Advertisement
১১ মে ২০২৪
Air India

সম্পাদক সমীপেষু: ফেরত পাইনি

প্রাপ্য রেশনের সঙ্গে ২০ টাকা মূল্যের অন্য যে কোনও জিনিস নিতে যেন বাধ্য না করা হয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৪২
Share: Save:

গত বছর কয়েকটি জায়গায় ভ্রমণের জন্য আমি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে যাতায়াতের টিকিট কেটেছিলাম। অতিমারির সময় বিমান চলাচল না করায় সমস্ত টিকিট বাতিল করে টাকা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও টাকা ফেরত পাইনি। এই টিকিটগুলোর মধ্যে একটি ছিল সরাসরি এয়ার ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট থেকে কাটা এবং বাকি দু’টি বিখ্যাত দুই এজেন্সির মাধ্যমে কেটেছিলাম। সবার সঙ্গে বহু বার যোগাযোগ করার পর এজেন্সি বলে, বিমান সংস্থার কাছে আমার কেস রেফার করা হয়েছে, আর বিমান সংস্থা বলছে এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে। আমার মতো আরও অনেক সাধারণ মানুষের জন্য সরকার বা কোনও রাজনৈতিক দলের কোনও বক্তব্য নেই। শোনা যাচ্ছে, টিকিটগুলো ওরা ক্রেডিট শেল-এ রেখেছে। আমার প্রশ্ন, এখন আমার যদি ওই সব জায়গায় যাওয়ার দরকার না থাকে, তা হলে কি আমার টাকাগুলো ফেরত পাব না? পুরোটাই নষ্ট হবে?

আশিস পালিত

কলকাতা-৮

রেশনে সমস্যা

আমি রাজপুর সোনারপুর পুরসভার অন্তর্গত ৩২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। যে রেশন ডিলারের থেকে রেশন সংগ্রহ করি, তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আছে। প্রথমত, এই রেশন দোকানে যাঁর রেশন কার্ড, তিনি ছাড়া অন্য কেউ সেই রেশন কার্ড নিয়ে গেলে, কার্ডের প্রাপ্য রেশন তাঁর হাতে দেওয়া হয় না। যাঁরা সুস্থ-সবল, তাঁদের জন্য তবুও এই নিয়ম মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু অনেক অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা আছেন, যাঁরা একা থাকেন। তাঁরা অন্য কারও সাহায্য নিয়ে নিজেদের প্রাপ্য রেশনটুকু সংগ্রহ করতে পারেন না। হয়তো, রেশন থেকে প্রাপ্ত চাল, আটাই তাঁদের সারা মাসের খাবার।

দ্বিতীয়ত, গত ১৯ জানুয়ারি আপাত ফাঁকা রেশন দোকানে রেশন সংগ্রহ করতে গিয়ে শুনলাম, আমার এক পরিচিতকে রেশন ডিলার বলেছেন— “১৫ তারিখের মধ্যে রেশন তুলবেন। একটু ভিড়ে লাইন দিয়ে রেশনটা তুলেই দেখুন না!” তৃতীয়ত, প্রাপ্য রেশনের সঙ্গে ২০ টাকা মূল্যের অন্য যে কোনও জিনিস, যেমন— কাপড় কাচা সাবান বা নিম্ন মানের বিস্কুট নিতে বাধ্য করা হয়। না হলে প্রাপ্য রেশন দেওয়া হয় না।

এই সমস্যাগুলির প্রতিকার চাই। বৈধ কার্ড নিয়ে যে-ই যান, তাঁর হাতেই কার্ডের বরাদ্দ রেশন দেওয়া হোক। রেশন দোকান খোলার দিন বাড়ানো হোক, যাতে ভিড় না বাড়িয়ে সবাই রেশন সংগ্রহ করতে পারেন। প্রাপ্য রেশনের সঙ্গে ২০ টাকা মূল্যের অন্য যে কোনও জিনিস নিতে যেন বাধ্য না করা হয়।

পিয়ালী রায় সরকার

কলকাতা-১৫৪

বন্ধ বাস

দীর্ঘ দিন ধরে ধুঁকতে থাকা যাদবপুর-এয়ারপোর্ট মিনিবাস (রুট ১৩৮) আজ পুরোপুরি স্তব্ধ। এই জনপ্রিয় রুটে প্রায় ৩০টির মতো বাস ছিল। কমতে কমতে এক সময় পুরো রুটটিই কোমায় চলে গেল। রুটটি বন্ধ হওয়ার পিছনে প্রধান যে সব কারণ, সেগুলো হল— বাস চালিয়ে মালিকদের প্রভূত ক্ষতি হচ্ছে, দিনের পর দিন অকারণে দু’-তিন বার ট্র্যাফিক পুলিশের তোলা (কেস দিয়ে) তোলার প্রবণতা, দিনে তিনটির বেশি ট্রিপ না করা, ঠিক সময় বাস না-চালানো, ভাড়ার সঠিক বিন্যাস না হওয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ রুটটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অফিসযাত্রীদের খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই রুটটি কনভেন্ট রোড দিয়ে যেত। বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্কুলের ছাত্রছাত্রী-সহ, পাস্তুর,

সেবাসদনে নিয়মিত যাতায়াত করা রোগীদেরও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, রুটটি যেন দ্রুত চালু করা যায়।

সঞ্জয় রায় চৌধুরী

কলকাতা-৩২

রাস্তায় পার্কিং

বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে এয়ারপোর্ট সিটি থেকে এয়ারপোর্ট তিন নম্বর গেট পর্যন্ত রাস্তাটি সম্প্রতি চওড়া করা হয়েছে এবং ফুটপাত তৈরি করা হয়েছে। অঞ্চলটিকে বিধাননগর কমিশনারেট থেকে নো পার্কিং ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ, সকাল থেকেই প্রচুর ট্রাক এখানে দাঁড়িয়ে থাকে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর ফুটপাত জুড়ে ট্রাক ড্রাইভার এবং খালাসিরা আগুন জ্বালিয়ে রান্না করেন। ফলে, পথচারীরা ফুটপাত, রাস্তা— কোনওটা দিয়েই চলাচল করতে পারেন না। এখানে একটি বাস স্টপ আছে। কিন্তু বাস স্টপ জুড়ে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকার ফলে যাত্রীরা জায়গাটি ব্যবহার করতে পারছেন না। বাসগুলো মাঝরাস্তা থেকে যাত্রী তোলে বা নামায়। ফলে, প্রতি মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। আর সবই ঘটে পুলিশের চোখের সামনে। রাস্তাটা চওড়া করা হয়েছে কি অবৈধ ট্রাক পার্কিং-এর জন্য?

সমীর বরণ সাহা

কলকাতা-৮১

বিয়েতে বাজি

আরামবাগ হুগলি জেলার প্রান্তিক ছোট মহকুমা শহর। এখানে বেশ কিছু লজ বা অনুষ্ঠান বাড়ি আছে। সেখানে যখন বিয়েবাড়ি চলে, তখন যথেচ্ছ শব্দবাজি ফাটানো হয়, যা কখনও কখনও গভীর রাত অবধিও চলে। ফলে আশপাশের বাসিন্দা, তথা ছাত্র, বয়স্ক বা অসুস্থ মানুষদের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে। কোনও নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ক্রমশ এই অত্যাচার বেড়েই চলেছে। রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, এই ধরনের কাজ কড়া হাতে দমন করা হোক।

সঞ্জয় মণ্ডল

আরামবাগ, হুগলি

কার্ড নেই

বারাসত ট্রেজারি থেকে পেনশন প্রাপকদের এটিএম সুবিধা দেওয়া হয় না। ফলে বয়স্কদের প্রতি মাসে পেনশন তুলতে ব্যাঙ্কে যেতে হয়। এই কোভিড পরিস্থিতিতে বহু ক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এটিএম কার্ড না থাকায় মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের‌ও সুবিধা থাকে না। বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের উপর এটা এক ধরনের অত্যাচার। প্রযুক্তির যুগে কেন এই রকম বৈষম্য, দেখার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।

অমিতাভ দাশ

কলকাতা-১২৬

নিজ কল্যাণ

রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অজুহাতে জনপ্রতিনিধিরা কোভিড ভ্যাকসিন নিচ্ছেন অন্যায্য ভাবে (‘বিতর্ক উস্কে দিয়ে প্রতিষেধক বিধায়কদের’, ১৭-১)। মনে হয়, রোগী কল্যাণ সমিতির নাম বদলে নিজ কল্যাণ সমিতি রাখা উচিত।

অনন্ত চৌধুরী

কলকাতা-৫৪

‘প্রস্তুত’
মেহবুব কাদের চৌধুরীর “তৈরি হয়নি পরীক্ষাগার, পুরকর্তা বলছেন ‘প্রস্তুত’” (১১-১) শীর্ষক সংবাদের প্রেক্ষিতে এই পত্র। আলোচ্য সংবাদের শুরুতে যে তথ্যটি উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। ঘটনা এই যে, প্রতিবেদনটি যে সাংবাদিকের নামে প্রকাশিত, তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়নি, কথাও হয়নি।
অতীন ঘোষ

সদস্য, প্রশাসকমণ্ডলী, কলকাতা পুরসভা

প্রতিবেদকের উত্তর: অতীনবাবু দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে কথা না বলেই ‘প্রস্তুত’ শব্দটি লেখা হয়েছে। কিন্তু এই প্রতিবেদক তাঁর সঙ্গে দেখা না করলেও ফোনে কথা বলেছিল। যার উত্তরে অতীনবাবু বলেছিলেন, “ল্যাবরেটরি ‘রেডি’ হয়ে গিয়েছে।” অতীনবাবু ওই তারিখে প্রকাশিত খবরকে অসত্য বলে জানিয়েছেন। কিন্তু আধুনিক মানের ল্যাবরেটরি তৈরির গতি কী, তা বোঝাতে ছবিও প্রকাশিত হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Air India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE