Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষককে সরানো হবে শুনে তালা খুলল স্কুলে

মিড-ডে মিলের চাল চুরিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুলে রাখা যাবে না। এই দাবিতে সোমবার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ স্কুল গেটে তালা ঝুলিয়েছিল। লাটে উঠেছিল পড়াশোনা। মঙ্গলবার স্থানীয় প্রশাসন আশ্বাস দিল, বাসিন্দাদের দাবি বিবেচনা করা হবে। তারপরই স্বাভাবিক হল পঠনপাঠন। বুধবারও নিয়ম মেনে ক্লাস হয়েছে মানবাজার থানার গোঁসাইডি প্রাথমিক স্কুলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মানবাজার শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৬ ০৭:৪০
Share: Save:

মিড-ডে মিলের চাল চুরিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুলে রাখা যাবে না। এই দাবিতে সোমবার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ স্কুল গেটে তালা ঝুলিয়েছিল। লাটে উঠেছিল পড়াশোনা। মঙ্গলবার স্থানীয় প্রশাসন আশ্বাস দিল, বাসিন্দাদের দাবি বিবেচনা করা হবে। তারপরই স্বাভাবিক হল পঠনপাঠন। বুধবারও নিয়ম মেনে ক্লাস হয়েছে মানবাজার থানার গোঁসাইডি প্রাথমিক স্কুলে।

গোঁসাইডি পাথরকাটা চল্লা গ্রামের বাসিন্দারা চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাদল রাজোয়াড়কে বমাল ধরেন বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক মিড-ডে মিলের চাল বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। গ্রেফতার হন শিক্ষক। কয়েক দিন জেল হেফাজতে কাটিয়ে এখন তিনি জামিনে রয়েছেন।

এ দিকে, টানা ছুটির পর সোমবার সকালে স্কুল খোলে। শিক্ষক স্কুলে এসেছেন খবর পেয়ে বাসিন্দারা ভিড় করেন। শিক্ষককে বাইরে বের করে দিয়ে বাসিন্দারা তালা ঝুলিয়ে দেন। স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব গোস্বামী, বাণীকন্ঠ গোস্বামীর ক্ষোভ, ‘‘যে শিক্ষক স্কুলের চাল চুরিতে অভিযুক্ত আর যাক হোক তাঁকে এলাকার স্কুলে দেখতে চাই না। উনি ছেলেমেয়েদের কী শেখাবেন? অবিলম্বে এই শিক্ষককে সরিয়ে অন্য কাউকে আনা হোক।’’ সোমবার পুলিশ স্কুলে গিয়ে তালা খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে শেষমেষ তালা খুলে দেওয়া হয়।

জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি হেমন্ত রজক গ্রামবাসীর ক্ষোভের কথা জেনেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এত তাড়াতাড়ি শিক্ষক পরিবর্তন কী করে সম্ভব? নিয়ম মেনে করতে গেলে কিছুটা সময় তো দিতেই হবে।’’ তিনি সংশ্লিষ্ট অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মানবাজার ১ এর বিডিও সত্যজিত বিশ্বাস জানিয়েছেন, শিক্ষককে স্কুল থেকে তুলে নেওয়ার আবেদন পত্র দেওয়া হলে এ বিষয়ে প্রশাসনিক স্তরেও ব্যবস্থা নেবেন তিনি। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রশাসনের কথায় ভরসা রেখে আর কয়েক দিন অপেক্ষা করবেন। তত দিনে না হলে ফের বিক্ষোভের পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখছেন তাঁরা। যাঁকে নিয়ে এত বিতর্ক সেই বাদল রাজোয়াড়ের সঙ্গে বহু চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Teacher mid-day meal Locked
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE