প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্বজনীন পটভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি সার কথা বলেছেন। বিশ্ব জুড়ে ধর্মীয় আধারে সমাজ-সম্প্রদায়-দেশ যে ভাবে সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘূর্ণাবর্তে ক্রমাগত আরও বেশি করে জড়িয়ে যাচ্ছে, তা যে উদ্বেগজনক, সেটা উপলব্ধি করছেন অনেকেই, নরেন্দ্র মোদীও তাঁদের এক জন। মোদীর যথার্থ দাওয়াই, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা দরকার। সংঘাত মোকাবিলার সেটাই একমাত্র পথ। প্রাচীন ভারত সেই পথের সন্ধান দেখিয়েছিল, মন্তব্য করেছেন মোদী। সত্যের সন্ধানে এই দেশ আলোচনা-বিতর্ককে বেছে নিয়েছিল তর্কশাস্ত্রের পথে।
মোদীর এই বিচার যে অত্যন্ত সাধু, বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রশ্ন জাগে একটাই, বিশ্বপরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে যে পথের সন্ধান তিনি দিচ্ছেন, এই দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে সেই অব্যর্থ দাওয়াইয়ের প্রয়োগ করছেন না কেন তিনি? কেন এই দেশের প্রান্তে প্রান্তে অসহিষ্ণুতার কণ্ঠই ক্রমশ আরও জোরালো হয়ে উঠছে? কানহাইয়া কুমারকে তর্কের মঞ্চে আহ্বান করার পরিবর্তে দাওয়াই প্রয়োগ হয় কেন? গোমাংসের নামে যখন নির্যাতন-নিপীড়ন এমনকী হত্যাকাণ্ডও ঘটছে, তখন আলোচনার বা বিতর্কের দরজা বন্ধ থাকছে কেন? বিরোধীদের এই অভিযোগ তোলার অবকাশও দেওয়া হচ্ছে কেন যে, রাজনৈতিক বদলা নিতে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রশাসনকে? আলোচনা তো সংঘাতের মোকাবিলায় নিশ্চিত পথ হতে পারত এই সব ক্ষেত্রেও। হচ্ছে না কেন?
নরেন্দ্র মোদী যা বলছেন, তাকে স্বাগত জানাই। আলোচনা-তর্কই হোক পথ। এ বার সেটা করে দেখান। দেশবাসী স্বাগত জানাবেন তখন সর্বতো ভাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy