প্রতীকী ছবি
পঞ্চায়েত গঠনের পরে, এই প্রথম একশো দিনের প্রকল্পে কাজ পেয়েছিলেন গ্রামবাসী। কিন্তু অভিযোগ, তৃণমূল ও বিজেপির চাপানউতোরে প্রথম দিন কিছু সময় কাজ হওয়ার পরে, তা সাময়িক ভাবে স্থগিত হয়ে গিয়েছে। বুধবার পুরুলিয়া ২ ব্লকের হুটমুড়া পঞ্চায়েতের ধানশুঁড়া গ্রামের ঘটনা।
খবর পেয়ে এ দিন গ্রামে যান বিডিও বিজয় গিরি ও পুরুলিয়া মফস্সল থানার আইসি সঞ্জয় চক্রবর্তী। বিডিও বলেন, ‘‘কাজ নিয়ে স্থানীয় ভাবে সমস্যা তৈরি হয়েছে। জানিয়েছি, গ্রামের মানুষ একশো দিনের প্রকল্পে কাজ চেয়েছেন। তাই কোনও ভাবেই কাজে বাধা তৈরি করা চলবে না। যাঁরা আপত্তি তুলেছেন, তাঁদের বক্তব্য শোনার জন্য বৃহস্পতিবার ব্লকে ডাকা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে কাজ হবে না।’’
পঞ্চায়েত নির্বাচনে হুটমুড়ায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জিতলেও শেষে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। তার পরে থেকে ধানশুঁড়া গ্রামে একশো দিনের কাজ শুরু করতে পারেনি পঞ্চায়েত, এমনই অভিযোগ। সম্প্রতি ‘পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর সমিতি’ উদ্যোগী হয়ে গ্রামের শ্রমিকদের জন্য একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ চেয়ে নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন জানানোর কাজ করে। সেইমতো বুধবার থেকে ওই গ্রামে ‘হাপা’ খনন ও ফলের গাছ লাগানোর জন্য মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করে পঞ্চায়েত।
তবে এ দিন কাজ শুরুর পরেই দুই দলের মধ্যে তরজা শুরু হয় বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান শেখ ইনামউদ্দিনের অভিযোগ, ‘‘বিজেপির বিরোধিতায় ধানশুঁড়া গ্রামে একশো দিনের কাজ শুরু করতে সমস্যা হচ্ছিল। এ দিন কাজ শুরু হলেও ওই দলের লোকজন এসে কাজে বাধা দিয়েছে।” তবে সে অভিযোগ উড়িয়ে গ্রামের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সুধাংশু মাহাতোর দাবি, ‘‘আমরা কখনই কাজে বাধা দিতে যাইনি। শুধু জানতে চেয়েছিলাম, কী প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কোন শ্রমিকেরা কাজ পাচ্ছেন?” তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত আমাদের অন্ধকারে রেখে কাজ করাচ্ছে বলেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।” যদিও শেখ ইনামউদ্দিনের বক্তব্য, ‘‘বিজেপির সদস্যদের সব সময়েই পঞ্চায়েতের সভায় ডাকা হয়। ওঁরা অনুপস্থিত থাকেন। এখন ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন।”
এ দিকে কাজ শুরু হওয়ার পরে, তা স্থগিত হওয়ায় বিপাকে গ্রামের শ্রমিকেরা। অরবিন্দ মাহাতো, শিখা মাহাতো, চৈতু মাহাতোরা বলেন, ‘‘অনেক দিন পরে কাজ পেয়েছিলাম। সেই কাজও বন্ধ হয়ে গেলে খুব সমস্যায় পড়তে হবে।” অন্য দিকে, ‘পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর সমিতি’র তরফে প্রেমচাঁদ মাইতি বলেন, ‘‘শ্রমিকেরা যাতে কোনও ভাবেই কাজ থেকে বঞ্চিত না হয়, তার জন্য দু’দলের কাছেই আবেদন রেখেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy