Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Bankura

শুভাশিসেই আস্থা দলের

লোকসভা নির্বাচনে ফলাফলের নিরিখে বাঁকুড়া জেলার বারোটি বিধানসভা কেন্দ্রেই এগিয়ে বিজেপি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২০ ০২:০২
Share: Save:

সাংগঠনিক ভাবে ফের বাঁকুড়ায় এক জেলা, এক সভাপতি নীতি নিল তৃণমূল। শুক্রবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা জানানোর পরেই জেলা তৃণমূলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বাঁকুড়ার জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি শুভাশিস বটব্যালকে। জেলা কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরাকে।

লোকসভা নির্বাচনে ফলাফলের নিরিখে বাঁকুড়া জেলার বারোটি বিধানসভা কেন্দ্রেই এগিয়ে বিজেপি। ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরেই জেলা তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে ওন্দার বিধায়ক অরূপ খাঁকে সরিয়ে জেলাকে সংগঠনগত ভাবে দু’টি ভাগে বিভক্ত করেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। লোকসভা কেন্দ্র ধরে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরকে তৃণমূলের আলাদা সাংগঠনিক জেলা হিসেবে ধরা হয়। সেই অনুযায়ী বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি করা হয়েছিল শুভাশিসবাবুকে, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হন শ্যামলবাবু। তৃণমূলকে সাংগঠনিক ভাবে ভাঙার পরে মহিলা তৃণমূল, যুব তৃণমূলকেও একই ভাবে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর আলাদা সাংগঠনিক জেলা হিসেবে গড়া হয়।

দলের একটি সূত্রের খবর, বৈঠকে এ দিন দলনেত্রী জানিয়ে দেন, বাঁকুড়া জেলায় আর সাংগঠনিক ভাগ থাকছে না। গোটা জেলার সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় শুভাশিসবাবুকে। শ্যামলবাবুকে জেলার কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন শুভাশিসবাবুকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ জেলা নেতারা। জেলা রাজনীতির ওঠাপড়ার নিয়মিত পর্যবেক্ষকদের মতে, এখন পুরনো দিনের কর্মীদের আরও সক্রিয় করতে চাইছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শুভাশিসবাবুকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে পুরনো কর্মীদের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হল।

বৈঠকের পরে শ্যামলবাবু বলেন, “শুভাশিসদাকে সভাপতি করে আমাকে কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন দিদি। দল আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করব।” আর শুভাশিসবাবুর প্রতিক্রিয়া, “দিদি গোটা জেলার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। আপাতত পুরভোট নিয়েই ভাবছি। জেলার তিনটি পুরভোটে দলকে সাফল্য এনে দেওয়াই এখন লক্ষ।”

দলের এ দিনের সিদ্ধান্তের পরে কর্মীরা নতুন চিন্তায়। জেলা তৃণমূলকে পুরনো চেহারায় ফেরানোর পরে এ বার মহিলা তৃণমূল ও যুব তৃণমূলকেও কি এক করা হবে? শুরু হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা। শুভাশিসবাবু বলেন, “এ সব সিদ্ধান্ত রাজ্য নেতৃত্বই নেবে। এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bankura TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE