Advertisement
E-Paper

দিল্লি ডায়েরি

গুজরাতের ভোটের ফল যা-ই হোক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাহুল গাঁধীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। মমতা রাহুলকে ফোনে নানা পরামর্শ ও মতামত দেন।

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:০০
শিক্ষাপ্রেমী: চন্দন বসু ও তাঁর স্ত্রী রাখী বসু

শিক্ষাপ্রেমী: চন্দন বসু ও তাঁর স্ত্রী রাখী বসু

রাজনীতি থেকে দূরে, কাজে মগ্ন দু’জনে

চন্দন বসু কোথায়? জ্যোতি বসুর জমানায় পুত্র চন্দন প্রায়ই খবরে থাকতেন। এখন সিপিএম নেতাদের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ নেই, কলকাতার অভিজাত ক্লাব কালচারেও নেই তিনি। স্ত্রী রাখীর সঙ্গে চন্দন এক সামাজিক উন্নয়নমুখী সংস্থা গড়ে তুলেছেন: জ্যোতি বসু মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন। দু’জনেই এই নিয়ে ব্যস্ত। সর্বত্র জানাচ্ছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের জন্য তাঁরা সেবামূলক কাজ করতে চান। তবে এই ফাউন্ডেশনের ব্যাপারে কেন্দ্র বা রাজ্য কারও কাছেই সাহায্য চান না, নিজেদের সঞ্চিত অর্থ নিয়ে কাজ করছেন। ফাউন্ডেশনের কাজ নিয়ে বিশেষত রাখী খুবই সক্রিয়। প্রায়ই দিল্লি আসছেন, এখানে ফাউন্ডেশনের একটি অফিসও খুলবেন। রাখী জানিয়েছেন, মূলত শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়েই কাজ করতে চান তাঁরা, রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তাঁদের। মা’কে এই কাজে সাহায্য করছে তাঁদের ছেলে, জ্যোতিবাবুর নাতি শুভজ্যোতিও।

বিরোধে বন্ধু

গুজরাতের ভোটের ফল যা-ই হোক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাহুল গাঁধীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। মমতা রাহুলকে ফোনে নানা পরামর্শ ও মতামত দেন। রাহুলও কাজের মধ্যে মমতাকে এসএমএস-এ উত্তর দেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সভাপতিকে জানিয়েছেন, গুজরাতের ভোটের ফল যা-ই হোক, নৈতিক দিক থেকে বিজেপি ইতিমধ্যেই পরাস্ত। যে ভাবে প্রধানমন্ত্রী হয়েও নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তান নিয়ে প্রচার চালালেন তাতে বোঝা যাচ্ছে বিজেপি আসলে নাজেহাল। রাহুল উত্তর দিয়েছেন, আপনাকে আমি শ্রদ্ধা করি, আপনার মত মূল্যবান। মমতা চাইছেন, ১৫ ডিসেম্বর সংসদের অধিবেশন শুরু হয়ে গেলে সব অ-বিজেপি দলগুলিকে নিয়ে কংগ্রেস মোদী-বিরোধী সম্মেলন ডাকুক। কখনও কলকাতা, কখনও চেন্নাই, এ ভাবে নানা জায়গায় সম্মেলন হোক। ২০১৯-এর আগে এ ধরনের সম্মেলন হলে তবেই না গতি লাভ করবে বিরোধী রাজনীতি! রাহুল মমতাকে বলেছেন, দিল্লি আসুন। কথা হবে।

নতুন খবর

গুজরাত নির্বাচনকে ঘিরে যখন পাকিস্তান একটা বড় আলোচ্য বিষয়বস্তু হয়ে উঠল, ঠিক তখনই নরেন্দ্র মোদীর সচিবালয়ে এল এক ভিন্ন খবর। পাকিস্তানে নাকি খুব শিগগির আবার সামরিক শাসন কায়েম হতে পারে। নওয়াজ শরিফ যাতে আবার রাজনীতিতে ফিরে আসতে না পারেন, সে জন্য এই ‘ক্যু’ হতে পারে। সম্প্রতি তেহরিক-ই-লাবাইক পাকিস্তানে ৪০০০ বিক্ষোভকারীকে নিয়ে জাতীয় সড়কগুলো সপ্তাহব্যাপী বন্ধ রাখতে বাধ্য করে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের খবর, এই বিক্ষোভের পিছনে আছে সেনা। সুপ্রিম কোর্টকেও ইসলামাবাদে সেনাবাহিনী অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু পাকিস্তানে সেনাবাহিনী যদি আবার ক্ষমতা হাতে নেয়, তাতে ভারতের লাভ না লোকসান, তা নিয়ে বিতর্ক আছে খোদ সাউথ ব্লকেই!

মন্তব্য, গন্তব্য

খবরে: সুধীন্দ্র কুলকার্নি

সুধীন্দ্র কুলকার্নিকে মনে আছে? অটলবিহারী বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন সুধীন্দ্র ছিলেন তাঁর ওএসডি— অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি। লালকৃষ্ণ আডবাণীরও খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন সুধীন্দ্র, রামরথ যাত্রায় আডবাণীর সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন। তার পর আডবাণীর বিতর্কিত পাকিস্তান সফরেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সুধীন্দ্রের সম্পর্ক অহি-নকুল। আপাতত তিনি মুকেশ অম্বানীদের থিংক ট্যাঙ্কের মুম্বই-প্রধান। চিন ও পাকিস্তানে ঘন ঘন যান। ট্র্যাক-টু কূটনীতিতে বেশ সক্রিয়। সুধীন্দ্র সম্প্রতি কংগ্রেসের মুখপত্র ন্যাশনাল হেরাল্ড-এ এক প্রতিবেদনে লিখেছেন, রাহুল গাঁধীই ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। এ তো কার্যত বোমা ফাটানো! তবে সুধীন্দ্র রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। অতএব তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণের প্রশ্ন নেই। জল্পনা চলছে, সুধীন্দ্র কি তা হলে অদূর ভবিষ্যতে কংগ্রেসে যোগ দেবেন? কর্নাটকের ব্রাহ্মণ সুধীন্দ্র প্রথমে ছিলেন কমিউনিস্ট, পরে বিজেপির সংস্পর্শে আসেন। এ বার কি গন্তব্য কংগ্রেস?

বাটার কফি

দেশভাগের পর পেশওয়ার থেকে দিল্লি চলে এসেছিলেন কুন্দনলাল গুজরাল। রেস্তরাঁ খুলেছিলেন দরিয়াগঞ্জে। তাঁর হাতেই তৈরি দিল্লির বিখ্যাত বাটার চিকেন। আগের দিনের থেকে যাওয়া মুরগির মাংসকে টমেটো ও মাখন দিয়ে রেঁধে ফেলা সেই পদের এখন আবিশ্ব খ্যাতি। বাটার চিকেনের মতো নাম না হলেও, গত ক’বছর শীতে পুরনো দিল্লিতে সাড়া ফেলেছে বাটার কফি। কফির মধ্যে এক দলা মাখন! স্বাদে নোনতা এই কফি খেলে নাকি গা গরম হয়! ঠান্ডা বাড়তে তাই বাটার কফিরও বিক্রি বেড়েছে দিল্লিতে।

জয়ন্ত ঘোষাল, প্রেমাংশু চৌধুরী

Delhi Diaries
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy