ভারতবর্ষ তাঁর আঁকার ধরন বদলে দিয়েছিল
ভারতপ্রেমী: ব্রিটিশ শিল্পী হাওয়ার্ড হজকিন-এর আঁকা দুটি ছবি। ‘ফ্রম দ্য হাউস অব ভূপেন খক্কর’ ও (ডান দিকে) ‘বম্বে সানসেট’
ব্রিটিশ শিল্পী হাওয়ার্ড হজকিন প্রথম ভারতে আসেন ১৯৬৪ সালে। তখন তাঁর বয়স ৩২। মুম্বই রেল স্টেশনে ঘুমোতেন, দেখতেন শহর, জীবন। ভারত ছিল তাঁর আঁকার প্রেরণা। ভারত-বাস তাঁর ভাবনা, আঁকার ধরনও বদলে দিয়েছিল, বলতেন তিনি। অনায়াসে আঁকতেন কাগজ থেকে ক্যানভাসে, তরকারি কাটার কাঠের বোর্ড, টেবিল, পুরনো কাঠের টুকরোতেও। হজকিনের ভারত-অনুপ্রাণিত ছবিগুলি নিয়ে ইয়র্কশায়ারের হেপওয়ার্থ ওয়েকফিল্ড গ্যালারি শুরু করেছে প্রদর্শনী ‘পেন্টিং ইন্ডিয়া’। চলবে অক্টোবর পর্যন্ত। থাকছে হজকিনের ৩৫টা ছবি, যেগুলো অনেকের ব্যক্তিগত সংগ্রহে ছিল, বা ব্রিটেনে এই প্রথম দেখা যাবে। শিল্পী নিজেও এই প্রদর্শনী নিয়ে খুব উত্তেজিত ছিলেন, নিজে দেখে যেতে পারলেন না। ওঁর প্রথম দিকের কাজ ‘বম্বে সানসেট’-এ আছে আরব সাগরের বুকে অস্তগামী সূর্যের রঙের আগুন। আছে ‘গার্ডেন অব দ্য বম্বে মিউজিয়াম’, ‘ইভনিং’, ‘নাইটফল’, ‘আফটারনুন’ ছবিগুলোও। ওঁর প্রিয় বন্ধু ছিলেন শিল্পী ভূপেন খক্কর। ভূপেনের মৃত্যুতে খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। গত বছর ভূপেনের কাজগুলো নিয়ে একটা প্রদর্শনী হয়েছিল, ‘ফ্রম দ্য হাউস অব ভূপেন খক্কর’ নামে নিজের আঁকা একটা ছবি খুঁজছিলেন তার জন্য। এক কিউরেটর-বন্ধু ছবিটা খুঁজে বের করে, তার একটা ফোটো তুলে পাঠিয়েছিলেন, শিল্পী দেখে খুব খুশি।
যামিনী রায়ের মৃত্যুর পর হজকিন তাঁর স্টুডিয়োয় গিয়েছিলেন, শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে ছবিও এঁকেছিলেন একটা। প্রতি বছরই এক বার আসতেন ভারতে, মুম্বইয়ে থাকতেন তিন মাস। শেষের দিকে হুইলচেয়ারে বসে আসতে হত, তবু আসায় ছেদ পড়েনি। এ বছর মার্চে মারা গিয়েছেন হজকিন, তার কিছু দিন আগেও ঘুরে গেছেন এ দেশ থেকে।
বিলেতে বাংলা ছবি
লন্ডনে বাংলা ছবি দেখতে পাওয়াটাই একটা ঘটনা, আর ভারতে মুক্তির আগেই সেটা লন্ডনে বসে দেখতে পাওয়া তো আরও বড় ব্যাপার। লন্ডন, বার্মিংহাম আর ম্যাঞ্চেস্টারের বাঙালিরা তাদের দেশোয়ালি ভাইদের আগেই তিনটে বাংলা ছবি দেখতে চলেছেন— ‘ধারাস্নান’, ‘বারান্দা’ আর ‘কমরেড’। বাড়তি পাওনা ‘ষড়রিপু’ ছবিটি। ইউকে-বেঙ্গলি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এ ছবিগুলো দেখানো হচ্ছে, আর ছবিগুলো বিলেতে আনানোর ব্যবস্থা করেছে লন্ডনের দুটো বাংলা রেডিয়ো স্টেশন ‘রেডিয়ো বাংলানেট’ আর ‘ক্যানডিড কমিউনিকেশন্স’।
আমাদের ছুটি ছুটি
ব্রিটেনে বেশির ভাগ শিশুই গরমের ছুটি কাটায় সমুদ্রের পাড়ে, বালি দিয়ে দুর্গ বানিয়ে। কিন্তু রাজপরিবার বলে কথা— চার বছরের প্রিন্স জর্জ আর দু’বছরের প্রিন্সেস শার্লট এখন বাবা-মা উইলিয়াম আর কেট-এর সঙ্গে পোল্যান্ড ও জার্মানি সফরে। অবশ্য ওরা বাবা-মা’র মতো কনসেনট্রেশন ক্যাম্প দেখতে যাবে না, চিড়িয়াখানা যেতে পারে।
এলিজাবেথ আলাদিন
অভিনেত্রী: এলিজাবেথ ও মার্গারেট
দর্শকদের জন্য এই প্রথম খুলে যাচ্ছে উইন্ডসর কাস্ল-এর স্টেট অ্যাপার্টমেন্ট। আগামী শীতে এখানে বেশ কয়েকটা নাটকের অভিনয় হবে, থাকছে চার্লস ডিকেন্স-এর আ ক্রিসমাস ক্যারল-এর মঞ্চরূপও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই অ্যাপার্টমেন্টগুলো ব্যবহৃত হত ক্রিসমাস-কালীন প্যান্টোমাইম অভিনয়ের জন্য। এখানেই দুই রাজকুমারী এলিজাবেথ ও মার্গারেটের অভিনয় দেখেছিলেন রাজা ষষ্ঠ জর্জ। আজকের রানি এলিজাবেথ সে দিন হয়েছিলেন আলাদিন, আর তাঁর বোন মার্গারেট সেজেছিলেন রাজকুমারী রোক্সানা। দর্শকাসনে ছিলেন এক তরুণ অফিসার, ফিলিপ মাউন্টব্যাটেনও। পরে ১৯৪৭ সালে বিয়ে হয় এলিজাবেথ ও ফিলিপের। ৭০ বছর পেরোল সেই বিয়ের!
টেনিস আর পুলিশ
উইম্বলডনের প্রথম সপ্তাহ শুরু হল কড়া নিরাপত্তায়। লন্ডন, ম্যানচেস্টারে জঙ্গি হানার প্রেক্ষিতেই কড়াকড়ি। সাদা পোশাকের পুলিশ মিশে আছে দর্শকের মধ্যে। ক্রিম আর স্ট্রবেরি খেতে খেতে প্রিয় খেলোয়াড়ের জন্য সহর্ষ চিৎকারে অবশ্য ভাটা পড়েনি তাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy