ের পাশ দিয়ে বইছে।
আর নদীতে জল বাড়াতেই সমস্যা তৈরি হয়েছে ভামুরিয়া পঞ্চায়েতের জলপ্রকল্পে। ওই প্রকল্প থেকে জল সরবরাহ করা হয় পঞ্চায়েতের বারুইপাড়া, ভামুরিয়া, হীরকুন, আলকুশার মতো গ্রামগুলিতে। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জল সরবরাহের বন্দোবস্ত থাকায় ওই গ্রামগুলিতে নলকূপের সংখ্যা খুবই কম। এই পরিস্থিতিতে, জল আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানান, টানা বৃষ্টিতে পুকুর, কুয়ো ভরে যাওয়াত দৈনন্দিন কাজে জলের সমস্যা খুব বেশি হচ্ছে না। কিন্তু ওই ঘোলাটে জল খাওয়া যায় না। প্রকল্প থেকে জল না পাওয়ায় মূলত পানীয় জলের সঙ্কট তৈরি হয়েছে।
ভামুরিয়া পঞ্চায়েতের দামোদের নদের পাড়েই ভামুরিয়া-হীরাকুন ঘাটে জলপ্রকল্পের পাম্প হাউস রয়েছে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ায় দামোদরের জলস্তর বেড়ে পাম্পহাউস জলমগ্ন হয়ে পড়েছ। সাবমার্সিবল পাম্প অকেজো হয়ে গিয়েছে।
নিতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শান্তিভূষণপ্রসাদ যাদব বলেন, ‘‘জলপ্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়াতে ওই এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট তৈরি হয়েছে। আপাতত পঞ্চায়েত সমিতির জলের ট্যাঙ্কার করে পাশের শালতোড় পঞ্চায়েতের জলপ্রকল্প থেকে জল নিয়ে ভামুরিয়াতে সরবরাহ করা হচ্ছে।”
কিন্তু এই দুর্ভোগ আর কত দিন?
জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর জানিয়েছে, দামোদরের জলস্তর না কমা পর্যন্ত মেরামতির কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
কবে সরবরাহ স্বাভাবিক হয় আপাতত সেই অপেক্ষাতেই স্থানীয় বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy