মারমুখী: সাঁইথিয়ায়। —নিজস্ব চিত্র
বেআইনি বালি তোলার প্রতিবাদ করায় কয়েক জন গ্রামবাসীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল ঘাট মালিকদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে সাঁইথিয়ার পশোয়া গ্রামে। অভিযোগ, ওই গ্রাম লাগোয়া বক্রেশ্বর নদী থেকে দীর্ঘ দিন ধরে বালি পাচার করে চলেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। গ্রামবাসীর কয়েক জন তার প্রতিবাদ জানান। তার জেরে এ দিন কয়েক জনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানায়, ওই বিষয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
বেআইনি বালি তোলা রুখতে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, বাস্তবে বালি পাচার চলছেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শাসক দলের লোকেরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে ওই সব বালি পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকায় প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে বলেও অভিযোগ। আবার পাচার রুখতে গিয়ে আধিকারিকদের হেনস্থার শিকারও হতে হচ্ছে। কয়েক দিন আগেই বালি বোঝাই ডাম্পার আটকে জরিমানা করায় নানুরে বিএলএলআরও’কে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের প্রাক্তন এক জন প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। এক শ্রেণির অসাধু সরকারি কর্মী আর্থিক বোঝাপড়া ভিত্তিতে বালি পাচারে মদত দেন বলেও বহু দিনের অভিযোগ। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই বালি পাচারকারীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের ঝামেলা বেধে যায়।
এ দিন সাঁইথিয়ার পশোয়া গ্রামেও একই ঘটনা ঘটেছে। বেআইনি ভাবে বালি তোলার প্রতিবাদ করায় কয়েক জন গ্রামবাসীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে ঘাট মালিকদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। অমিত মণ্ডল, সুরজিৎ মণ্ডলেরা জানান, তাঁরা অবৈধ ভাবে বালি পাচার রুখতে প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষণ করেছিলেন। কোনও কাজ না হওয়ায় তারও প্রতিবাদ জানাই। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘সে কারণেই বালি মাফিয়ারা মারধর করে।’’ পুলিশ জানায়, কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy