Advertisement
০৬ মে ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু

সায়গল সাহেব (১৯০৪-৪৭) রেমিংটন কোম্পানির টাইপরাইটার বিক্রির ব্যবসায় সেলস ম্যানেজারের চাকরি করতেন। ১৯৩০ সালে তিনি কলকাতায় আসেন।

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

সায়গল কাহিনি

‘মধ্যবিত্ত বাঙালির জীবনের খটখট’ (রবিবাসরীয়, ২২-১০) প্রসঙ্গে কে এল সায়গলের জীবনের একটি অধ্যায় নিবেদন করতে চাই। সায়গল সাহেব (১৯০৪-৪৭) রেমিংটন কোম্পানির টাইপরাইটার বিক্রির ব্যবসায় সেলস ম্যানেজারের চাকরি করতেন। ১৯৩০ সালে তিনি কলকাতায় আসেন। চাকরির ফাঁকে ফাঁকে তিনি রেডিয়ো স্টেশন ও রেকর্ডিং কোম্পানির অফিসে ঘুরে বেড়াতেন একটু সুযোগ পাওয়ার আশায়। ১৯৩১ সালে এক দিন রেডিয়ো স্টেশনে তাঁর সঙ্গে পঙ্কজকুমার মল্লিকের পরিচয় হয়। সায়গলের গান শুনে পঙ্কজবাবু মুগ্ধ হন। এবং সেই দিনই অল ইন্ডিয়া রেডিয়োতে কে এল সায়গলের গান প্রচারিত হয়।

এর পর সায়গল নিউ থিয়েটার্সের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৩৩ সালে হিন্দুস্থান রেকর্ডিং কোম্পানি থেকে তাঁর প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়। এক পিঠে, ‘ঝুলনা ঝুলাও রি’ এবং অন্য পিঠে, ‘হোরী হো, ব্রজরাজ দুলারে’। রেকর্ডটির (নম্বর এইচ-২৭এল)তুমুল জনপ্রিয় হয়। বিক্রির সংখ্যা পাঁচ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। অতঃপর কুন্দনলাল সায়গল টাইপরাইটার বিক্রির চাকরিটি ছেড়ে দেন এবং অভিনয় ও সংগীত জগতের সঙ্গে যুক্ত হন পুরোপুরি ভাবে।

শ্রীশঙ্কর ভট্টাচার্য,

কলকাতা-৩৯

আগমেশ্বরী

বিভূতিসুন্দর ভট্টাচার্য লিখেছেন, ‘নবদ্বীপের আগমেশ্বরী পাড়ায় কৃষ্ণানন্দের প্রবর্তিত এবং প্রচলিত পদ্ধতি অনুসারে আজও পঞ্চমুণ্ডির আসনে কালীপুজো হয়ে আসছে। নিয়ম মেনে আজও কার্তিক মাসের কৃষ্ণাপঞ্চমীতে খড় বাঁধা দিয়ে মূর্তি নির্মাণের সূচনা হয়। একাদশীতে খড়ের তৈরি বিশেষ ধরনের অবয়ব বিরাটাকার প্রতিমার বুকে স্থাপন করা হয়। অমাবস্যাতে হয় চক্ষুদান।’ (‘বাংলার ঘরে কালী...’, রবিবাসরীয়, ১৫-১০)। শৈশব, কৈশোর এবং প্রথম যৌবনের কিছু কাল (১৯৪০-৫০) কেটেছে নবদ্বীপে। তখন দেখেছি, আগমেশ্বরীতলার কালীপুজো মাত্র এক দিনেই সম্পন্ন হত। ভোরবেলায় খড় বাঁধা, দুপুরের আগেই মাটি লেপার কাজ শেষ হলে বিকেলের মধ্যে খড়ির (সাদা রং) ওপর রং দেওয়া হয়ে যেত। সন্ধের মধ্যেই গয়না পরিয়ে, চক্ষুদান করা হলে পুরোহিত পুজোয় বসতেন। শেষ রাতে পুজো শেষ হলে গঙ্গার ঘাটে গিয়ে ভোরের আগেই বিসর্জন দেওয়া হত। সমস্ত ব্যাপারটা ২৪ ঘণ্টায় শেষ। এখন কী হয় জানি না।

শ্যামল মৈত্র,

এ রোড সেকেন্ড লেন, বারাকপুর

মছলন্দপুর

শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার মছলন্দপুর স্টেশনের কতকগুলো মারাত্মক অসুবিধার উল্লেখ করছি।

১) দুই নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে সমস্ত আপ ট্রেন যাতায়াত করে, অথচ ওই প্ল্যাটফর্মে একটিও শৌচালয় নেই।

২) দুটো প্ল্যাটফর্মেই স্বল্প দূরত্বে দুটি করে স্বল্প দৈর্ঘের আচ্ছাদন রয়েছে। এতে যাত্রী সংকুলান না হওয়ায়, বেশির ভাগ যাত্রীকেই রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। ওভারব্রিজের উপরেও কোনও আচ্ছাদন নেই।

৩) এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে তিনটি টিকিট কাউন্টারে এত ভিড় হয় যে, অনেক যাত্রীই টিকিট কেটে নির্দিষ্ট ট্রেন ধরতে পারেন না। দুই নং প্ল্যাটফর্মে একটি টিকিট কাউন্টার এবং এক নম্বরে আরও কাউন্টার বাড়ানো প্রয়োজন।

রাসমোহন দত্ত,

মছলন্দপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

জঙ্গিপুরের ট্রেন

মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা-আজিমগঞ্জ-কাটোয়া রেল লাইনে জঙ্গিপুর থেকে সকালবেলায় কলকাতা যাওয়ার জন্য একটি নতুন এক্সপ্রেস ট্রেনের দাবি বহু দিনের। এলাকার মানুষ সকালে কলকাতা যাওয়ার জন্য সাধারণত মালদহ থেকে ছেড়ে আসা একমাত্র ট্রেন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু মালদহ থেকে ছেড়ে আসা এই ট্রেনটির সংরক্ষিত কামরার সংখ্যা কম, রিজার্ভেশন পাওয়াও দুষ্কর। আর অসংরক্ষিত কামরায় পা রাখার জায়গা থাকে না।

এখন এই লাইনটি ডবল লাইনে পরিণত হতে চলেছে। উপরন্তু গঙ্গার উপর নশীপুর রেল লিংকেরও কাজ চলছে। হাওড়া বা শিয়ালদহের সঙ্গে রেল যোগাযোগ আরও ভাল হবে বলে আশা করা যায়।

শৌমিক দাস,

রঘুনাথগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ

পার্ক সার্কাস

শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার পার্ক সার্কাস স্টেশন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। এর দুটো প্ল্যাটফর্ম। এক নম্বর এবং দু’নম্বর প্ল্যাটফর্ম এ পাশ আর ও পাশ। মাঝখানে পরিসর খুবই কম। আপ এবং ডাউন ট্রেন একসঙ্গে এলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। টিকিট কাউন্টারটি এমন ভাবে অবস্থিত যে টিকিট কাটার জন্য লাইনে দাঁড়ালে পাশ দিয়ে লোক চলাচল করাই দুষ্কর হয়ে যায়। তা ছাড়া, স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ালে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে উঠতে বা ট্রেন থেকে নামতে গেলে প্রায় দেড় ফুটের মতো উঁচু-নিচুর ব্যবধান থাকে। শিশু, মহিলা বা বয়স্কদের ট্রেনে ওঠানামা করতে গেলে খুবই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যে কোনও সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

মনিরুজ্জামান,

কলসুর, উত্তর ২৪ পরগনা

ভিআইপি

এয়ারপোর্টের কাছে যশোর রোড দিয়ে প্রতি দিন অনেক ভিআইপি যাতায়াত করেন। এমনিতে এই অঞ্চলটা যানজটের জন্য কুখ্যাত। কিন্তু যখন কোনও ভিআইপি যাতায়াত করেন, তাঁদের গাড়ি উল্টো দিকের রাস্তা দিয়ে পুলিশের সাহায্যে পার করে দেওয়া হয়, জ্যাম থেকে রেহাই দিতে। জানি যাঁরা ভিআইপি তাঁদের সময়ের দাম অনেক বেশি। কিন্তু পাবলিকেরও তো সময়ের দাম আছে, তাই না? মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ক্ষমতায় আসেন, তিনি বলেছিলেন, মন্ত্রীরা এমনকী উনি নিজেও ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলবেন। কিন্তু বাস্তবে যেটা চলছে, সেটা সেই পুরনো আমলের ভিআইপি কালচারই।

সমীরবরণ সাহা,

কলকাতা-৮১

নারায়ণতলা

বাগুইআটি এবং কেষ্টপুরে রাস্তা পারাপার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নারায়ণতলা কলেজ মোড়ই এখন সব রকম যানবাহনের রাস্তা পারাপারের একমাত্র জায়গা। কিন্তু সেটা এখন কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাস, অটো, রিকশা, স্কুলগাড়ি, মোটরসাইকেলের ভিড়ে নিত্যযাত্রীদের, বিশেষ করে বয়স্ক ও স্কুল ছাত্রছাত্রীদের রাস্তা পারাপার দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে একটি আন্ডারপাস এবং বাগুইআটি থেকে বাঙ্গুর পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে ফুটপাত খুব দরকার।

নারায়ণ সেন,

কলকাতা-৫৯

অতিভক্তি?

নজরুল মঞ্চে দলীয় কর্মীদের সভায় দলনেত্রীর পায়ে উপুড় হয়ে জনৈক নেতার (বা কর্মীর) প্রণাম করার চিত্র দেখে বিচলিত বোধ করছি (২৬-১০)। সাধারণত দেবদেবী বা ধর্মগুরু, গুরুমায়েদের পা ছুঁয়ে এমন সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করতে দেখা যায়। বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় এ ধরনের ভক্তি গদগদ আচরণে আমরা অভ্যস্ত নই।

রাজশেখর দাস,

কলকাতা-১২২

‘বড় খেলোয়াড়’

শুধুমাত্র স্ট্রাইকারদের নাম এবং তাদের করা গোলের সংখ্যাই কেন বড় খেলোয়াড় হওয়ার একমাত্র যোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে? ক্লাবের সংখ্যা দেশের থেকে অনেক বেশি। কাজেই ক্লাব বনাম দেশ— খুব একটা অর্থপূর্ণ নয়। ক্লাবগুলি মূলত বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিতে চলে। তাই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যাঁরা ভাল প্রদর্শন করেন, তাঁরা ক্লাবের পক্ষে যথেষ্ট মূল্যবান হন।

পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত,

আসানসোল

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Letters To Editor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE