যাওয়ার আগে এমন ব্যথা দিয়ে গেলেন!
বিদায়ক্ষণে: প্রধানমন্ত্রী সকাশে সস্ত্রীক অরবিন্দ পানাগড়িয়া
অটলবিহারী বাজপেয়ী যখন ফলি নরিম্যানকে রাজ্যসভায় নিয়ে এসেছিলেন, অনেকে সতর্ক করেছিলেন, বিপদে পড়বেন। সে আশঙ্কাই সত্যি হয়। গোধরা-কাণ্ডে নরিম্যান বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। এ বার অরবিন্দ পানাগড়িয়াকে নিয়ে একই অস্বস্তিতে নরেন্দ্র মোদী। অধ্যাপনার জগৎ থেকে জগদীশ ভগবতীর ভাবশিষ্যকে প্রায় জোর করেই নীতি আয়োগে এনেছিলেন তিনি। অচিরেই টের পান, অরবিন্দ নিজের অর্থনৈতিক আদর্শের পথেই চলবেন। এখন প্রস্থানলগ্নে শেষ রিপোর্টেও বলে গিয়েছেন, লগ্নির হাল ভাল না। প্রচার নয়, চাই সংস্কার। বিদায় নেওয়ার আগে অরবিন্দ সস্ত্রীক মোদীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। মোদী তাঁকে ছবি উপহার দিয়েছেন, রাজস্থানি প্রাতরাশ খাইয়েছেন। ক্ষমতার করিডরে গুঞ্জন, মোদী নাকি দুঃখ করে এও বলেছেন অরবিন্দকে, যাওয়ার আগে এমন ব্যথা দিয়ে গেলেন!
নারায়ণ নারায়ণ!
নারায়ণ রাণে-কে মনে আছে? ৬৫ বছরের এই মরাঠি নেতা ছিলেন বাল ঠাকরের ঘনিষ্ঠ শিবসেনা নেতা। ১৯৯৯ সালে বালাসাহেব তাঁকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী করেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিবাদে তিনি শিবসেনা ছাড়েন। যোগ দেন কংগ্রেসে। কিন্তু এখন কংগ্রেসেও একঘরে তিনি, কোনও কর্মসূচিতেই দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। হঠাৎ সে দিন মহারাষ্ট্রের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস তাঁর বাসভবনে চলে যান। দু’জনের মধ্যে কী গোপন কথাবার্তা চলল, সেই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তবে কি রাণে বিজেপিতে যোগ দেবেন? অ-মরাঠি মুখ্যমন্ত্রী কি এ বার ভোটের আগে মরাঠি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দলে চাইছেন শিবসেনাকে হারানোর ভয়ে?
অধরা বিজয়
‘জয়ী’ বল অচ্ছুতই রইল ‘বিজয়’-এর কাছে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামকরণ করা, পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হওয়া ফুটবল নিয়ে বড় আশা করে দিল্লি এসেছিলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সঙ্গে ছিলেন তাঁর অতীতের জুড়িদার গৌতম সরকারও। তৃণমূলের ফুটবলার সাংসদের ইচ্ছে ছিল, সংসদ চলাকালীন ছোট অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী বিজয় গোয়েলের হাতে বলটি তুলে দেবেন। বন্ধু গৌতম তিন দিন দিল্লিতে বসে থাকলেন। প্রত্যেক দিন ফোনে বিজয় সময় বলে দিতেন প্রসূনকে। যথাস্থানে অপেক্ষা করতেন এই ‘অর্জুন’ ফুটবলার। কিন্তু কোনও দিনই এসে পৌঁছতে পারলেন না ক্রীড়ামন্ত্রী। হতাশ হয়ে শেষ পর্যন্ত বিকল্প ব্যবস্থা। সংসদের নিরাপত্তারক্ষীদের ফুটবল টিমের হাতেই তুলে দেওয়া হল ‘জয়ী’-কে।
শৌর্য শেরপা!
নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষের পাশাপাশি জি-২০’তে প্রধানমন্ত্রীর ‘শেরপা’ বা প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করতেন অরবিন্দ পানাগড়িয়া। বরাবরই তাঁর মত ছিল, পাকাপাকি কাউকে এই দায়িত্ব দেওয়া উচিত। তাঁর বিদায়ের পর এ বার গুঞ্জন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ছেলে শৌর্যকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হবে। মোদী জমানায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন’-এর ডিরেক্টর শৌর্যর প্রভাব কম নয়। কূটনৈতিক স্তরেও তিনি ‘ট্র্যাক ১.৫’-এর কাজ চালান। অর্থাৎ, সরকারি স্তরে থাকেন না, আবার ‘ট্র্যাক টু’-তেও থাকেন না। মাঝামাঝি থাকেন। এ বার কি তবে বাবার মতো তিনিও ফাস্ট ট্র্যাকে!
ব্যস্ত রঘু
অতীতচারী: রাঘবেন্দ্র সিংহ
রাজধানীর জাতীয় মহাফেজখানায় ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলন নিয়ে সদ্য শেষ হল এক প্রদর্শনী। কিছু দিন আগে ‘ডান্ডি অভিযান’ নিয়েও বিশেষ ভিডিয়ো প্রদর্শনী হয়ে গেল। মহাফেজখানায় রক্ষিত আছে দুর্লভ ছবির সম্ভার। এখন গ্রন্থাগারের ডিজিটাইজেশন চলছে। সাধারণ মানুষ, ছাত্রছাত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। বাইরে লাগানো হয়েছে সব তথ্য জানানোর জন্য ডিজিটাল পরদা। ধুলো জমে যাওয়া এই সংস্থাকে উজ্জীবিত করেছেন পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আধিকারিক রাঘবেন্দ্র সিংহ। সবাই ডাকেন ‘রঘু’। তিনি রাজস্থানের মানুষ, একদা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিংহের ব্যক্তিগত সচিব। সম্প্রতি বালুচিস্তান নিয়ে বই লিখেও নজর কেড়েছেন। এখন এই সংস্থার ডিজি হয়ে অতীতের অনুসন্ধানে ব্যস্ত।
কবি কপিল
মনমোহন-সরকারে মন্ত্রী থাকার সময় কাজের মধ্যেও ইংরেজিতে কবিতা লিখতেন কপিল সিব্বল। নিজের বইও প্রকাশ করেছেন। নোট-বাতিল কাণ্ডে মোদী সরকারের নাক কাটা যাওয়ার পর কংগ্রেস নেতা ফের কবিতায়। ডিমনিটাইজেশন নিয়ে লিখেছেন, ‘গেন ফর দ্য রিচ, পেন ফর দ্য পুওর, ক্যাশ ব্যাক ইন সিস্টেম, এক্সপোজড দেয়ার উইসডম। নাও দিস ইজ আওয়ার টেক, দেয়ার প্রমিসেস ফেক।’
জয়ন্ত ঘোষাল, অগ্নি রায়,
প্রেমাংশু চৌধুরী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy