Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
রামায়ণ

কৃত্তিবাসের রামকথা

কৃত্তিবাস বাল্মীকির কাব্যে গেঁথেছিলেন নতুন কাহিনি। তাঁর সেই যাত্রাপথের কথা কল্পনা করা হয়েছে এই আখ্যানে। আজ তৃতীয় পর্ব। লিখছেন অলখ মুখোপাধ্যায়জয়গোপালকে নিজের চণ্ডী সংক্রান্ত পুস্তকটিতে কবিকঙ্কণের চণ্ডীর এমন অনেক পুথি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ভূরি ভূরি প্রমাদ সংশোধন করতে হয়েছিল। মনে পড়েছিল পিতা কেবলরাম তর্কপঞ্চাননের কথা।

জয়গোপাল বললেন, ‘‘বলো তো, কৃত্তিবাসে কেন দশরথ রাম-লক্ষ্মণকে নিয়ে ওই চণ্ডালের রাজ্যে গিয়েছিলেন?’’

জয়গোপাল বললেন, ‘‘বলো তো, কৃত্তিবাসে কেন দশরথ রাম-লক্ষ্মণকে নিয়ে ওই চণ্ডালের রাজ্যে গিয়েছিলেন?’’

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২০ ১১:০৮
Share: Save:

জয়গোপাল ঘরের জানলা খুলে রাখেন। তাঁকে এক সঙ্গে অনেক পুথি নিয়ে কাজ করতে হয়। সেই পুথি ভাল থাকে বাতাস ও আলোয়। তার উপরে মনও সন্তুষ্ট থাকলে, সর্বত্রই যেন শরতের আলোয় ভরা থাকে। কৃত্তিবাসের অনেক পুথি পাওয়া গিয়েছে। জয়গোপাল তাই কেরির বই ছাড়া নানা পুথি মিলিয়েও পঙ্‌ক্তিগুলি পড়ছেন। যেমন, যুদ্ধকালে রাবণকে গালি দিচ্ছে অঙ্গদ। একটি পঙ্‌ক্তি শুরু হচ্ছে, ‘তুই ছাড় দুরাচারী’ দিয়ে কিন্তু পরের বাক্যটিতেই ‘‘হরিলে পরের নারী’। জয়গোপাল ‘হরিলে’ শব্দটি বদলে ‘হরিলি’ করলেন। কেননা, আগে রাবণকে ‘তুই’ বলা হয়েছে। রাবণকে ভয় দেখানো হচ্ছে। সেই ভয় বৃদ্ধি করতে তার পরের বাক্যে ‘জীবনে নাহি তোর ভয়’ বদলে করলেন ‘পরলোকে নাহি তোর ভয়’। পূর্ব পাঠে ‘মহা রাজা’ দু’টি শব্দ। জয়গোপাল তাকে একটি শব্দ ‘মহারাজা’ করলেন। তার পরে ছন্দ মেলাতে ‘শ্রীরাম তাহার তনয়’ বদলে করলেন ‘শ্রীরাম যে তাহার তনয়।’ পুথিতে পেলেন ‘যাহার ধনুক টান ত্রিভুবনে কম্পবান’। জয়গোপাল করলেন, ‘যাহার দুর্জয় বাণ ভয়ে বিশ্ব কম্পবান’। পূর্ব পাঠে যখন পেলেন ‘সুগ্রীবের বিক্রম যত তাহাবা কহিব কত সে সকল হইব বিদিত’ তিনি ‘তাহা বা’ ছাড়িয়ে দিলেন। জয়গোপালের সম্পাদনায় সুগ্রীবের ‘বিক্রম’ হল ‘বল’। তার পরে ‘হইব’-কে ‘হইবি’ করলেন। এর পরে পুথিতে ছিল, ‘শুন রাজা লঙ্কেশ্বর আমার বচন ধর আমি আইলাম তোমার গোচর। শ্রীরাম সাগর পার তোর নাহিক নিস্তার জমদ্বার নিকট যে তোর’। জয়গোপাল করলেন, ‘শুন রাজা লঙ্কেশ্বর আমার বচন ধর আইলাম দিতে সমাচার। শ্রীরাম সাগর পার নাহিক নিস্তার আর নিকটে যে তোর যমদ্বার’। জ হল য।

জয়গোপালকে নিজের চণ্ডী সংক্রান্ত পুস্তকটিতে কবিকঙ্কণের চণ্ডীর এমন অনেক পুথি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ভূরি ভূরি প্রমাদ সংশোধন করতে হয়েছিল। মনে পড়েছিল পিতা কেবলরাম তর্কপঞ্চাননের কথা। পাঠ দু’প্রকার। একটি হল জনস্থান-কেন্দ্রিক শিক্ষা, যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেয়। আর একটি একান্ত নিজস্ব পাঠ-সঞ্চয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব রয়েছে। কেননা, সমাজের অন্তত একটি অংশের জ্ঞানের একটি সাধারণ ভিত্তি তৈরি হয়। পরীক্ষা, উপাধিগ্রহণ ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় তার মানদণ্ডও রয়েছে। আর, একান্ত সঞ্চয়টি পাঠককে স্বতন্ত্র চরিত্র দেয়। সে এগোয়।

কৃত্তিবাসেরও এই দুই-ই ছিল। নারসিংহ ওঝার পরিবারে তাঁর জন্ম। আদিত্যবার শ্রীপঞ্চমী পূর্ণ মাঘ মাস। আদি বাসস্থানে প্রমাদ ঘটায় তাঁরা চলে এসেছিলেন গঙ্গাতীরে। রজনী প্রভাত হতে যখন আর সামান্য বাকি, কুকুরের ডাক শোনা গেল। আকাশবাণী হল। এখানে আগে মালী জাতি ছিল। এখন তার নাম ফুলিয়া। দক্ষিণ-পশ্চিমে গঙ্গা বয়ে যায়, সেখানেই ঘর হল। সেখানেই জন্ম গর্ভেশ্বরের। তত দিনে এই মুখোপাধ্যায় বংশ সম্পন্ন হয়ে উঠেছে। গর্ভেশ্বরের পুত্র মুরারি, সূর্য, গোবিন্দ। বংশের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ছিল বারাণসী পর্যন্ত। সেই বংশের সন্তান কৃত্তিবাস। বাবা বনমালী, মায়ের নাম খুব সম্ভবত মালিনী। পারিবারিক জ্ঞানসঞ্চয় সঙ্গে নিয়ে এক বৃহস্পতিবারের উষা পোহালে তিনি পড়তে গেলেন উত্তরের দেশে। সেই অধ্যাপক যেন ব্যাস, বশিষ্ঠ, বাল্মীকি, চ্যবন। তার পরে কৃত্তিবাস যান রাজার দুয়ারে।

জয়গোপালের ঘরে এসেছিলেন তর্কবাগীশ। জয়গোপাল তাঁকে বললেন, ‘‘সে দিন ভাবছিলাম কমলাকান্তের কথা। তোমার কি মনে হয়, কমলাকান্ত যে কাজ করছে, তার উপযুক্ত মর্যাদা পাবে?’’ তর্কবাগীশ বললেন, ‘‘সাহেবরা সব গ্রাস করে নেবে বলছ?’’ জয়গোপাল বললেন, ‘‘ওরা এক প্রাচীন রাজার অস্তিত্ব আবিষ্কার করছে, সে রাজা কে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। মনে করা হচ্ছে সিংহলের সূত্র থেকেই প্রাপ্ত এক রাজা অশোকের কথা। কিন্তু এই অনুসন্ধান ব্যয়সাপেক্ষ। লোকবলও চাই।’’ তর্কবাগীশ বললেন, ‘‘ঠিকই বলেছ ভায়া। অর্থবল, লোকবলে দেশের রাজারাই কৃতিত্ব হরণ করে নেয়।’’ জয়গোপাল তৎক্ষণাৎ বিদ্যুতের ঝলকের মতো উত্তর দিলেন, ‘‘যদি রচনাকর্মটির কোনও বিশেষ চরিত্র থাকে, তা হলে কিন্তু তা হরণ করা সম্ভব নয়। রাজা নয়, অন্য কোনও লেখকেরও নয়।’’ তর্কবাগীশ বললেন, ‘‘আর একটু পরিষ্কার করে বলো ভায়া!’’ জয়গোপাল বললেন, ‘‘খেয়াল করো, ফোর্ট উইলিয়ম কালেজ, মিশনের কাজ, সমাচার দর্পণে কত পণ্ডিত জড়িয়ে। কিন্তু তাদের নাম কেউ জানে না। জানে কেরি, মার্শম্যান, হ্যালহেডের কথা।’’ বিষণ্ণ হলেন তর্কবাগীশ। জয়গোপাল অস্থির হয়ে পায়চারি করতে করতে বললেন, ‘‘বাল্মীকিও কৃত্তিবাসকে গ্রাস করে নিতে পারতেন। কৃত্তিবাস তাই স্বতন্ত্র একটি কাব্য লিখতে চেয়েছিলেন। শুধু বাংলাতেই লেখা বলে নয়, কাহিনিতেও অভিনবত্ব রয়েছে। এবং মনে হয়, একটি প্রতিযোগিতাও ছিল।’’ তর্কবাগীশ অবাক। জয়গোপাল স্মিত হেসে বললেন, ‘‘খেয়াল করো, কৃত্তিবাস কতটা খোলাখুলি নিজের প্রশংসা করছেন— ‘পঞ্চদেব অধিষ্ঠান আমার শরীরে। সরস্বতীপ্রসাদে শ্লোক মুখ হৈতে স্ফুরে।।’ এই ধরনের আত্মপ্রশংসা খুব সাধারণ বলে তোমার মনে হয়?’’ তর্কবাগীশও একটু অবাকই হলেন কথাটা শুনে। বললেন, ‘‘ঠিকই। বিনয়ই রীতি ছিল। তবে জয়দেব কিন্তু নিজেকে ধোয়ী, শরণ, গোবর্ধন, উমাপতির চেয়ে এগিয়ে রেখেছিলেন।’’

জয়গোপালের মুখ প্রফুল্ল হয়ে উঠল। তিনি বললেন, ‘‘তবেই দেখ! একটা প্রতিযোগিতা রয়েছে, তাই নিজের গুণকীর্তন করতে হচ্ছে। কৃত্তিবাসও বলছেন, ‘যত যত মহা পণ্ডিত আছ এ সংসারে। আমার কবিতা কেহ নিন্দিতে না পারে।।’ এই পঙ্‌ক্তিগুলো‌ শুনে মনে হয়, কবিযশপ্রার্থী, রাজপণ্ডিত অভিলাষী একা কৃত্তিবাস ছিলেন না। তাঁকে বলতে হচ্ছে, ‘মুনি মধ্যে বাখানি বাল্মীকি মহামুনি। পণ্ডিতের মধ্যে কৃত্তিবাস গুণী।।’ অর্থাৎ, কৃত্তিবাস মনে করছেন, বাল্মীকির কাব্যে সত্যিই আরও যোগ করার রয়েছে। বাল্মীিক ‘মহামুনি’, আর তিনি ‘পণ্ডিত’ ও ‘গুণী’। দ্বিতীয়ত, বহুবচন তিনিই ব্যবহার করছেন—‘পণ্ডিতের মধ্যে কৃত্তিবাস গুণী।’ প্রতিযোগীদের নিেয় এই আশঙ্কা দূর হয় সম্ভবত রাজার প্রশ্রয়ে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কৃত্তিবাসের প্রতিযোগীদের পুথি সমস্ত কোথায় গেল? সব কৃত্তিবাসেই গ্রাস হয়ে যায়নি তো? বাল্মীকিতে নেই এমন যে সব কাহিনি লিখেছেন, সে সব তাঁরই লেখা তো?’’

জয়গোপাল বলতে থাকলেন, ‘‘প্রমাণ আমি দিতে পারব না। কিন্তু ইঙ্গিতের কথা বলতে পারি।’’ জয়গোপাল বললেন, ‘‘লিপিকারদের ক’জন শুধু লিপিকার, ক’জন কবি, তা বোঝা শক্ত। তার পরে দেখো, পরস্পর বিরোধিতা। দুই নারীর রতিতে ভগীরথের জন্ম হল। বেশ। কিন্তু স্বাভাবিক পুত্র নয়। মাংসপিণ্ড। এ বার কৃত্তিবাস ভগীরথকে স্বাভাবিক রূপ দিচ্ছেন অষ্টাবক্র মুনিকে কাহিনিতে এনে। মনে হচ্ছে, লেখক যেন দুই ভিন্ন ব্যক্তি। এর পরেই কৃত্তিবাস নিজের পরিচয়ে শুধু ‘পণ্ডিত’ নয়, ‘কবিত্বে বিচক্ষণ’ বিশেষণটিও যোগ করেছেন। যেন সমাজের বৈদ্য তিনি।’’ তর্কবাগীশ বললেন, ‘‘তোমার ‘যেন সমাজের বৈদ্য’ কথাটা চমৎকার।’’ জয়গোপালের উত্তর, ‘‘ভেবেচিন্তেই বলেছি। বাল্মীকির অহল্যা ইন্দ্রকে চিনতে পেরেছিলেন। পছন্দের স্বাধীনতায় দেবরাজকে গ্রহণ করেছিলেন। কৃত্তিবাসের তা পছন্দ হল না। তাঁর অহল্যা গৌতম ভেবেই ইন্দ্রের বাসনা নিবৃত্ত করলেন। তাতে স্বাধীনতাও গেল, মর্যাদা গেল, আনন্দও গেল।’’ তর্কবাগীশ হঠাৎ হো-হো করে হেসে উঠলেন। জয়গোপাল অবাক হয়ে তাকাতে বললেন, ‘‘তোমার জ্বালায় আমিও কৃত্তিবাস পড়ছি। তাতে এই ঘটনার পরে লেখা হয়েছে, ‘জানিলেন ধ্যানেতে গৌতম মুনিবর। জাতিনাশ করিল আসিয়া পুরন্দর।। ইন্দ্র ইন্দ্র বলিয়া ডাকেন মুনিবর। পুঁথি কাঁখে করিয়া আইল পুরন্দর।।’’’ জয়গোপাল বললেন, ‘‘বেশ। কিন্তু তাতে হাসির কী হল?’’ তর্কবাগীশ ধীরে বললেন, ‘‘দেখো, ইন্দ্র তো জানতেন, গৌতম কেন ডেকেছেন? তার পরেও ভাল ছেলেটির মতো পুথি বগলে হাজির হওয়াটা আমাকে ছেলেবেলার কথা মনে করিয়ে দিল। আমরাও এমনই করতাম।’’ দুই পণ্ডিতের নির্মল অট্টহাসে ভরে উঠল শরতের সকাল।

জয়গোপাল বললেন, ‘‘তা তুমি গুরুপত্নীর দিকে তাকিয়েও ছিলে না কি?’’ তর্কবাগীশের উত্তর, ‘‘তাকালে আমাকে বা তাঁকে, কাউকেই দোষ দিতে পারো না। কুলীন গুরু শেষ বয়সেও আবার বিবাহ করছিলেন। গুরুপত্নীর মহিমার আড়ালে থাকতেন সেই অপরূপা। ভুলিনি।’’

জয়গোপাল উত্তেজিত হয়ে বললেন, ‘‘এই সামাজিক মহিমার কথাটা গুরুত্বপূর্ণ। দেখো, বাল্মীকি-কৃত্তিবাসে আর একটি বড় ভেদ গুহ। গুহর সঙ্গে বনবাসে যাওয়ার আগে রামের দেখা হয়েছিল কি না, বোঝা যায় না। কিন্তু গুহ রামকে প্রথম সাক্ষাতেই মিত্র বলে সমাদর করেছিলেন। কৃত্তিবাসি রামায়ণে গুহর একটি পুরো কাহিনি যুক্ত হয়েছে। গুহ-কে গুহকও বলা হয়েছে। যা আমার সন্দেহের আর একটি কারণ। লেখক এক জন হলে চরিত্রের নাম একই থাকত। যাই হোক, কৃত্তিবাস লিখছেন, তিন কোটি চণ্ডাল সহযোগী নিয়ে গুহক দশরথের পথরোধ করেন। দশরথ পাশুপত অস্ত্রে তাঁকে বেঁধে ফেলেন। সেই হাত বাঁধা অবস্থাতেই রথে গুহক পায়ে ধনুকের ছিলা টেনে তাতে তির বসানোর চেষ্টা করছিলেন। এই রীতি কৃত্তিবাস নবাবের দরবারে দেখে থাকতে পারেন। যাই হোক, গুহকের এই কীর্তি দেখে লক্ষ্মণ রামকে ডেকে আনেন। রামকে দেখে গুহক জানান, তিনি আসলে বশিষ্ঠের পুত্র বামদেব। দশরথ অন্ধক মুনির পুত্রকে হত্যা করার পরে শোকে, পাপভয়ে তাঁর আশ্রমে এসে তাঁর পায়ে পড়েছিলেন। তখন বামদেব তাঁকে তিন বার রামনাম করতে বলেন। সে কথা শুনেই ক্ষুব্ধ হন বশিষ্ঠ। এক বার রামনামে তিন কোটি ব্রহ্মহত্যা পাপ নিবারণ হয়। সে ক্ষেত্রে দশরথ তিন বার রামনাম করায় ভয়ঙ্কর পাপ থেকে মুক্তি তো পেলেনই, সঙ্গে পেলেন অনেক পুণ্য। এ যথার্থ ন্যায়বিচার হল না বলেই মনে হয়েছিল বশিষ্ঠের। তাই ন্যায়বিচারে অসমর্থ পুত্রকে অভিশাপ দেন চণ্ডাল হয়ে জন্মানোর।’’ জয়গোপাল বললেন, ‘‘বলো তো, কৃত্তিবাসে কেন দশরথ রাম-লক্ষ্মণকে নিয়ে ওই চণ্ডালের রাজ্যে গিয়েছিলেন?’’ তর্কবাগীশ স্মৃতি হাতড়াচ্ছেন দেখে জয়গোপালই বলে দিলেন, ‘‘দশরথ যাচ্ছিলেন গঙ্গাস্নান করতে। আচ্ছা, তর্কবাগীশ, বাল্মীকির রামায়ণে গঙ্গা এবং রামের এমন মহিমা সম্ভব?’’ তর্কবাগীশ হেসে ফেললেন। জয়গোপাল বলেন, ‘‘কিন্তু কৃত্তিবাসের বা অন্য লেখকদের সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তিতে রামনামের এমন মহিমা সম্ভব। সেই মহিমাকে মানদণ্ড করেই পাঠান্তরে ন্যায়-অন্যায় সাজাচ্ছেন কৃত্তিবাস। সেই তুলাদণ্ড অন্য কবিরাও ব্যবহার করতে পারে।’’

পরের পর্ব আগামী রবিবার

(এই কাহিনি আদ্যন্ত কাল্পনিক চরিত্ররা অনেকেই ঐতিহাসিক অঙ্কন: কুনাল বর্মণ)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ramayana Ram Krittibas Ojha Mythology
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE