Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Lok Sabha Election 2019

আবেগের বশে ভুল করে ফেলেছি, ক্ষমা চেয়ে বললেন ফিরদৌস

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ফিরদৌস। টলিউডে অভিনয় করেও পরিচিতি পেয়েছেন। গত ১৪ এপ্রিল ‘বিজনেস ভিসা’ নিয়ে কলকাতায় আসেন তিনি।

ফিরদৌস আহমেদ। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

ফিরদৌস আহমেদ। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৯ ২১:৪৪
Share: Save:

ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন বাংলাদেশি অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদ। ফিরদৌসের দাবি, আগে থেকে পরিকল্পনা করে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রচারে যাননি তিনি। বরং বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ ছিল। তাই আবেগের বশে সহকর্মীদের সঙ্গে প্রচারে অংশ নিয়ে ফেলেন।

বুধবার একটি লিখিত বিবৃতি জারি করে ফিরদৌস জানান, ‘পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাথে আমার সম্পর্ক বহুদিনের। এখানের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেক শিল্পী, সাহিত্যিক আমার বন্ধু।পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাথে আমার সম্পর্ক বহুদিনের। এ জন্য বিভিন্ন সময় কারণে অকারণে আমি এখানে চলে আসি।ভারতে জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের এই নির্বাচন পূর্বের মতো সাড়া বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। এই সময়ে আমি ভারতে অবস্থান করছিলাম। সকলের মতো আমারও আগ্রহের জায়গায় ছিল এই নির্বাচন। ফলে ভাবাবাগে তাড়িত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের একটি নির্বাচনী প্রচারণায় আমি আমার সহকর্মীদের সাথে অংশগ্রহণ করি।’

ফিরদৌস আরও বলেন, ‘এটা পূর্বপরিকল্পনার কোন অংশ ছিল না। শুধুমাত্র আবেগের বশবর্তী হয়ে আমি অংশগ্রহণ করেছি। কারো প্রতি বিশেষ আনুগত্য প্রদর্শন বা কোন বিশেষ দলের প্রচারণার লক্ষ্যে নয়, আবার কারো প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করাও আমার উদ্দেশ্য নয়।আমি বুঝতে পেরেছি, আবেগের বশবর্তী হয়ে সহকর্মীদের সাথে এই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করাটা আমার ভুল ছিল। যেটা থেকে অনেক ভ্রান্তি তৈরি হয়েছে এবং অনেকে ভুলভাবে নিয়েছেন। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি ক্ষমা প্রর্থনা করছি। আশা করি, সংশ্লিষ্ট সকলে আমার অনিচ্ছাকৃত ভুলকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’

ফিরদৌসের বিবৃতি।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশি অভিনেতা ফিরদৌসকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের​

আরও পড়ুন: তৃণমূলের প্রচারে নেমে ফিরদৌসের পর বিতর্কে আর এক বাংলাদেশি অভিনেতা, কমিশনে অভিযোগ বিজেপির​

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ফিরদৌস। টলিউডে অভিনয় করেও পরিচিতি পেয়েছেন। গত ১৪ এপ্রিল ‘বিজনেস ভিসা’ তিনি কলকাতায় আসেন বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর। ভিসার শর্ত অনুযায়ী শুধুমাত্র সিনেমার শুটিংএবং বিনোদনের অনুষ্ঠানেই যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ওই দিনই রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের হয়ে প্রচার করতে দেখা যায় তাঁকে। ১৫ এপ্রিলও একদফা প্রচার চালান তিনি। সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি সামনে আসতেইসক্রিয় হয় দিল্লি। কলকাতার ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) থেকে সবিস্তার রিপোর্ট পেয়ে চেয়ে পাঠানো হয়। তা হাতে পেয়েই উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ফিরদৌসকে দেশ ছাড়ার নোটিস ধরানো হয়। তাঁকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ও করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে তাঁর ভারতের ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে।

গোটা ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিদেশি নাগরিক এনে ভোট প্রচার করায় শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি এবং বামেরা। তার মধ্যেই এ দিন সন্ধ্যায় বিবৃতি জারি করে ক্ষমা চেয়ে নেন ফিরদৌস।

অন্য দিকে, ফিরদৌসের মতোই তৃণমূলের হয়ে প্রচারে যোগ দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আর এক বাংলাদেশি অভিনেতা গাজি আব্দুন নুর। বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ তিনি। দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের পথসভায় যোগ দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে রাজ্যের মুখ্য আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছে অভিযোগ জানান বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং শিশির বাজোরিয়া। প্রমাণ স্বরূপ তাঁরা একটি ভিডিয়ো জমা দেন বলে জানা গিয়েছে। তাতে গাড়ির উপর থেকে সাধারণ মানুষের উদ্দেশে হাত নাড়তে দেখা গিয়েছে গাজি নুরকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE