Advertisement
E-Paper

দিল্লি ডায়েরি

ছিলেন সাংবাদিক, পরে সাংসদ, আর এখন পুরোদস্তুর রাজনৈতিক নেতা। তিনি রাজ্যসভার সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত। রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য, কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই বিজেপি-র সক্রিয় রাজনীতির অঙ্গ।

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৭ ০৮:১০

পুরনো অ্যালবামের পাতায় ‘সন্তোষদা’

সময় দ্রুতগামী। শিলচরের সন্তোষমোহন দেব, কংগ্রেসের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেব মারা গেলেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিষণ্ণ মনে নিজের পুরনো অ্যালবাম দেখতে দেখতে কালীঘাটের বাড়িতে মেঝেতে বসা সন্তোষবাবুর এই পুরনো ছবিটি দেখতে পেলেন। এত ব্যস্ত জীবন, তবু শোকাহত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্মৃতিচারণ করতে শুরু করলেন ‘সন্তোষদা’-র। বললেন, ‘‘তিনি খেতে ভালবাসতেন, আমাদের বাড়িতে এই ছোট্ট ঘরের মেঝেতে বসেই আমার হাতের রান্না খেতেন।’’ মমতা নিজে নিজেই নানা রকম পদের রেসিপি আবিষ্কার করে রাঁধতেন।

স্মৃতি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির অ্যালবামে সন্তোষমোহন দেব

স্বপনে জাগরণে

ছিলেন সাংবাদিক, পরে সাংসদ, আর এখন পুরোদস্তুর রাজনৈতিক নেতা। তিনি রাজ্যসভার সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত। রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য, কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই বিজেপি-র সক্রিয় রাজনীতির অঙ্গ। টিভি চ্যানেলে, সংবাদমাধ্যমে দলীয় অঘোষিত মুখপাত্র। সাংসদের উন্নয়ন তহবিলের টাকা বঙ্গসন্তান পাঠাচ্ছেন পূর্ব মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে। বিজেপির বাংলা অভিযানেও তিনি এখন এক থিংক ট্যাংক। পাশাপাশি রাজ্যের মানুষের জন্য বহু প্রকল্পের কাজ করাচ্ছেন।

স্মৃতির বাড়িতে ‘তিজ’

স্মৃতি ইরানির বাড়িতে চমৎকার ‘তিজ পার্টি’ হয়ে গেল সম্প্রতি। অতিথির সংখ্যা ছিল প্রচুর। এই মুহূর্তে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা, স্মৃতি আবার প্রধানমন্ত্রীর নেকনজরে। মানবসম্পদ উন্নয়ন থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বস্ত্রমন্ত্রকে। সে তো আছেই, এখন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকেরও অতিরিক্ত দায়িত্ব তাঁর। স্মৃতির বাবা পঞ্জাবি, মা ‘বাগচী’ পদবিধারী বাঙালি, স্বামী পার্সি। বাড়িতে বহু ধর্মের, বহু সংস্কৃতির সহাবস্থান। সরস্বতী পুজো, বিজয়া দশমী হয়, পাশাপাশি নানান পার্সি উদ্‌যাপন, আবার ‘তিজ’ উৎসবও। সে দিন পার্টিতে খুব বৃষ্টি হল, কিন্তু অতিথি-সৎকারে বাধা পড়েনি কোনও।

বিদায়ী ভোজ

উপরাষ্ট্রপতির নির্দিষ্ট বাংলো আছে দিল্লিতে। ৬ নম্বর মৌলানা আজাদ রোড। বেঙ্কাইয়া নাইডুর বাসভবন এখন ৩০ আওরঙ্গজেব রোড। শুধু এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়াই না, সাংবদিকদের সঙ্গে আড্ডা— এই সবও আর করা যাবে না। বেঙ্কাইয়া নিজেই এসএমএস করে দিল্লির সাংবাদিকদের বাড়িতে ডেকে এক এলাহি মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করেছিলেন। অন্ধ্রপ্রদেশের নানা আমিষ পদ ছিল, মালাবার থেকে চিংড়ি এসেছিল। আচারই ছিল প্রায় কুড়ি রকমের। মধ্যাহ্নভোজন শেষে তিরুপতি বালাজির সুন্দর ফ্রেমবন্দি ছবি সকলকে উপহার দিয়েছেন। অভ্যাগতদের মুখে তাই ‘জয় তিরুপতি মহারাজ! জয় লর্ড বিষ্ণু!’ ধ্বনি।

ওয়েবাকুফ

শাব্দিক: শশী তারুর

শশী তারুর মানেই খবর, সব সময় নতুন কিছু। সম্প্রতি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নতুন শব্দ আবিষ্কার করে জনপ্রিয় হয়েছেন। শব্দটি হল ‘ওয়েবাকুফ’। মানে ওয়েব-বেঅকুফ। যিনি ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সব তথ্য বা অভিযোগ ইত্যাদি প্রচারিত হয়, তার সব কিছুই সত্য বলে বিশ্বাস করে নেন, তিনিই ওয়েবাকুফ। এর আগেও শশী তাঁর টুইটে ‘ফারাগো’ (Farrago) শব্দটির ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছিলেন।

দেশদ্রোহের প্রমাণ

দিল্লির পাতিয়ালা আদালত। কাঠগড়ায় কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সাবির শাহ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেশদ্রোহিতার। ইডি-র আইনজীবী রাজীব অবস্তীর মত, পাকিস্তানের মদতে কাশ্মীরে অশান্তি ছড়াচ্ছে‌ন সাবির। তিনি দেশদ্রোহী, প্রমাণ করতে আদালতে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলতে বললেন সাবিরকে। দেশদ্রোহ প্রমাণের এহেন বিচিত্র পদ্ধতি দেখে সবাই থতমত। বিচারক সিদ্ধার্থ শর্মা বললেন, ‘‘এটা টিভি স্টুডিয়ো নয়।’’ সরকারি আইনজীবীকে পরামর্শ দিলেন, ‘‘এ সব যদি বলতে হয়, তা হলে টিভিতে যান।’’

জয়ন্ত ঘোষাল, অনমিত্র সেনগুপ্ত

Delhi Diaries
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy