Advertisement
০৪ মে ২০২৪
‘‘দ্যাশভাগ আমরার আর পেছু ছাড়ে না গো দিদি...’’

এনআরসি-র ভূত

এই ‘এনআরসি’ বা ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজ়েনস (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) বিষয়টা কী? কেনই বা তাকে নিয়ে শিক্ষিত এলিট শ্রেণি থেকে সাধারণ মানুষের মনে এত ভয়?

অনিন্দিতা ঘোষাল
শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৮ ০০:৫১
Share: Save:

ওপরের এই শিরোনামের বক্তা লক্ষ্মীকান্ত দাস, বয়স এখন ১১৫ বছর, ময়মনসিংহের গাঙ্গারিপার থেকে ১৯৪৬ সালে কাছাড়ে চলে এসেছেন। কারণ জানতে চাওয়ায় বললেন, ওখানে ‘‘মানীর মান বাঁচত না।’’ কিন্তু, এখনকার অসম-কাছাড় জেলার সাধারণ উদ্বাস্তু মানুষদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থা জানতে চাওয়ায় প্রথমে অস্বস্তি নিয়ে জানালেন তাঁদের অভাব, অভিযোগ আর অসুবিধের কথা। তার পরই চোখ পিটপিট করে জানতে চাইলেন, আমি সাংবাদিক কি না। গবেষণার কাজে এসেছি শুনে একটু নিশ্চিন্ত হয়ে বললেন, দেশভাগ নিয়ে আলাদা করে কথা বলার আর কিছু নেই, এখন সব কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁরা ভীত তাঁদের উদ্বাস্তু তকমা থেকে আসা ‘এনআরসি’ নামের এক ভূতের ভয়ে। কথা বলতে বলতে তাঁদের রিফিউজি সার্টিফিকেটও দেখালেন, যাকে সম্বল করে নাগরিকত্ব, জমি আর সামান্য মাথাগোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন এই দেশে। আমাদের কথা হচ্ছিল হিলারা চা-বাগান, পাঁচগ্রামের বরাক নদী ও বদরপুর ঘাট ব্রিজ পেরিয়ে, সাদিখালি বর্ডারের পাশ ঘেঁষা কাটিগোড়া নামক হাওর অঞ্চলে লক্ষ্মীকান্ত দাসের দাওয়ায় বসে। আমার সফরসঙ্গী শিলচরের এক রেশন দোকানের ডিলার, সনাতন দাস বৈষ্ণব। নিজেও উদ্বাস্তু হয়ে এসেছেন এই দেশে ১৯৬৪-র দাঙ্গার পর। সরকারি ক্যাম্পে তিন বছরেরও বেশি থাকার পর জমি পেয়েছিলেন সোনবিল এলাকায়। কৈবর্ত সম্প্রদায়ের মানুষ হওয়ায় ও এক সময় রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত থাকার দরুন কাটিগোড়া অঞ্চলে তাঁর খানিকটা প্রতিপত্তি আছে এখনও। তাঁর অভয়বাণী শুনে আশ্বস্ত হয়ে বনবাসী দাস, পরেশ দাস, রণসুন্দর অধিকারীরা তাঁদের মনের ঝাঁপি খুললেন একটু একটু করে। এঁরা প্রায় সবাই ১৯৪৭-৬৫ সালের মধ্যে ভারতে এসেছেন মেঘালয়ের ডাউকি বা ত্রিপুরার আখাউড়া বর্ডার পেরিয়ে, সিলেট বা কুমিল্লার কোনও অঞ্চল থেকে। সবার কাছে এখন সব ধরনের পরিচয়পত্রও আছে। তাই মুখে বললেন, এ দেশে এখন আর কোনও ভয় নেই। কিন্তু কথা বলার সময় সব চেয়ে বেশি আলোচনা হল ‘এনআরসি’ সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা আর আতঙ্ককে নিয়ে।

এই ‘এনআরসি’ বা ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজ়েনস (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) বিষয়টা কী? কেনই বা তাকে নিয়ে শিক্ষিত এলিট শ্রেণি থেকে সাধারণ মানুষের মনে এত ভয়? ১৯৪৭-এর দেশভাগের পর স্বাধীন ভারতের অনেকগুলো রাজ্য কেন্দ্রের নির্দেশ অনুসারে উদ্বাস্তুদের ঠাঁই দিলেও এনআরসি শুধুমাত্র অসমের ওপরই প্রযোজ্য হচ্ছে কেন? ‘এনআরসি’ কি শুধুই বিদেশি শনাক্তকরণের এক প্রক্রিয়া? এই বিদেশি কারা? ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় যে, স্বাধীন ভারতে প্রথম আদমশুমারি হয়েছিল ১৯৫১ সালে। প্রথমে ঠিক হয় যে, প্রতিটি থানাতে এই আদমশুমারির একটা নথি থাকবে, যাতে শহর, মফস‌্সল, গ্রাম ও স্থানীয় স্তরে নাগরিকদের সংখ্যার হিসেব রাষ্ট্র/রাজ্যের হাতে থাকে। এ ছাড়াও সিদ্ধান্ত হয়, এই নাগরিকপঞ্জির তালিকা সময়-সুযোগ অনুসারে পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করা হবে। কিন্তু বাস্তবে কোনও রাজ্যের ক্ষেত্রে কখনও তা হয়নি। কিন্তু অসমের ক্ষেত্রে সমস্যার সূত্রপাত হয়, অসম-বাঙালি ভাষা এবং ভাষিক পরিচিতির প্রশ্নে আসু আন্দোলনের সময় থেকে। ১৯৬০-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৭২ সালের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যম সংক্রান্ত আন্দোলনকে যদিও কোনও ভাবে ধামাচাপা দিয়ে নিরস্ত করা গিয়েছিল, আংশিক সমাধানসূত্র খুঁজে বার করে। কিন্তু ১৯৭৯ সালের বিদেশি বিতাড়ন আন্দোলন, যা পরবর্তী দীর্ঘ ছ’বছর ধরে চলে, তার সমাধানকল্পে ১৯৮৫ সালের ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে ত্রিপাক্ষিক অসম-চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, রাজীব গাঁধীর উপস্থিতিতে। আসুর বক্তব্য ছিল, দেশভাগের পর থেকে দলে দলে বাঙালির আগমনে অসমের জনবিন্যাস যেমন দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে, অসমিয়া ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও অর্থনীতিও ক্রমে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।

এই চুক্তিতে বিদেশি শনাক্তকরণ ও বিতাড়নের জন্য ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের মধ্যরাতকে ভিত্তি তারিখ হিসেবে বেছে নেওয়া হয় সর্বসম্মতিক্রমে। অসম চুক্তিকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ১৯৫৫-র নাগরিকত্ব আইনকে সংশোধন করে ১৯৮৫ সালেই ৬(ক) ধারা সংযোজিত হল, যাতে নাগরিকত্বের প্রশ্নে অসমের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা বলবৎ থাকে। কিন্তু, এর মধ্যে বিদেশি বিতাড়নের নামে যাতে কোনও প্রকৃত নাগরিককে হেনস্থা হতে না হয়, তার দাবিতে ১৯৮৩ সালে ‘আইএমডিটি’ (ইললিগাল মাইগ্র্যান্টস ডিটারমিনেশন বাই ট্রাইবুনাল) অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয় রক্ষাকবচ হিসেবে। এই অবধি ঠিক ছিল। ১৯৯৭ সালে আসু নির্বাচন কমিশনের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করে যে, ভোটার তালিকায় অনেক বাংলাদেশির নাম ঢুকে যাওয়ায়, ‘ডাউটফুল ভোটার’ (ডি ভোটার) নামে এক শ্রেণির তালিকা তৈরি করা দরকার। তার পর ২০০৫ সালে ভারতের উচ্চতম আদালত আইএমডিটি অ্যাক্টকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করে দেয়। এই প্রেক্ষাপটেই এখন শুরু হয়েছে কেন্দ্র ও অসম রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে এনআরসি-তে প্রকৃত নাগরিকদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ। নথিভুক্তির শর্ত হল, ১৯৫১ সালের এনআরসি, ১৯৬৬-র ভোটার তালিকা বা, ১৯৭১-এর ভোটার তালিকায় যাঁদের পূর্বপুরুষ বা নিজেদের নাম আছে, তাঁরাই অসমের নাগরিক হিসেবে থাকতে পারেন। কিন্তু তা হলে যাঁরা বিদেশি বলে প্রমাণিত হবেন, তাঁদের পরিবার ও সন্তানসন্ততি নিয়ে কী উপায়? ঠিক হয়েছে, তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। প্রথমে ‘ডিটেনশন ক্যাম্প’ তার পর ‘ডিপোরটেশন’। যার মোদ্দা অর্থ হল, রাষ্ট্র যাঁদের নাগরিকত্বের দাবিকে স্বীকার করছে না (কারণ তাঁরা তাঁদের নাগরিকত্বের যথেষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারেননি), সেই ভাসমান জনগোষ্ঠীকে ‘রাষ্ট্রহীন’ করে দেওয়া।

অমিয় কুমার দাস ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, গুয়াহাটি প্রদত্ত (অর্থানুকূল্যে) এক গবেষণাপ্রকল্প নিয়ে গত সাত মাস ধরে আমি উত্তর-পূর্বের বাঙালি-উদ্বাস্তু অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে, বিশেষ করে অসমের ব্রহ্মপুত্র ও সুরমা/বরাক ভ্যালির বিভিন্ন অঞ্চলে চষে বেড়িয়েছি। অদ্ভুত ভাবে প্রতি বার প্রতিটা শহর, মফস‌্সল ও গ্রামে বিভিন্ন ধর্ম, ভাষাগত জাতি ও সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অনুভব করেছি এক অদ্ভুত ভীতি, আতঙ্ক আর নীরবতা। অসমের বর্তমান সামাজিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক অবস্থা সত্যিই জটিল। কিন্তু এই বাঙালি-অসমিয়া আদর্শগত বিরোধ, জাতীয়তাবাদ এবং তার থেকে উদ্ভূত রাজনীতির কারণ খুঁজতে গেলে ব্রিটিশদের আগমন ও তাঁদের নীতি-নির্দেশকে ‘ভিলেন’ হিসেবে খাড়া করতে হয়। ১৮৭৪ সালে ঔপনিবেশিক সরকার শুধুমাত্র প্রশাসনিক ও রাজস্ব আদায়ের সুবিধের জন্য, অসমের পুনর্গঠন করার নামে এই প্রদেশের সঙ্গে কাছাড়, গোয়ালপাড়া ও শ্রীহট্টকে জুড়ে দেয়। নৃতাত্ত্বিক, ভাষাগত বা সাংস্কৃতিক মিল-অমিলকে সেখানে একেবারেই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ‘নিজ দেশে পরবাসী’র অনুভূতি অসমিয়াদের হতে থাকে এই সময় থেকেই। প্রায় ব্রিটিশদের সঙ্গে আসা তাঁদের পূর্বপুরুষদের গল্প শোনাচ্ছিলেন শিলংয়ের পুরনো ও বনেদি পরিবারের বর্তমান দুই সদস্য, আফজ়ল হোসেন এবং আহমেদ হোসেন। তাঁদের পরিবার জলপথে কলকাতা থেকে চেরাপুঞ্জি পৌঁছেছিল। পরে অসমের রাজধানী শিলংয়ে স্থানান্তরিত হলে, তাঁরা সেখানকার সব চেয়ে বড় ব্যবসায়ী পরিবার হয়ে ওঠেন। এক সময় কিটিং রোড অঞ্চলের ‘গাঁ-বুড়া’ সুশীল নাগ গল্প করছিলেন শিলংয়ের আইজি অফিসে ‘বাঙালি বাবু’দের আধিপত্যের কথা। আবার আজীবন কাছাড়ের দেওয়ান চা-বাগানে বড় হওয়া শ্যামানন্দ ভট্টাচার্য বলছিলেন, পূর্ববঙ্গ থেকে চাকরির খোঁজে আসা বাঙালিরা ১ থেকে ৭ অবধি ঠিক ভাবে বলতে পারলে কী ভাবে কেরানির চাকরি পেয়ে যেতেন চা-বাগানে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ থেকে আসা অনাবাদি জমিতে সোনা ফলানো মুসলিম চাষিদের জনপ্রিয়তার পারদ তখন এতটাই ছিল যে, ‘ময়মনসিঙইয়া’ নামেই পরিচিত হয়ে ওঠে এই শ্রেণি, যাঁদের উল্লেখ তথাকথিত সব অফিশিয়াল কাগজপত্রেও আছে। তাঁরা জমি পাওয়ার লোভে সেন্সাসের কর্মীদের স্পষ্ট জানিয়েছিলেন এক সময়, ‘‘আমাগো ভাষা অসমিয়া।’’ কিন্তু, নেলি হত্যাকাণ্ডের পর তাঁদেরও বিশ্বাসে খানিকটা চিড় ধরে। তাই, শিলচরের কাছাড় কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপক জয়দীপ বিশ্বাসের মতে, ভূগোল-ইতিহাসের এই হাঁসজারু পরিণতির জন্য অসমিয়া-বাঙালি কেউই সেই অর্থে দায়ী নয়।

কিন্তু, এই পরিণতির পরিণাম এখন ভুগছে সবাই, বিশেষ করে উদ্বাস্তু বাঙালিরা। এনআরসি লিস্টে যে শুধু বাঙালিদের নাম নেই, একেবারেই তা নয়। অধ্যাপক ভূপেন শর্মা বলছিলেন, তাঁর নিজেরও নাম নেই প্রথম লিস্টে, কিন্তু ধাপে ধাপে কাজ এগোচ্ছে। আসলে ‘বংশবৃক্ষ’ খোঁজার সময় নিজের অস্তিত্ব না থাকার ভয় বোধ হয় তাঁদের ততটা নেই, যা আছে অন্য ভাষা-ভাষীদের। গুয়াহাটির মালিগাঁও রেলওয়ে কলোনির অধিবাসীদের সঙ্গে কথা বলে মনে হল, অসমে বাঙালিরা আস্তে আস্তে ghettoized হয়ে থাকতে সুরক্ষিত বোধ করছেন, যার সূচনা হয়েছিল সেই ১৯৬০ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় থেকে। যদিও ধ্রুবজ্যোতি বোড়া এ প্রসঙ্গে আমাকে মনে করিয়ে দিলেন, বরাক অঞ্চলে ভাষা আন্দোলনের সময় কলকাতার প্রেসের নেতিবাচক ভূমিকার কথা। জ্যোতিপ্রসাদ শইকিয়া কিন্তু সমভ্রাতৃত্ববোধের কথা শোনালেন, যার প্রমাণও পাওয়া গেল কটন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষা মুক্তি চৌধুরির বাড়ি গিয়ে, যিনি অসমিয়া পুত্রবধূকে নিয়ে দিব্যি সুখে সংসার করছেন। আসলে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়, বিশেষ করে সমাজের ওপরের শ্রেণিগুলোর মধ্যে বোধ হয় এই আতঙ্কের মাত্রা কম। কিন্তু বরাক উপত্যকার মানুষগুলো যেন কিছু না কিছু খুঁজে চলেছেন সব সময়। ইস্তিরিওলা, গাড়ির মেকানিক, খাবার তৈরির দোকানের কর্মী— সবাই বাড়ি গিয়েছে ছুটি নিয়ে ‘বংশবৃক্ষ’ খোঁজার কাগজ আনতে। প্রমাণ করতে হবে, ‘বাঙালি’ মানেই সে ‘বাংলাদেশি’ নয়। না হলেই ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ গলাধাক্কা অবধারিত, যার প্রমাণ এনআরসি লিস্ট প্রকাশ উপলক্ষে কেন্দ্র থেকে পাঠানো কয়েক কোম্পানি সেনা। তাই, সমাজবিজ্ঞানী সঞ্জীব বড়ুয়া তাঁর সংগৃহীত তথ্য থেকে তত্ত্ব তৈরি করে যে মতই লিখুন, আর সেই তত্ত্বের অসারতা প্রমাণ করতে গিয়ে গোর্কি চক্রবর্তী যতই যুক্তি দিন, সাধারণ অশিক্ষিত ‘বাঙ্গাল’, ‘বঙ্গাল’ বা বাঙালিরা আসলে এনআরসি ফর্ম ফিলআপ করার জন্য ধার নিয়েও গাদা টাকা খরচ করতে বাধ্য হচ্ছেন, কিছু মানুষ নাম না থাকায় আত্মহত্যাও করেছেন। অনেকে শত বাধা-বিপত্তি আর প্রতিকূলতা সামলে গুয়াহাটি যাওয়ার তোড়জোড় করছেন, আবার মনে মনে ভয়ও পাচ্ছেন, তাঁর নাম ‘শচীন’ শব্দটা যদি গুয়াহাটি গিয়ে ‘চচীন’ হয়ে যায়। কারণ অসমিয়া লিপিতে তো ‘শ’ নেই, সেটা ‘চ’ বলে উচ্চারিত হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

NRC Assam foreign identification
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE