ফাইল চিত্র।
কন্যাশ্রী প্রকল্পে এ বার পুরুলিয়া জেলার প্রথম তিনটি স্থানের মধ্যে দু’টি দখল করে নিয়েছে পুঞ্চার দুই স্কুলের মেয়েরা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুঞ্চার বালকডি কেবিএম হাইস্কুল, ঝালদার তুলিন জয়সিয়ারাম হাইস্কুল ও পুঞ্চার লৌলাড়া রাধাচরণ অ্যাকাডেমি কন্যাশ্রী প্রকল্পে কাজের বিচারে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানের পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।
আজ, বুধবার ‘কন্যাশ্রী দিবসে’ পুরুলিয়া শহরে ওই স্কুলগুলির কন্যাশ্রী ক্লাবের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। বিডিও (পুঞ্চা) অনিন্দ্য ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমাদের ব্লকের দুই স্কুলের কন্যাশ্রীদের এই স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে অন্য স্কুলের মেয়েদেরও উৎসাহিত করবে।’’
বালকডি কেবিএম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপসকুমার মাহাতো বলেন, ‘‘সম্প্রতি খবর পেয়েছি, আমাদের স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাব জেলার সেরা নির্বাচিত হয়েছে। আমাদের স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েরা কম বয়সে বিয়ে রোখা, স্কুল ছুট বন্ধ করা থেকে পরিচ্ছন্ন থাকা, জল সঞ্চয়— প্রভৃতি বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার ধারাবাহিক ভাবে করছে। এই পুরস্কার ওদের আরও উৎসাহিত করবে।’’
ঝালদা ১ ব্লকের তুলিন জয়সিয়ারাম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হেমন্ত মাহাতো ও পুঞ্চা ব্লকের লৌলাড়া রাধাচরণ অ্যাকাডেমি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিয় চক্রবর্তী জানান, এই পুরস্কার তাঁদের গর্বিত করেছে। আগামী দিনে স্কুল ও সমাজের জন্য আরও ভাল কাজ করার পথে পাথেয় হবে এই স্বীকৃতি।
মানবাজার ১ ব্লকের কন্যাশ্রীর নোডাল অফিসার সুদীপ মাহাতো জানান, কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্য বৃদ্ধি করা, তাদের নাম পুনর্নবীকরণ এবং ‘কে ওয়ান’ থেকে ‘কে টু’ ফর্মে নাম তুলে দ্রুত তা ব্লক এবং জেলা প্রশাসনের কাছে তথ্য পাঠানো পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে।
বালকডি কেবিএম হাইস্কুল সূত্রে খবর, ওই স্কুলে ১৮ বছরের নীচে কন্যাশ্রী ক্লাবের ‘কে ওয়ান’ ফর্মপূরণ করা সদস্যের সংখ্যা ৩৬২ জন। ‘কে টু’-তে উত্তীর্ণ হওয়া ১৮ বছরের উপরের সদস্যের সংখ্যা ৬২ জন। দ্রুত ডেটা আপলোড করা এবং তথ্য একশো শতাংশ নির্ভূল হওয়ার কাজে তারা গুরুত্ব দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, ওই ফর্ম পূরণ করে দ্রুত তা স্থানীয় ব্লক অফিসে এবং জেলাশাসকের অফিসে পাঠানো হয়েছিল।
কন্যাশ্রীদের হাত ধরে নতুন পুরুলিয়াকে পেতে চায় প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy