রাজকন্যা কি কম পড়েছে? সত্যজিৎ রায়ের সিনেমায় অন্তত তা হয়নি। কিন্তু বর্তমান বঙ্গীয় হাল্লারাজ্যে সব কিছুই কেমন যেন কম পড়ে যাচ্ছে বার বার। বোধ-বুদ্ধি-বিচার-বিবেচনা-জ্ঞান সবই কম পড়ে যাচ্ছে ইদানীং। হয়তো বা কম পড়ছে তারকাও। নইলে পশ্চিমবঙ্গীয় নির্বাচনী প্রচারে বাংলাদেশের তারকাদের ঘুরে বেড়ানোর কোনও যথাযথ ব্যাখ্যা পাওয়া এককথায় অসম্ভব। তারকা ও জ্ঞান দুই-ই যখন কমতির দিকে, তখন যা হতে পারে এই মুহূর্তে এই বঙ্গ তারই সাক্ষী।
নইলে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও এক জন নেতাও এক বার ব্যাখ্যা করে বলতে পারবেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে ফিরদৌস ও দমদমে গাজি আব্দুন নুর, এঁদেরকে নির্বাচনী প্রচারে কেন নিয়ে আসবেন নেতারা? একটি দেশের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অন্য দেশের কোনও ব্যক্তিকে শামিল করা যে কোনও ভাবেই সংগত নয়, আমাদের কি ধরে নিতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসের তাবড় নেতাদের এই জ্ঞানের সম্যক অভাব ছিল? অন্যথায় এর ব্যাখ্যা পাওয়াটা খুব দুষ্কর হয়ে উঠছে।
জলে তো কুমির থাকবেই। কিন্তু তাকে বাড়িতে ডেকে আনার জন্য খাল কাটে যে, তাকে আমরা নির্বুদ্ধিতার দায়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করাই। তৃণমূল কংগ্রেসের মতো একটি জাতীয় রাজনৈতিক দলকে এই রকম এক কাঠগড়ায় দাঁড় করানোই বরং নির্বুদ্ধিতা হবে। প্রশ্নটা জাগে সেখানেই। তা হলে কি অন্য কোনও কারণ ছিল? উত্তর দিনাজপুরের মতো একটি সীমান্তবর্তী জেলায় বাংলাদেশের নায়ককে নিয়ে এসে প্রচার করানোর নেপথ্যে ভিন্নতর কোনও এক রসায়ন কাজ করেছে, কর্পোরেট জগতে যাকে বলে টার্গেট গ্রুপ কেন্দ্রিক বিশেষ কোনও পরিকল্পনা? ভাবনার পিছনে যা-ই থাকুক না কেন, বলতে দ্বিধা নেই, বাংলাদেশী তারকাদের ময়দানে নামিয়ে বিপাকেই পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বখাত সলিলের এর চেয়ে বড় নিদর্শন অধুনা খুব কমই দেখা গিয়েছে।
সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আরও পড়ুন: আবেগের বশে ভুল করে ফেলেছি, ক্ষমা চেয়ে বললেন ফিরদৌস
তুমুল বিতর্কের মধ্যে ফিরদৌস ক্ষমা চেয়েছেন। বলেছেন, আবেগের বশে সহকর্মীদের সঙ্গে প্রচারে অংশ নিয়ে বড় একটা ভুল করে ফেলেছেন। আমাদের প্রশ্ন একটাই, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কেউ কিছু বলবেন কি? কেউ কি এক বারও বলবেন, তাঁদের এহেন সিদ্ধান্তের পিছনে কোন আবেগ কাজ করেছিল?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy