Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু: স্বাস্থ্য নিয়ে সুস্থ দৃষ্টি

কিন্তু সেই বামফ্রন্ট আমল থেকে আজ পর্যন্ত সরকার প্রত্যেকের জন্যে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিংয়ের ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি করেনি খরচের ভয়ে। যেটা কয়েকটি রাজ্য করে দেখিয়েছে। খরচ ঠিক জায়গায় না করে দিকে দিকে ঝাঁ চকচকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে উঠেছে।

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০০

‘রেডিয়োলজিস্টের আকাল, ব্যাহত রোগী পরিষেবা’ (১০-১) প্রতিবেদন পড়ে মনে হল সরকারি প্রচেষ্টাটা ঠিক যেন রান্নার জোগাড় করার আগেই উনুন জ্বেলে দেওয়ার মতো। যত সংখ্যক মেধাবী ছাত্র পশ্চিমবঙ্গে ডাক্তারি পড়তে ভর্তি হয়, প্রত্যেকেরই পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করার যোগ্যতা আছে। কিন্তু সেই বামফ্রন্ট আমল থেকে আজ পর্যন্ত সরকার প্রত্যেকের জন্যে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিংয়ের ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি করেনি খরচের ভয়ে। যেটা কয়েকটি রাজ্য করে দেখিয়েছে। খরচ ঠিক জায়গায় না করে দিকে দিকে ঝাঁ চকচকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। এখন এই হাসপাতালগুলিতেও রোগীরা ঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন না। খুব গরমের দিনে ক্লান্ত রোগীর কাছে সেগুলো পান্থশালার মতো উপযোগী। সরকার কাগজে বিজ্ঞাপন দেয়, প্রাইভেট ডাক্তারদের পার্টটাইমে সরকারি হাসপাতালে যুক্ত করা হবে। কিন্তু ওটা শুধুই লোক দেখানো। বাস্তবে অতিপরিচিত দু’এক জনকে গুরুদায়িত্ব দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করা হয় না। রোগীদের স্বার্থে যথাযথ পরিকাঠামো বাড়িয়ে যত শীঘ্র সম্ভব পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের সিট বাড়ানো হোক। স্বাস্থ্য নিয়ে অস্বাস্থ্যকর রাজনীতি বন্ধ হোক। অন্য দিকে, সরকারি হাসপাতালে এমআরআই-এর মতো খরচসাপেক্ষ পরীক্ষা বিনামূল্যে হওয়ায়, কিছু রোগীর উপকার হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তার চেয়েও বেশি উপকৃত হচ্ছে দালালরা। এদের মধ্যে আছে হাসপাতালের বিভিন্ন পেশার কর্মচারী। যারা ডাক্তারকে ভাল কথা বলে বা পরোক্ষে চোখ রাঙিয়ে, প্রেসক্রিপশনে স্ক্যান বা এমআরআই লিখিয়ে নিয়ে, দরকার ছাড়াই তাদের পরিচিত বা আত্মীয় বলে রোগীদের টেস্ট করিয়ে নিচ্ছে, আর ডাক্তার-সহ সমস্ত কর্মচারীর উপর কাজের বোঝা চাপাচ্ছে। একমাত্র যোগ্য ডাক্তাররাই (তাঁবেদার নয়) যদি হাসপাতালের প্রশাসক হন, আর তাঁদের যথাযথ ক্ষমতা প্রদান করা হয়, তবেই এই সমস্যার সুরাহা হতে পারে। স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত শুধু ভোটের মার্কেট ধরার জন্য না করাই মঙ্গল।

দীপ ভট্টাচার্য

বেহালা

রোগীর পরিজন

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতি দিন প্রচুর রোগী ভর্তি হন সুচিকিৎসার আশায়। রোগীর সঙ্গে বাড়ির লোকজনকে সর্ব ক্ষণ থাকতে হয়। রোগীর অবস্থা দেখে বিভিন্ন ধরনের রক্তপরীক্ষা করতে দেন ডাক্তারবাবুরা। কিন্তু রোগীর বাড়ির লোকজনকেই সেই রক্ত বয়ে নিয়ে গিয়ে মেডিক্যালের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট আনতে হয়। এতে রোগীর বাড়ির লোকজনের অসুবিধা হয়। সাধারণ মানুষের পক্ষে অচেনা বিশাল চত্বরে খুঁজে বার করা দুষ্কর, কোথায় গ্রিন বিল্ডিং, কোথায় সেন্ট্রাল ল্যাব, কোথায় বায়োক্যাম? তা ছাড়া লোকবলেরও অভাব ঘটে। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি রোগীর প্রয়োজনীয় যাবতীয় পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করে নিজেরাই পরীক্ষা করিয়ে আনেন, তা হলে রোগীর বাড়ির লোকজনের অনেক সুবিধা হয়।

অতীশচন্দ্র ভাওয়াল

কোন্নগর, হুগলি

পেনশনে দেরি

২০১৮-র ডিসেম্বরের পেনশন এখনও কে এম ডি এ-র অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা পাননি। কী কারণে তাঁদের ন্যায্য পাওনা পেতে দেরি হচ্ছে বা আদৌ পাওয়া যাবে কি না সেই সম্বন্ধে কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ। কেএমডিএ পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশন চিঠি দিয়ে কারণ জানতে চাইলেও সিইও বা ডিরেক্টর জেনারেল অব ফিনান্সের তরফে কোনও উত্তর মেলেনি।

তরুণ কুমার ভট্টাচার্য

রিষড়া, হুগলি

বিড়ম্বনা

আমার স্বামী দীর্ঘ দিন পোর্ট ট্রাস্টে চাকরি করতেন। তিনি মারা যাওয়ার পর এত দিন আমি পেনশন পেয়ে এসেছি। ব্যাঙ্কের নিয়মানুসারে প্রতি বছর যথা সময়ে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিয়ে এসেছি। এ বারও দিয়েছি। কিন্তু পেনশনের প্রাপ্য টাকা আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সময়মতো আসেনি। প্রায় এক বছর হতে চলল। আমি বয়স্কা বৃদ্ধা, অসুস্থ। আমার দু’পা খোঁড়া। যার ফলে হাঁটাচলায় অক্ষম হওয়ায় এজেন্ট দিয়ে সব কাজ করি। তবুও আমি নিজে গিয়ে এসবিআই ব্যাঙ্কে সব তথ্য ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এবং পোর্ট ট্রাস্টের হেড অফিসের সেকশন অ্যাকাউন্ট অফিসারকে জানিয়েছি, তবু প্রাপ্য টাকা এখনও পাইনি। ব্যাঙ্কে প্রত্যেক বছর সময়মতো সব তথ্য দেওয়া সত্ত্বেও আমাকে কেন এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হল জানি না।

মায়া দাস

কলকাতা-২৫

ঝুলন্ত ব্রিজ

আমি নদিয়া জেলার অন্তর্গত রানাঘাট ১ ব্লকের বাসিন্দা। এই রানাঘাটে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী চূর্ণী নদীর উপর অবস্থিত ঝুলন্ত ব্রিজ (ঝুলন্ত ব্রিজ কারণ, এই ব্রিজটি যদিও ছোট, তবুও অনেকটা হাওড়া ব্রিজ অর্থাৎ রবীন্দ্র সেতুর মতো দেখতে, মনে হয় যেন ব্রিজটি ঝুলছে)। ব্রিজটি এখন প্রায় ভগ্নাবস্থায় এবং এর কর্মক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। তাই বিগত কয়েক মাস ধরে ব্রিজটি বন্ধ রাখা হয়েছে। এবং তার পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে শুধু দু’টি নৌকা, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটা কম। এই ব্রিজটি দিয়ে প্রতি দিন কমপক্ষে কুড়ি থেকে বাইশ হাজার মানুষ সাইকেল নিয়ে এবং পায়ে হেঁটে যাতায়াত করেন। ফলে স্কুল এবং অফিসের সময় নৌকায় প্রচণ্ড ভিড়ের জন্য সাধারণ মানুষদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, জানা সত্ত্বেও অনেক সময় দেখা যায় প্রচণ্ড ভিড়ের জন্য অনেকেই সেই ভগ্ন ব্রিজটিকেই ব্যবহার করছে। যদি ব্রিজটি নতুন ভাবে করার ব্যবস্থা করা হয়, বিশেষ উপকার হবে।

দীপঙ্কর বসাক

রানাঘাট, নদিয়া

একটি প্রস্তাব

‘বায়ুদূষণ আটকাতে পথ খুঁজতে বৈঠক’ শিরোনামে প্রকাশিত (৮-১) সংবাদের প্রেক্ষিতে আমার প্রস্তাব হল, শহর জুড়ে ফুটপাতের চায়ের, তেলেভাজার, হোটেলের, ইস্ত্রিওয়ালার লক্ষ লক্ষ চুল্লিতে কয়লা পোড়ানো নিষিদ্ধ হোক। সঙ্গে সঙ্গে ওই সব দোকানে সস্তায় গ্যাস দেওয়ার ব্যবস্থা হোক। তা ছাড়া রাস্তা পরিষ্কার করার পর কর্পোরেশনের কর্মচারীরা যে গাছের পাতা, প্লাস্টিক ইত্যাদি পোড়ান, তাও বন্ধ করা হোক।

অশোক কুমার দাস

কলকাতা-৭৮

গঙ্গাসাগর

অসংখ্য তীর্থযাত্রীকে গঙ্গাসাগরে পৌঁছে দেওয়া ও নিয়ে আসার জন্য কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন ধরনের রুটের বাস তুলে নেওয়া হয়, ফেরি সার্ভিসের অনেক লঞ্চও। ফলে কাজের দিনে অসংখ্য নিত্যযাত্রীর খুব অসুবিধা হয়।

অভিজিৎ দাস

বালি, হাওড়া

রোগের তালিকা

পশ্চিমবঙ্গ সরকারি হেল্‌থ স্কিম অনুসারে, তালিকাভুক্ত হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে চিকিৎসা করালে, সরকারি কর্মী বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, চিকিৎসা ভাতার পরিবর্তে চিকিৎসা-খরচ ‘রিইমবার্সমেন্ট’-এর সুযোগ পান। কিন্তু বহির্বিভাগে চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই সুবিধা

শুধুমাত্র তালিকাভুক্ত ১৪টি রোগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

প্রৌঢ়ত্বে বা বার্ধক্যে অনেক পুরুষ প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের সমস্যায় ভোগেন। ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা করাতে হয়। নিয়মিত বহির্বিভাগে এই চিকিৎসা করানো ব্যয়বহুল। অথচ এই রোগটি সরকারি তালিকাভুক্ত নয় (বহির্বিভাগের ক্ষেত্রে)। এই রোগটিকে তালিকায় রাখলে অনেকে উপকৃত হবেন।

বলরাম পাল

সেনপাড়া, জলপাইগুড়ি

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

Health Super Speciality Hospital MBBS
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy