খাতা আটক।—নিজস্ব চিত্র।
ছাত্রছাত্রীরা অনুপস্থিত। তবু স্কুলের খাতায় তাদের উপস্থিত দেখিয়ে মিড-ডে মিলের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তুলে থানায় খবর পাঠিয়ে স্কুলের অফিসঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসী। স্কুল ছুটির ঠিক আগে সোমবার বিকেলে বিষ্ণুপুর থানার মড়ার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার যমুনাবাঁধ কলোনি প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা।
গ্রামবাসীর ক্ষোভ, দিনের পর দিন এই স্কুলে মিড-ডে মিল নিয়ে অনিয়ম চলছে। ছাত্রছাত্রী অনুপস্থিত থাকলেও উপস্থিত দেখানো হচ্ছে। এ ভাবেই তাদের খাবারের টাকা কার্যত লুঠ করা হচ্ছে। যদিও গ্রামবাসীর তোলা এই অভিযোগ মানতে চাননি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাসুদেব শিকারী। তাঁর পাল্টা দাবি, “মিথ্যা বদনাম দেওয়া হচ্ছে। এমন কিছুই হয়নি।” ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক নান্টু অধিকারীর ক্ষোভ, “আমার ছেলেকে গত জানুয়ারি মাসে বেশ কিছুদিনের জন্য ডাক্তার দেখাতে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেই সময় সে স্কুলে আসেনি। অথচ স্কুলের খাতায় তাকে হাজির দেখানো হয়েছে।” অন্য অভিভাবকদের দাবি, এমন নজির আরও রয়েছে। কারচুপি করে ছাত্রদের হাজির দেখিয়ে মিড-ডে মিলের টাকা প্রধান শিক্ষক নয়ছয় করছেন বলে তাঁদের দাবি। তাঁরা ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
গ্রামবাসীদের তরফে পিন্টু দাস বলেন, “আমরা লিখিত ভাবে বিডিও এবং বিদ্যালয় পরিদর্শককে ঘটনার কথা জানাচ্ছি।” পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি তাদের দেখার কথা নয়। তবু বিক্ষোভ থামাতে ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে খাতা এবং মিড-ডে মিলের হিসেব খাতা আটক করে নিয়ে এসেছে। যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে তা পাঠানো হবে। বিডিও (বিষ্ণুপুর) প্রশান্ত মাহাতো বলেন, “ঘটনার কথা জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত হবে।” একই মন্তব্য করেছেন বিষ্ণুপুরের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) সুমনা দে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy