ফাইল চিত্র।
পাহাড়ে এ বার বরফ গলাটা যে নিতান্তই জরুরি, সেটা বুঝছিলেন সবাই। পাহাড় বা সমতল, আন্দোলনকারী বা সরকার, সবাই বুঝছিলেন, বরফ গলাতেই হয় যদি, তারও একটা শুরুর দরকার কোথাও। নবান্নে রাজ্য সরকারের সঙ্গে পাহাড়ের নেতাদের সর্বদল বৈঠকে সেই প্রক্রিয়াটা অন্তত শুরু হল মঙ্গলবার।
রাজ্যের কর্ণধার হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম যাত্রার সময় পাহাড়ের যে হাসি তাঁর বিজ্ঞাপন হিসাবে কাজ করছিল, সেই হাসি মিলিয়ে যেতে সময় লেগেছে মাত্রই কয়েকটা বছর। বস্তুত দ্বিতীয়বারের জন্য যখন বিপুলভাবে জিতে ফিরে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার আগে বা পরে এ রাজ্যের বিস্তীর্ণ চরাচরের কোনও প্রান্ত থেকে অস্বস্তির কোনও কাঁটাই অশ্বমেধের ঘোড়ার সামনে এসে উপস্থিত হয়নি, একমাত্র ব্যতিক্রম এই পাহাড়। সরকারের প্রবল আধিপত্যের নিশান গত কয়েক মাস যাবৎ নিরঙ্কুশ বলে প্রতিভাত হচ্ছিল না পাহাড়ের তীব্র প্রতিক্রিয়ায়, উচ্চকিত প্রতিরোধে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যেটা অনাকাঙ্খিত।
অনাকাঙ্খিত এই কারণেও যে, পাহাড়ের মানুষের জীবনও স্বাভাবিক থাকছিল না টানা বন্ধের জেরে। এই অবস্থায় দু’পক্ষেরই প্রয়োজন ছিল, আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করার। রাজ্য সরকার সফল, দ্বিপাক্ষিক সর্বদল বৈঠক করাতে সক্ষম হয়েছে তারা। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র বার করার যে কোনও বিকল্প থাকতে পারে না, এ নিয়ে কোনও সংশয় নেই। এক দিকে পৃথক রাজ্যের দাবিকে কেন্দ্র করে পাহাড়ের মানুষের আবেগ, অন্য দিকে রাজ্য সরকারের বাধ্যবাধকতা, এই দুইয়ের মধ্যে পড়ে পাহাড়ের জট ক্রমশ আরও তীব্র হয়ে আসছিল। সেই জট খোলার দরকার। মঙ্গলবারের আলোচনা সেই জট খোলার কাজ শুরু করুক। আপাতত এটাই চাইছেন এই রাজ্যের প্রান্তনির্বিশেষে মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy