অবস্থান: বিজেপির বিক্ষোভ। শুক্রবার সিউড়িতে। নিজস্ব চিত্র
সংগঠন বাড়াতে বীরভূমের গ্রামে গেলেই শাসক দলের হাতে আক্রান্ত হতে হচ্ছে দলের নেতা কর্মীদের— এমনই অভিযোগ বার বার তুলল বিজেপি। দলের নেতাদের নালিশ— পুলিশে অভিযোগ করেও কোনও লাভ হচ্ছে না। উল্টে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জেলা পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবালের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করল বিজেপি। পুলিশ-প্রশাসনকে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।
সিউড়ির ওই অবস্থান বিক্ষোভে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়, সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডল, প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা দলের ল’সেলের আহ্বায়ক নির্মল মণ্ডল সহ জেলার অন্যান্য নেতা ও কর্মীরা। বিজেপির দাবি, গত রবিবার সকালে জনা পনেরো নেতা-কর্মীর সঙ্গে খয়রাশোলের হজরতপুর পঞ্চায়েতের মুন্দিরা গ্রামের একটি বাড়িতে বৈঠক করছিলেন কিসান মোর্চার সভাপতি শান্তনু মণ্ডল। অভিযোগ, আচমকা তাঁদের উপরে হামলা চালায় শাসক দলের লোকেরা। তিন জন জখম হন। হাত ভাঙে শান্তনুবাবুর। তাঁদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ১ ঘন্টা তৃণমূল কার্যালয়ে জখমদের বসিয়ে রাখা হয়েছিল।
বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, ‘‘ওই দিন খয়রাশোলে তৃণমূল ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছিল। অভিযোগ করেছিলাম পুলিশের কাছে। কোনও পদক্ষেপ পুলিশ করেনি। অতীতে একই ঘটনা ঘটেছে লাভপুর, আমোদপুরে। এ ভাবে কেন আমাদের উপর শাসকদল আক্রমণ করবে? অভিযোগ হলেও কেন পুলিশ ব্যবস্থা নেবে না?’’
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল বিজেপি প্রতিনিধিদের কাছ থেকে স্মারকলিপি নেন। পদক্ষেপের আশ্বাসও দেন বলে দাবি করেছে বিজেপি। তার আগে অবস্থান বিক্ষোভে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপির বক্তব্য, একটি রাজনৈতিক দল কেন গণতান্ত্রিক ভাবে নিজেদের সংগঠন বাড়াতে পারবে না? কেন বার বার শাসকদলের হামলার মুখে পড়তে হবে? ওই অবস্থান বিক্ষোভ নিয়ে তৃণমূলের শহর সভাপতি অভিজিৎ মজুমদার বলেন, ‘‘ওই দলটার সঙ্গে তো লোকই নেই। আজ মাত্র শ’খানেক লোক নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে। লোক নেই বলেই কু-কথা বলে প্রচার চাইছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy