Advertisement
E-Paper

দিল্লি ডায়েরি

মোদী কেরলে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন। পিনারাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে, কুশল বিনিময়ও। কিন্তু তাঁর কমরেডরা জানেন, রাগ পুষে রেখেছেন পিনারাই।

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৮ ০০:০০

রাগ পুষে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই

এই ফাইলটা আমি মিডিয়াকে দিচ্ছি না। অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও দিচ্ছি না। শুধু কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকেই দিচ্ছি। নরেন্দ্র মোদী নাকি এমনই বলেছিলেন পিনারাই বিজয়নকে। ভাবখানা এমন, ফাইলে পিনারাইয়ের বিরুদ্ধে যথেষ্ট অস্ত্র মজুত, তা সত্ত্বেও মোদী পিনারাইয়ের হাতেই তাঁর প্রাণভোমরা তুলে দিচ্ছেন। জুলাইয়ে সব দলের নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই। সঙ্গে ছিল রাজ্যের নানা দাবি। সেখানেই এই ঘটনা। তখনও কেরল বন্যায় ভেসে যায়নি। বন্যার অর্থসাহায্য নিয়ে পিনারাইয়ের সঙ্গে মোদী সরকারের বিবাদও বাধেনি। মোদী কেরলে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন। পিনারাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে, কুশল বিনিময়ও। কিন্তু তাঁর কমরেডরা জানেন, রাগ পুষে রেখেছেন পিনারাই। সুযোগ পেলেই...

বিমুখ: পিনারাই বিজয়ন ও নরেন্দ্র মোদী

বারাণসীতেই?

বারাণসী প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন কেন্দ্র। অনেকে রটিয়েছে, মোদী এ বার ভোটে এখান থেকে দাঁড়াবেন না, সম্ভবত পুরীর মতো কেন্দ্র থেকে দাঁড়াবেন। তাতে কী, বারাণসীতে এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতা। বিশ্বনাথের মন্দির থেকে দশাশ্বমেধ ঘাট কতটুকুই বা পথ। তারই মধ্যে অসংখ্য বাড়ি, হোটেল, হাভেলি। বাজার, দোকানপাট তো আছেই। বর্ষায় কাদা, জঞ্জাল মিলেমিশে উৎকট পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঠিক হয়েছে, বিশ্বনাথ মন্দির থেকে ঘাট পর্যন্ত লম্বা সড়ক তৈরি হবে। গঙ্গাস্নান করে পুণ্যার্থী মানুষেরা ঘাটে উঠলেই দেখতে পাবেন মন্দির। এই কঠিন কাজটি করার জন্য প্রচুর বড় বড় হাভেলি ভাঙতে হবে। সরকার প্রায় ২০০টি বাড়ি অধিগ্রহণ করেছে, এত বছরের বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বসবাসকারীদের অনেক টাকা দেওয়া হচ্ছে, ভাল এলাকায় জমি দিয়ে বিকল্প পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও হচ্ছে। বড়সড় ব্যাপার। সব দেখে বিশ্বনাথ মন্দিরের পান্ডাদের বক্তব্য: আর যা-ই হোক, মোদী যে বারাণসী ছাড়ছেন না সেটা পরিষ্কার!

মোবাইলে কী করেন

সারা দিন মোবাইলে কী খুটুর-খুটুর করেন? বাড়ির বৈঠকখানা নয়, কলেজের চৌকাঠ পার করে, আইনের ডিগ্রি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যোগ দিয়েও যে এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে, কে জানত! ভাবেননি তরুণ আইনজীবীরাও। সরকারের এক প্রবীণ আইনজীবীর টিমে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি মদন বি লোকুরের বেঞ্চে একটি মামলা চলাকালীন হঠাৎ করেই পুরনো একটি মামলার রায়ের খোঁজ পড়ল। রেকর্ড ঘাঁটা হচ্ছে, ও দিকে স্মার্টফোন হাতড়ানোও চলছে। বিচারপতি লোকুর তরুণ আইনজীবীদের দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনারা সব কমবয়সি। এত ক্ষণে তো খুঁজে বার করে ফেলা উচিত ছিল! প্রবীণ এক আইনজীবী মুচকি হেসে বললেন, ওঁরা সব অন্য কাজে ব্যস্ত। বিচারপতি লোকুরের প্রশ্ন, হোয়াটসঅ্যাপ?

কর্মিষ্ঠ: কুরিয়ান জোসেফ

সেবা যোগ

সত্তরের দশকে তিরুঅনন্তপুরম বন্যায় ভেসে গিয়েছিল। সে সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নেতা। আইনের ছাত্রটি হাতা গুটিয়ে নেমে পড়েছিলেন ত্রাণের কাজে। সে দিনের সেই ছাত্রনেতা এখন সুপ্রিম কোর্টের অন্যতম প্রবীণ বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ। তাঁর রাজ্য কেরল বন্যায় ভাসছে। পুরনো ছাত্রনেতা ফের জেগে উঠেছে প্রবীণ মানুষটির মধ্যে। সুপ্রিম কোর্টের কাজের শেষে কালো শামলা খুলে রেখে চলে যাচ্ছেন আদালতের সামনেই ত্রাণ সংগ্রহ কেন্দ্রে। নিজের হাতে বাক্সবন্দি করছেন ওষুধ, জামাকাপড়, নিত্য প্রয়োজনীয় নানা সামগ্রী। কোন বাক্সে কী রয়েছে, বড় বড় অক্ষরে লিখে দিচ্ছেন। বিচারপতি কুরিয়ানের সঙ্গে কোনও দিন যোগ দিচ্ছেন বিচারপতি কে এম জোসেফ। কোনও দিন আবার খোদ প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রও এসে ঘুরে যাচ্ছেন।

আচারে মন

কুল আর তেঁতুলের আচার ছাড়া খাবার মুখে রোচে না বচ্চন-জায়ার। আচারের স্টক তাঁর সংবৎসর মজুত থাকে। আচারে উত্তর ভারতীয় ঘ্রাণ তাঁর না-পসন্দ। বাংলার আচার তাঁকে নিজের হাতে বানিয়ে এনে দেন দোলা সেন। তৃণমূলের রাজ্যসভার এই সাংসদ রাঁধেন এবং সংসদে গলাও ফাটান। বাদল অধিবেশনের মধ্যেই দিল্লি এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল অফিসে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এলেন জয়া বচ্চন। কুশল বিনিময় হল, কথা হল রাজনীতি নিয়েও। ফেরার পথে দোলাকে বলে গেলেন, ওঁর আচারের মজুত প্রায় শেষ। দোলা এর পর নিশ্চয়ই রাজনৈতিক ব্যস্ততার ফাঁকেও আচারে মন দেবেন, তাঁর প্রিয় জয়াদির জন্য।

জয়ন্ত ঘোষাল, অগ্নি রায়, প্রেমাংশু চৌধুরী

Delhi Diary Delhi Diaries দিল্লি ডায়েরি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy