Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু: নেশা আর পড়া

‘বাংলা (প্রথম ভাষা) নবম ও দশম শ্রেণি’ এবং ‘সাহিত্যচর্চা বাংলা ‘ক’ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি’র পাঠ্যসূচির অধিকাংশ পাঠে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার সহজেই চোখে পড়বে।

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৯ ০০:০১

দুঃখের বিষয়, আমাদের বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকগুলি ‘নেশামুক্ত’ নয়। পাঠ্য বিষয় থেকে কয়েকটি বাক্য তুলে, তা বোঝাবার চেষ্টা হল:

‘‘তেমনি উদাসীন ভাবেই শুধু সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়িতে লাগিল।’’ (‘নিরুদ্দেশ’, প্রেমেন্দ্র মিত্র)। ‘‘সেই ওদের মতোই দাড়ি কামান, সিগারেট খান,.....’’(‘জ্ঞানচক্ষু’, আশাপূর্ণা দেবী)। ‘‘আর একটা বিড়ি ধরিয়ে নিয়ে হরিদা চুপ করে বসে আছেন।’’ (‘বহুরূপী’, সুবোধ ঘোষ)। ‘‘বিড়ির গন্ধ নাকে আসছে।’’ (‘ডাকাতের মা’, সতীনাথ ভাদুড়ী)। ‘‘রাত্তিরে দু-ভাই মিলে টান দিই গঞ্জিকাতে’’ (‘নুন’, জয় গোস্বামী)। ‘‘কিংবা মিশরের মানুষী তার বুকের থেকে যে মুক্তা আমার নীল মদের গেলাসে রেখেছিল’’ (‘শিকার’, জীবনানন্দ দাশ)। ‘‘মদ গিলে গ্রিনরুমে পড়েছিলুম।’’ (‘নানা রঙের দিন’, অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়)। ‘‘তাহার ট্যাঁক হইতে...কয়েকটা বিড়ি, একটা দেশলাই ও একটা গাঁজার কলিকা বাহির হইয়া পড়িল।’’ (‘পথের দাবী’, শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)।

‘বাংলা (প্রথম ভাষা) নবম ও দশম শ্রেণি’ এবং ‘সাহিত্যচর্চা বাংলা ‘ক’ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি’র পাঠ্যসূচির অধিকাংশ পাঠে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার সহজেই চোখে পড়বে। অনেকেই হয়তো ভাবছেন, বাংলা ভাষা এবং সাহিত্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মনে গভীর অনুরাগ তৈরি করার ক্ষেত্রে, সৃষ্টিশীল সাহিত্যপাঠে ধূমপান, মদ্যপানের প্রসঙ্গ উত্থাপনের কারণ কী?

যথেষ্ট কারণ আছে। স্কুল শিক্ষা দফতর স্কুল চত্বরে ধূমপান, তামাক সেবন নিষিদ্ধ করতে জেলায় জেলায় নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। নির্দেশিকায় স্কুলের সামনে বোর্ড লাগিয়ে প্রধান শিক্ষকের নাম ও মোবাইল নম্বর উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছে। স্কুল চত্বরের ১০০ মিটারের মধ্যে ধূমপান করলে ২০০ টাকা জরিমানা। ওই সীমারেখার মধ্যে সিগারেট বিড়ি খৈনি ও গুটখা বিক্রিতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে বোর্ড লাগিয়ে ‘ধূমপান বর্জিত এলাকা’ লিখে রাখার কথা বলা হয়েছে। বিদ্যালয় স্তরে প্রধান শিক্ষক, পরিচালন সমিতির সভাপতি, এক জন অভিভাবক প্রতিনিধি ও এক জন চিকিৎসককে নিয়ে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ কমিটি’ তৈরি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এক দিকে শিক্ষা দফতরের নির্দেশ মেনে বিদ্যালয় থেকে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ওপর কড়া পদক্ষেপ করা হবে, অন্য দিকে পাঠ্যসূচিতে তার বহুল ব্যবহার থাকবে: এ এক অদ্ভুত বৈপরীত্য!

নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বিষয়গুলিতে, যেখানে চরিত্রের প্রয়োজনে ধূমপান, মদ্যপানের দৃশ্য দেখানো হয়েছে, তা বাদ দিলে শিল্পের উপর আঘাত নামতে পারে। লেখাগুলিতে বিষয়বস্তুর ভাব অনুযায়ী, গল্পের প্রয়োজনে কিংবা বিভিন্ন চরিত্রের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে গিয়ে ধূমপান বা মদ্যপানের দৃশ্য দেখাতে হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মনের মধ্যে পরোক্ষ ভাবে সেই দৃশ্য ক্রিয়া করবেই। তাই সিনেমা, টেলিভিশনের মতো পাঠ্যপুস্তকেও পাঠ শুরুর পূর্বে বড় হরফে ‘বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ’ উল্লেখ করা উচিত ছিল।

শিল্প সৃষ্টির প্রেরণায় সাহিত্যিক তাঁর রচনায় ধূমপান দেখাতেই পারেন, কিন্তু বিদ্যালয় স্তরে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নে সঙ্কলকগণের সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। সিলেবাস থেকে এই লেখাগুলিকে বাদ দিতে বলছি না। কিন্তু এমন কিছু লেখাও তো অাছে, যা পড়লে এই নেশাগুলি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মনে বিরাগ তৈরি হবে। সেই লেখাগুলিও তা হলে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হোক।

তপন কর্মকার, গোপালনগর, পুরুলিয়া

ধুলোর ঝড়

মেচেদা থেকে হলদিয়া মোড় পর্যন্ত এক বীভৎস অভিজ্ঞতা। কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের মুখোমুখি হলেই, আমাদের নাক-মুখ ঢাকতে হয়। ধুলোর এমন প্রকোপ, এক জন আর এক জনকে দেখতেও পায় না। স্থানীয় জনগণও জেরবার। এর ফলে হয়তো খুব শীঘ্রই অনেকেরই শ্বাসকষ্টজনিত রোগ হবে।

সুজিত কুমার ভৌমিক, চণ্ডীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর

জল নেই

আমি বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত রানিবাঁধ থানার লালমণিকচা গ্রামের বাসিন্দা। এখানকার অধিবাসীরা গরমের সময় তীব্র জলসঙ্কটের মধ্যে দিন কাটান। অথচ মাথার উপরে মুকুটমণিপুর জলাধার। এলাকার খাল, বিল, পুকুর সব শুকিয়ে যায়। স্নান করার জলটুকুও মেলে না। পানীয় জলের জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। যে কয়েকটা টিউবওয়েল আছে, হয় অনেক বার পাম্প করলে একটু জল পাওয়া যায়, নয় খারাপ হয়ে গিয়েছে। এক বার যদি কিছু দিনের জন্য মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়, তা হলে এই এলাকার মানুষের উপকার হয়।

ঈপ্সিতা ধবল, লালমণিকচা, বাঁকুড়া

ফেলব কোথায়

প্রায়ই লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করি। কিছু না কিছু খাবার হকারদের কাছ থেকে কিনে খাই। সমস্যা হয়, খাওয়ার পর মোড়কটি নিয়ে কী করব? প্লাস্টিক বা কাগজ, কলার খোসা থেকে চায়ের কাপ আমি জানালার বাইরে দিয়ে ছুড়ে না ফেলে, সিটের তলায় রেখে দিই। এক দিন উল্টো দিকের ভদ্রলোক ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টোপাল্টা বললেন। কামরা নোংরা না করে, জানালা দিয়ে বাইরে ফেলার পরামর্শ দিলেন। বললাম, এটাই তো ভাল যে এখন সিটের তলায় থাকল, কারশেডে গেলে ওটা পরিষ্কার করে নেবে। জানালার বাইরে ছুড়লে কোথায় উড়ে পড়বে, পাশের চাষের জমিতে প্লাস্টিক উড়ে পরিবেশ আরও খারাপ হবে। উনি মানতে নারাজ। তর্কে না পেরে চুপ করে যাই। এখন প্রশ্ন, এই নিয়ে রেলের কি কোনও নির্দেশিকা আছে? এখন তো আধুনিক কোচ বানানো হচ্ছে। সেখানে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করলে ভাল হয়।

তুহিন কুমার যশ, সালকিয়া, হাওড়া

বিশ্রী রাস্তা

কৃষ্ণনগর পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের একটি জনবহুল রাস্তা রাধানগর রোড। রাস্তাটির একটু বৃষ্টিতেই বেহাল দশা হয়। রাস্তার উপরে জল জমে যায়, সেই জমা জলে দুর্গন্ধ বার হয়, মশার দাপট বেড়ে যায়। কল দিয়ে বেরোয় ঘোলা জল। এই রাস্তায় কোনও ড্রেন নেই, যে যার মতো গর্ত খুঁড়ে জল ফেলার ব্যবস্থা করে নিয়েছে। রাস্তার পাশে কচুবন, জংলা গাছে ভরা।

উজ্জ্বল রক্ষিত, রাধানগর রোড, নদিয়া

চলাচল কবে?

দীর্ঘ দিন হল হালিশহর থেকে গরিফা স্টেশন পর্যন্ত রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে এবং ট্রেনের ট্রায়াল রানও হয়ে গিয়েছে। তাও কেন যাত্রী ট্রেন চলাচল শুরু হল না, তা বোধগম্য নয়। শুরু হলে, মানুষকে আর নৈহাটি বা ব্যান্ডেলে দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেনের অপেক্ষা করতে হবে না। কল্যাণী/রাণাঘাট বা নদিয়ার আরও প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে হাওড়া বা বর্ধমান-দুর্গাপুর-আসানসোল লাইনের যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশাল উন্নতি ঘটবে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, কল্যাণী, নদিয়া

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

ভ্রম সংশোধন

• ‘সুদ কমবে কি? প্রশ্ন বাজারেরও’ শীর্ষক সংবাদ প্রতিবেদনে (ব্যবসা, ১০-৬) কিছু সংস্করণে সুকন্যা সমৃদ্ধি এবং স্টেট ব্যাঙ্কের সুদের হার ভুল প্রকাশিত হয়েছে। সুকন্যা সমৃদ্ধির সুদ হবে ৮.৫০%। স্টেট ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ১, ২, ৩ এবং ৫ বছরের আমানতের সুদ যথাক্রমে ৭.০০%, ৬.৭৫%, ৬.৭০% এবং ৬.৬০%।
• ‘শেষ দিনে খেলেন এক গ্লাস পায়েস’ (রবিবাসরীয়, ৯-৬) প্রবন্ধে লেখা হয়েছে, ‘বসুমতী’ পত্রিকার সতীশ মুখোপাধ্যায়কে শ্মশানে সাপে কামড়েছিল। আসলে নামটি হবে উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।


অনিচ্ছাকৃত এই ভুলগুলির জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

Education
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy