Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু

চার পাশে ছড়িয়ে থাকা আবর্জনা শিল্পের পীঠস্থানকে দূষিত করছে। নির্দিষ্ট ডাস্টবিনের ব্যবস্থাও নেই। ভাল একটি শৌচাগারও গড়ে তোলা যায়নি। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখুন।

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৭ ০০:৫১

আবর্জনার মাঝে শিল্প

ঘূর্ণির মৃৎশিল্প পৃথিবী-বিখ্যাত। সারা বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ এখানে আসেন। কিন্তু পরিচ্ছন্ন সৌন্দর্যময় পরিবেশ এখানে গড়ে ওঠেনি। চার পাশে ছড়িয়ে থাকা আবর্জনা শিল্পের পীঠস্থানকে দূষিত করছে। নির্দিষ্ট ডাস্টবিনের ব্যবস্থাও নেই। ভাল একটি শৌচাগারও গড়ে তোলা যায়নি। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখুন।

অমৃতাভ দে

কৃষ্ণনগর, নদিয়া

প্ররোচনা ছিল না

গত শতাব্দীর ষাটের দশকে আমার ছেলেবেলাটা কেটেছে মেদিনীপুরের এক গ্রামে, যার মুসলমান পাড়াতেই ছিল উচ্চ বিদ্যালয় আর আমরা থাকতাম বিদ্যালয়-সংলগ্ন শিক্ষকাবাসে। গ্রামের অন্য পাড়াগুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে হিন্দু-মুসলমানের বাস। জনম মুখোপাধ্যায়ের নিবন্ধটি (‘ভাবতে হবে কেন দাঙ্গা’, ১৮-৮) পড়ে একটা কথা মনে হল, ছোটবেলার সেই গ্রামে প্রায় সবাই ছিল দরিদ্র-নিম্নবিত্ত। মধ্যবিত্তের সংখ্যা হাতে গোনা, ধনী না থাকার মতোই। তাই আর্থিক বৈষম্য বলতে গেলে ছিল না, ধনী-দরিদ্র রেষারেষি দূরঅস্ত্।

আমরা ভাইবোনেরা স্কুলের পাশেই আলি ভাইয়ের বাড়ি যেতাম খেজুর রস খেতে, গরম গুড় কিনতে। বাবুল সেখ ছিল আমার সহপাঠী, ওর সঙ্গে মার্বেল-গুলি খেলতাম, ওর সঙ্গেই ঘুরে বেড়াতাম। আর এক বন্ধু বারজান আলি ভাল ফুটবল খেলত, সকলের প্রিয় ছিল। গ্রামের অধিবাসীরা কৃষিকাজ বা খাল-সমুদ্রে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদা খানিকটা বেশি ছিল, তাও তাঁদের সেই সময়ের অনিয়মিত সামান্য মাইনে আর্থিক ভাবে প্রায় সমগোত্রীয় করে রেখেছিল। তাই অর্থনৈতিক বৈষম্য না থাকার কারণে হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদ ভুলে সৌহার্দ্যে বসবাস করতেন। ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হলেও আলাদা সম্প্রদায় বলে ভাবনাটাই আসত না। গ্রামে হাটের দিন সামুদ্রিক মাছের সঙ্গে গরু-ছাগল দু’রকমের মাংস বিক্রি হত। তবে গরু আড়ালেই কাটা হত। দুর্গাপুজো, কালীপুজো, মহরম, ইদ পালিত হত জাঁকজমকশূন্য, অনাড়ম্বর ভাবে, কোনও গোলমাল ছাড়াই। তখনও অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কার, বেকারত্ব, অভাব-অনটন সব কিছুই ছিল, কিন্তু রাজনৈতিক প্ররোচনা ছিল না।

তখন মসজিদের আজানের শব্দ শোনা যেত না, পুজোর মন্ত্রও মণ্ডপের ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকত। এখন পরস্পরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিতে অর্থের ভূমিকাটাই বড় হয়ে দেখা দেয়। তাই মনে হয়, যত দিন না আমরা প্রকৃত শিক্ষিত হয়ে উঠছি এবং আর্থিক বৈষম্য দূর হচ্ছে, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতারা হিন্দু-মুসলমান পরস্পরকে পরস্পরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়ার সুযোগ ছাড়বে না।

ত্রিদিব মিশ্র

শান্তিনিকেতন

জবরদখল

খবরে প্রকাশ, ‘৩ মাস বেআইনি মালপত্র ফেলে রাখার অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মালপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’ (‘ইমারতি দ্রব্য ফেলে রাখার অভিযোগ, ধৃত’, ২১-৮) এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে পুরবাসীর কাছে স্বস্তি এনেছে। কারণ মালপত্র ফেলে রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার ফলে বহু মৃত্যু ঘটেছে। পাশাপাশি ক’টি প্রশ্নও উঠে আসছে। ১) ইমারতি দ্রব্য সরকারি জমিতে (রাস্তার পাশে) রাখা এবং তা বেআইনি বলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে, যা যে কোনও জবরদখলকারীর বিরুদ্ধেই প্রযোজ্য। খবরে প্রকাশ, ‘কেউ কেউ আবার বাড়ির কাজের জন্য রাস্তায় মালপত্র ফেলে রেখে দেন’। এই প্রসঙ্গে পুরপ্রধান নীলিমেশ দাস বলেছেন, ‘এখন থেকে ওই বেআইনি কাজে যুক্ত ব্যক্তিদের জরিমানা করা হবে।’ কিন্তু অধিকাংশ রাস্তা পুরসভা বা প্রশাসনের নাকের ডগার উপর বছরের পর বছর জবরদখলকারী দোকানের কল্যাণে অপ্রশস্ত হয়েছে, এমনকী বাড়ি ঢোকার রাস্তার সামনের পথটুকুও বেদখল হয়েছে। সেখানে কোনও বাড়িওয়ালা নিজ জমিতে বাড়ি তৈরির প্রয়োজনে রাস্তার পাশে ইমারতি দ্রব্য সাময়িক ভাবে রাখতে বাধ্য হন। এ ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালাকেও সেই একই দণ্ডে অভিযুক্ত করা কতটা যুক্তিযুক্ত? প্রশাসনের কাছে আবেদন, বাড়িওয়ালার ক্ষেত্রে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হোক। পুরসভা এবং প্রশাসনের তরফ থেকে একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন রাখা যেতে পারে— বাড়িওয়ালাকে ইমারতি দ্রব্য রাখার ক্ষেত্রে পুরসভা ও প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে এবং বলা থাকবে রাতে ইমারতি দ্রব্য ফেলে সকালের আগেই তা সরিয়ে নিতে হবে। এই শর্ত তাঁরা উপেক্ষা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ২) রাস্তার পাশে বেআইনি ইমারতি দ্রব্য রাখার অভিযোগে যদি গ্রেফতার করা যায়, তা হলে যশোর রোডের পাশে সরকারি জমিতে বছরের পর বছর ধরে যে সব জবরদখলকারী বসে আছে, যার ফলে নিত্য যানজট, চাপা পড়ে মৃত্যু, সে ক্ষেত্রেও একই আইনি ধারা প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি (যা জীবন সুরক্ষার আইনের মধ্যেই পড়ে)। প্রসঙ্গত কিছু দিন আগে যশোর রোড সম্প্রসারণে সরকারি যে উদ্যোগের কথা শোনা গিয়েছিল এবং ক’দিন ধরে রাস্তা মাপজোকে যে তৎপরতা দেখা গিয়েছিল, কোনও রহস্যজনিত কারণে তা কেন হল না, জানা গেল না। প্রশ্ন উঠছে, জবরদখলকারী উচ্ছেদে কেবল এক শ্রেণিকে চিহ্নিত করে দণ্ড দেওয়া হলে সার্বিক ভাবে তা সকল শ্রেণির ক্ষেত্রেও সমান ভাবে প্রযোজ্য হবে না কেন? এতে তো আগামী দিনে সাধারণ মানুষকে আরও দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হবে। রক্ষা করার দায় কিন্তু প্রশাসনেরই।

তপন ভদ্র

হাবরা, উত্তর ২৪ পরগনা

বিএসএনএল

বোধহয় সালটা ছিল ২০০১, বাড়িতে প্রথম ল্যান্ডলাইন টেলিফোন এল ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা বিএসএনএল-এর। হালকা আকাশি রঙের রিসিভার, বাজলেই পড়িমড়ি করে সবাই ছুটে যেতাম ফোন ধরতে। সেই থেকে বিএসএনএল-এর প্রেমে পড়ে গেলাম। তার পর দোকানে একটা টেলিফোন বুথ করলাম। তাও বিএসএনএল কানেকশন। মোবাইলের রমরমায় বুথের ব্যবসা উঠে গেল। নিজের মোবাইল কানেকশন নিলাম, সেটাও বিএসএনএল। বাড়িতে গিন্নিকে মোবাইল দিলাম, তাও বিএসএনএল। ২০১০ সাল নাগাদ দোকানে ইন্টারনেটের জন্য ল্যান্ড কানেকশন নিলাম, সেটাও বিএসএনএল। কিন্তু মাঝে মধ্যেই কানেকশন এত ঝুলিয়ে দেয়, মনে হয় কেটে দিই। অনেকেই বলেছে অন্য কানেকশন নিতে। কিন্তু বিএসএনএল-এর প্রতি ভালবাসা থেকেই সেটা আর করে উঠতে পারিনি। কিন্তু গত কিছু দিন যাবৎ লাইন একদম বসে গিয়েছে। গত ১ অগস্ট কমপ্লেন করি, যার নম্বর আর-২৭। বারংবার অফিসে ফোন করেও আজ পর্যন্ত কোনও সুরাহা হল না। এ বার সত্যিই মনে হচ্ছে, বিএসএনএল-এর সঙ্গে এত দিনের সম্পর্কে ইতি টানতে হবে।

নিরঞ্জন পাল

কালেক্টারি মোড়, কৃষ্ণনগর, নদিয়া

রাস্তার অবস্থা

হাওড়া জেলার জগাছা ব্লকে নানান উন্নয়ন মূলক কাজ হচ্ছে। যেমন, পুরনো মাটির রাস্তা বদলে ঢালাই পাকা রাস্তা, দীর্ঘ দিনের পানীয় জলের সমস্যা নিবারণে বিশাল পানীয় জল প্রকল্পও। কিন্তু কিছু দিন যাবৎ নর্থ ঘোষপাড়া কালীতলা এলাকার সেই সমস্ত নতুন ঢালাই রাস্তাগুলি পানীয় জলের নল বসাবার জন্য ভেঙে খুঁড়ে ফেলে যা হোক করে মাটি চাপা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে গলির সরু রাস্তাগুলি ছোট ও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বর্ষার জলে তা আরও পিচ্ছিল। রাস্তার মোড়ে মোড়ে আগে আলো থাকলেও ইদানীং তা শুধু বড় রাস্তা এবং মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের বাড়ির সামনে লাগানো হচ্ছে। গলিগুলি অন্ধকারাচ্ছন্ন।

আসিম সরকার

বালি, হাওড়া

Letters To Editor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy