Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Editorial news

ঠিকই, শুভবুদ্ধিটাই সবচেয়ে জরুরি এখন

খুব স্পষ্ট করেই বলতে হচ্ছে আজ, এই পরিস্থিতির জন্য এক এবং এক এবং একমাত্র দায়ী প্রশাসন। কোনও জটিল পরিস্থিতির উদ্ভব যখন হয়, যে পরিস্থিতি বৃহত্তর স্বার্থে আঘাত হানতে পারে বা বিপুল সংখ্যক নাগরিককে সঙ্কটাপন্ন করে তুলতে পারে, তখন সর্বাগ্রে সেই পরিস্থিতির প্রশমন ঘটানোই প্রশাসনের কর্তব্য।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৯ ০০:৫২
Share: Save:

অচলাবস্থা এখনও কাটল না। এখনও রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য বহাল। এসএসকেএম হাসপাতালে বিক্ষোভের মুখে মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে। চরম সীমা অগ্রাহ্য করে হাসপাতালে-হাসপাতালে আন্দোলন বহাল। রোগীরা প্রবল সঙ্কটে। একের পর এক মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসকদের গণ ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশের খবর। সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু। এই পরিস্থিতি একেবারেই কাঙ্খিত নয়। এই পরিস্থিতি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।

খুব স্পষ্ট করেই বলতে হচ্ছে আজ, এই পরিস্থিতির জন্য এক এবং এক এবং একমাত্র দায়ী প্রশাসন। কোনও জটিল পরিস্থিতির উদ্ভব যখন হয়, যে পরিস্থিতি বৃহত্তর স্বার্থে আঘাত হানতে পারে বা বিপুল সংখ্যক নাগরিককে সঙ্কটাপন্ন করে তুলতে পারে, তখন সর্বাগ্রে সেই পরিস্থিতির প্রশমন ঘটানোই প্রশাসনের কর্তব্য। এ রাজ্যের প্রশাসন সেই কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে। পরিস্থিতির জট খোলা তো দূরের কথা, তাকে আরও জটিল করে তোলা হয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসক এবং চিকিৎসকদের আন্দোলন ভাঙার জন্য যে পথ নেওয়া হল, যে ভঙ্গিতে মোকাবিলার চেষ্টা হল, তাতেই জটটা জটিল হল আরও। আন্দোলনকারীদের দাবিদাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত, সে সব দাবিদাওয়ার কতখানি পূরণ হয়েছে এবং কতখানি পূরণ করা সম্ভব, সে নিয়ে তর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু সে তর্কের পূর্ণাঙ্গ সমাধান চেয়ে আপাতত মুলতুবি রেখে সব পক্ষের মান বাঁচানের মতো একটা রফাসূত্রে পৌঁছনো জরুরি ছিল। সেই রফাসূত্র কী হতে পারে, তা খুঁজে বার করার দায়িত্বটাও প্রশাসনেরই। সে কাজে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে, পরিস্থিতির উত্তাপ আরও বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। বাংলার চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে গিয়েছে প্রায় গোটা দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্র।

পরস্পরকে চ্যালেঞ্জ ছোড়া, মাথানত না করা, যে যার অবস্থানে অনড় থাকা— এ সবের জেরেই বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে আজ চরম নৈরাজ্য। কোনও মূল্যেই নাগরিকদের এই নিতান্ত অসহায় অবস্থানে ফেলে রাখা সম্ভব নয়। সব পক্ষের কাছে তাই আবেদন, দ্রুত স্বাভাবিকতা ফেরানো হোক। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা— শুভবুদ্ধির উদয় হোক। তাঁর ভাষাতেই বলা যাক— হ্যাঁ, শুভবুদ্ধির উদয় চাই। এখন সবচেয়ে জরুরি। সবারই উচিত শুভবুদ্ধির ডাকে সাড়া দেওয়া।

সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE