Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু: মশার উপদ্রব

নিয়মিত পরিষ্কার না হওয়ায় রোগের প্রাদুর্ভাব ছাড়াও দৃশ্য দূষণ ঘটছে।

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০০

রুবি কানেকটারের আশেপাশে জনবসতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মশার উপদ্রব। শীত একটু কমতেই প্রবল বিক্রমে তারা হাজির। জিএসটি ভবনের সন্নিকটে, রাস্তার দু’দিকের কিছু অংশে খোলা নর্দমা এবং নিকাশি নালা। শহরের ভিতরে নিকাশি নালার বদ্ধ নোংরা জলে আর্বজনা। নিয়মিত পরিষ্কার না হওয়ায় রোগের প্রাদুর্ভাব ছাড়াও দৃশ্য দূষণ ঘটছে।

ধীরেন্দ্র মোহন সাহা

কলকাতা-১০৭

বসিরহাট জেলা

উত্তর ২৪ পরগনা জেলাকে ভাগ করে নতুন বসিরহাট জেলা হবে— মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু দিন আগে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু এখনও এই সিদ্ধান্তের বাস্তবতা কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। যদিও বসিরহাট নতুন জেলার পুলিশ প্রশাসনের এস পি কার্যভার গ্রহণ করেছেন। জেলা সদর, প্রশাসনিক কাজ কোথায় হবে, আমরা তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি। আমরা বাদুড়িয়া থানার অন্তর্গত গ্রামের বাসিন্দা, খুবই আনন্দের সঙ্গে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছিলাম, কারণ প্রত্যন্ত গ্রামের অনেক মানুষ আছেন, যাঁদের বিভিন্ন কাজে এখনকার জেলা সদর বারাসতে আসতে অসুবিধা হয়। কিন্তু বসিরহাট জেলা হলে, অনেক সহজে এবং তাড়াতাড়ি যাতায়াতের সুবিধা হত।

সুখেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী

রাদ্রপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

ট্রেন নিয়ে

আমরা যারা কলকাতা থেকে হাওড়া বা শিয়ালদহ হয়ে বর্ধমান নিত্য যাতায়াত করি, তাদের লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন পাওয়া ও ট্রেনের সময়সূচি নিয়ে এই চিঠি। সকাল ৮:০০ ও বিকাল ৫:৩০-এ একটা ডেমু বা মেমু হাওড়া থেকে বর্ধমান দিলে খুব উপকার হয়। ডাউন রামপুরাট ফাস্ট প্যাসেঞ্জার-এর সময়টা এক ঘণ্টা এগিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অসুবিধা হয়ে গিয়েছে। ওটা যেমন ছিল, ভালই ছিল। মেন ও কর্ড পর পর পাঁচ-দশ মিনিট ছাড়ার চেয়ে গ্যালপিং লোকাল বেশি দরকার।

অতনু মণ্ডল

টালিগঞ্জ, কলকাতা

একটিই ট্রেন

জঙ্গিপুর রোড স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ কলকাতাগামী একটি মাত্র ট্রেন চলে। বেশির ভাগ গাড়ি রাতের দিকে। এই স্টেশন থেকে সকাল ছ’টা নাগাদ কলকাতাগামী এবং কলকাতার যে কোনও স্টেশন থেকে ছ’টা নাগাদ জঙ্গিপুরগামী ট্রেন দিতে অনুরোধ করছি, যাতে এখানকার মানুষ একই দিনে কলকাতার কাজ সেরে বাড়ি ফিরে আসতে পারেন।

শান্তনু সিংহ রায়

জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ

রেলযাত্রীর দশা

গত ২৬-১-২০১৯ তারিখে দক্ষিণপূর্ব রেলের ইস্পাত এক্সপ্রেসের দ্বিতীয় শ্রেণির চেয়ার কার রিজ়ার্ভ করে ঝাড়গ্রাম যাই। দেখলাম তিন জনের বসার জন্য যে জায়গা বরাদ্দ, তাতে দু’জনেরই ভাল করে স্থান সঙ্কুলান হয় না। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষ এত উদাসীন কেন? অপেক্ষমাণ যাত্রীর টিকিট যাত্রার দিনে ক্যানসেল করা হলে টিকিটের মূল্যের প্রায় পুরোটাই কেটে নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে রেল তো যাত্রীকে কোনও পরিষেবাই দিতে পারল না, তবে এ শাস্তির নিদান কেন? সম্প্রতি সংবাদে প্রকাশ, ময়ূরাক্ষী, লালগোলা প্যাসেঞ্জারের মতো ট্রেনগুলোর কোচ পুরনো হওয়ার জন্য পরিবর্তে মেমু ট্রেন চালানো হবে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ কি অবহিত যে জলের অপ্রতুলতা হেতু ওগুলোয় টয়লেট সিল করে দেওয়া হয়েছে? ৩০০-৪০০ কিমি যাত্রাপথে বরিষ্ঠ নাগরিকরা টয়লেট পেলে যাবেন কোথায়?

পার্থসারথি রায়

কলকাতা-৯৭

ট্রেনে চুরি

আমি এক জন কলেজ-ছাত্র। বেনারস থেকে তিন বন্ধু মিলে দুন এক্সপ্রেসে হাওড়া পিরছিলাম গত ৩১-১। গয়া স্টেশন পর্যন্ত যাত্রা বেশ নিরাপদ ছিল। গয়া থেকে ধানবাদ স্টেশনের মাঝে মধ্যরাতে একটু চোখ লেগে আসে। ধানবাদ স্টেশনে একটি ঝাঁকুনি খাওয়ায় জেগে উঠে দেখি, আমার পাশে রাখা কাঁধের ব্যাগটি চুরি গিয়েছে। ওর মধ্যে আমার ল্যাপটপ, ক্যামেরা, লেন্স, হার্ড ডিস্ক, চশমা, চার্জার, কলেজের পরিচয়পত্র ছিল। রেলপুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কামরায় ব্যাগটি খোঁজার চেষ্টা করি, না পেয়ে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে এফআইআর করি। রেলে যাত্রীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা হোক।

রাজর্ষি সাহা

কলকাতা-২৮

পিচ নেই

চাঁপদানি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পিচ দ্বারা নির্মিত প্রায় ১ কিমি দীর্ঘ রাস্তা জিটি রোড প্রান্ত থেকে শুরু করে আর কে এম লেন, আটাপাড়া হয়ে বি এম লেন-এ মিশেছে। রাস্তাটি বহু প্রাচীন ও জনবহুল। এটি পুরসভার অন্যান্য ওয়ার্ডের সংযোগকারী রাস্তা। প্রতি দিন বড়/ছোট গাড়ি, সাইকেল, রিকশা, অটো, টোটো এবং মানুষজন এই রাস্তা ব্যবহার করে। বহু বছর যাবৎ রাস্তাটির অবস্থা খুবই করুণ। বর্তমানে রাস্তাটিতে পিচ নামক কোনও পদার্থ নেই, খানাখন্দ, উঁচুনিচু, ধুলোময়। অল্পবৃষ্টিতে রাস্তায় হাঁটুজল জমে যায়। ড্রেনেজ ব্যবস্থাও ভাল নয়, নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। ফলে ড্রেনের নোংরা জল উপচে গিয়ে রাস্তায় জমে যায়।

পুর সদস্য বছরখানেক আগে বলেছিলেন, রাস্তাটি নতুন ভাবে তৈরি হওয়ার অনুমোদন সরকার দিয়েছে। এই বার রাস্তাটি হবে। ২০১৮ সালে বর্ষার সময় বললেন, বালি পাওয়া যাচ্ছে না, এখন অনেক দাম, পুজোর পর শীতকালে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হবে। আবার শীতকাল শেষ হওয়ার সময় বলছেন, সরকার এখনও পর্যন্ত অনুমোদন দেয়নি।

বিশ্বজিৎ লাহিড়ি

চাঁপদানি, হুগলি

স্কুলে ঝাড়ুদার

কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারই বিদ্যালয়গুলির পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার উপর জোরদার প্রচার করে আসছেন। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয়, গ্রামাঞ্চলের বহু বিদ্যালয়ে কোনও ঝাড়ুদার বা সাফাইওয়ালা নেই। তাই শ্রেণিকক্ষ, বারান্দা ও টয়লেটগুলি মাঝে মাঝেই নরকতুল্য হয়ে যায়। অবিলম্বে ঝাড়ুদার বা সাফাইওয়ালা নিয়োগ করা হোক। আর্থিক কারণে যদি এখনই তা সম্ভব না হয়, তবে ‘একশো দিনের কাজ’-এর মাধ্যমে লোক নিয়োগ করে বিদ্যালয়গুলির নরকমুক্তি ঘটানো হোক।

কল্যাণ কুমার রঞ্জিত

জোয়ারগোড়ী, হাওড়া

মাজু সমিতি

আমরা বহু লোক মাজু সমবায় সমিতিতে টাকা রেখে দীর্ঘ দিন ধরে পাচ্ছি না। আজ প্রায় চার বছর ধরে সমবায় বন্ধ।

অজিতেশ রায়

উত্তর মাজু, হাওড়া

ট্রেকার

বীরভূমের ইলামবাজারে, একটি ট্রেকারে যেখানে ১৫ জন মতো চাপা যায়, সেখানে প্রতি ট্রেকারে যাতায়াত করেন ২২-২৫ জন। পুরুষের সঙ্গে মহিলারাও ট্রেকারের হাতল ধরে ঝুলতে ঝুলতে যাচ্ছেন। বাসিন্দারা বলেন, ইলামবাজার বেলোয়া, হরিশপুর, মেটেকোনা গ্রাম যাবার জন্য এই রুটে কোনও বাস নেই। তাই এলাকার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেকারে যাতায়াত করেন। এক ট্রেকার চালক বলেন, ‘‘এটাই আমাদের রুটি-রুজি। এই রুটে বাস নাই, ট্রেকারই ভরসা।’’ এ ভাবে যেতে গিয়ে যদি কেউ পড়ে আহত বা নিহত হন? আর কথা বলেননি ওই ট্রেকার চালক।

মহিউদ্দীন আহমেদ

ইলামবাজার, বীরভূম

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

Mosquito Dengue
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy