দেখুন আমার বড় ক্ষমাশীল মন। তাই চুরি বস্তুটাকে আমার ক্ষমা করতে সময় লাগে না। বুঝতে পারি না থাকার, না পাওয়ার একটা যন্ত্রণা আছে। এমনকি সেই যন্ত্রণার যুক্তিও তৈরি হয় বঙ্কিমী বিড়ালের কথায়। তাই চুরি ব্যাপারটা আমি অনেক সহজে নিতে পারি। কিন্তু এই অদ্ভুত জিনিসটা চুরি-ডাকাতির চেয়েও জঘন্য এক মানসিক রোগ, যা প্রধানত খল মানুষের মধ্যে থাকে— একটা জিনিস আপনার আছে, কিন্তু সেটা ভাল নেই অথবা বিকৃত ভাবে আছে, সেটাকে সপ্রমাণ করার জন্য আপনি যখন আমার ভালটাও বিকৃত করে আত্মসাত্ করেন এবং প্রচার করেন যে, আপনিই আমার বস্তুটার অধিকারী, তা হলে ঠিক সেইখানেই খলের স্বভাব সিদ্ধ হয়।
একটা গোটা রাজনৈতিক দল, যারা প্রধান একটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার বৃত্তি নিয়েই দল গঠন করেছিল, তারা এক সময় যখন বুঝতে পারল যে, তাদের মৌলিক ভাবনাটা অনেকেই বুঝে ফেলেছে, তখন থেকেই তাদের আত্মসাত্ করার প্রবৃত্তিটাও চেগে উঠেছে। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা পূর্ব সময়ে হিন্দু এবং হিন্দুত্বের যে সংজ্ঞা তৈরি হয়েছিল, সেখানে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে সমগ্র ভারতবর্ষের মানুষকে আহ্বান ছিল। সেখানে ধর্ম হিসেবে কোনও বর্জনীয়তার ইতিহাস তৈরি হয়। পরিভাষায় যেটাকে Exclusivist Politics বলি, সেটা যদি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের উপকরণ হয় এবং সেখানে যদি হিন্দুত্ব একটা হাতিয়ার হয়ে ওঠে, তবে সেটা এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের অন্তর্জাত প্রকরণ হয়ে উঠতে পারে, কিন্তু হিন্দুধর্ম এবং হিন্দুত্ব সেখানে বিড়ম্বনায় পরিণত হয়।
সমস্যা হল, হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের বিকারগ্রস্ত একটা দিক আছে। যেখান থেকে হিন্দু মহাসভা, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বিজেপির উৎপত্তি। এদের কাজ হল বিবেকানন্দের মতো এক সর্বাশ্লেষী ব্যক্তিত্বের উদার শব্দগুলি নিজের মতো করে ব্যবহার করা। যে হিন্দুত্বের মধ্যে বিবেকানন্দ ভারতবর্ষের সংস্কৃতি এবং ধর্ম–দর্শনকে উদার মাহাত্ম্যে প্রোথিত করেছিলেন, সেটা ব্যবহৃত হতে থাকল বর্জনীয়তার রাজনীতির মধ্যে, যেখানে মুসলমান–ক্রিশ্চান আর ভারতীয় থাকেন না। শিখ, বৌদ্ধ, জৈনরাও কোনও মতে হিন্দুয়ানির প্রান্তিক চাষ–আবাদের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকেন। বৌদ্ধ, শিখ–জৈনরাই যেখানে এই রাজনৈতিক হিন্দুত্বের দয়ায় কোনও মতে একটা হিন্দুত্বের ‘টিপ’ পরে বসে আছেন, সেখানে মুসলমান–খ্রিস্টানরা যে অবশ্যই তাঁদের কাছে অগণ্য ‘the other’ সেটা বুঝতে সময় লাগে না, কিন্তু বিবেকানন্দের হিন্দু ভাবনার সঙ্গে কি সেটা কোনও ভাবেই মেলে?
বিবেকানন্দ লিখেছিলেন— ‘অতীতে যত ধর্মসম্প্রদায় ছিল, আমি সবগুলিই সত্য বলিয়া মানি এবং তাহাদের সকলের সহিতই উপাসনায় যোগদান করি। প্রত্যেক সম্প্রদায় যেভাবে ঈশ্বরের আরাধনা করে, আমি তাহাদের প্রত্যেকের সহিত ঠিক সেই ভাবে তাঁহার আরাধনা করি। আমি মুসলমানদিগের মসজিদে যাইব, খ্রিস্টানদিগের গির্জায় প্রবেশ করিয়া ক্রুশবিদ্ধ ঈশার সম্মুখে নতজানু হইব, বৌদ্ধদিগের বিহারে প্রবেশ করিয়া বুদ্ধের ও তাঁহার ধর্মের শরণ লইব, এবং অরণ্যে গমন করিয়া সেই–সব হিন্দুর পার্শ্বে ধ্যানে মগ্ন হইব, যাঁহারা সকলের হৃদয়–কন্দর–উদ্ভাষণকারী জ্যোতির দর্শনে সচেষ্ট।’’
বিবেকানন্দের এই ভাষণের মধ্যে তিনি কোন ‘হিন্দুদের’ পাশে বসতে চান, সেটা যদি বোঝা যায়, তা হলে সেই উদার জলধির মাঝখান থেকে কোন কোন হিন্দুদের তিনিও ‘exclude’ করেছেন, সেটাও বোঝা যায়। অথচ সেই ‘excluded’ হিন্দুরাই কিন্তু এখন সমস্ত ধর্মসেতুর ‘কর্তা–বক্তা–অভিরক্ষিতা’ হয়ে উঠেছেন। তাঁদেরই দরকার পড়ে বিবেকানন্দের হিন্দুবোধকে নিজের প্রয়োজনে আত্মসাৎ করার এবং বিকৃত বোধে আত্মসাৎ করার।
এ কথা বলতে বাধা নেই যে ধর্মীয় ভাবাবেগ উস্কে দিয়ে একটি রাজনৈতিক দল হনুমানকেও আপন স্বার্থে ব্যবহার করছে। ব্যবহার করছে রামচন্দ্রের। এবং তা করছে অত্যন্ত বিকৃত ভাবে। হনুমান এবং রামচন্দ্রের সর্বাঙ্গীন পরিচয় তো পাবো আদিকবির লেখা রামায়ণ মহাকাব্য থেকে থেকে। এমনকি, সেটাকে যদি কাব্যগ্রন্থ না বলে ধর্মগ্রন্থ বলি, তা হলে তো আরও কোনও উপায় থাকে না সেটাকে বিকৃত ভাবে উপস্থাপনা করার। বস্তুত এই বিশেষ রাজনৈতিক দলের হাতে রামায়ণ, রামচন্দ্র এবং হনুমান এতটাই বিকৃত ভাবে ব্যবহৃত হয় যে, সারা জীবন রামায়ণ–মহাভারত নিয়ে গবেষণা করার পর আমাকে এটা বলতেই হবে যে, বিজেপির নেতারা রামায়ণকে যোগী–ভোগী–নবাবদের মতো মৃদু–মূর্খ–কোমল হাতে না রেখে, তাঁরা নিজেরাই যুক্তি করে একটা মহাকাব্য লিখুন, যার নাম হোক বিজেপির রামায়ণ। কিংবা নিজেরাই একটা রামচন্দ্র তৈরি করে নাম দিন বিজেপির রামচন্দ্র। বিবেকানন্দের হিন্দুত্ব আত্মসাৎ করে নাম দিন বিজেপির বিবেকানন্দ এবং অবশ্যই বিজেপির হনুমান।
যে রাজনৈতিক দল সঙ্ ব্যাপারটা সবচেয়ে ভাল বোঝে, তারা যদি হঠাৎ বুদ্ধিদীপ্ত বোধ করে কাণ্ড তৈরি করে ফেলে, তা হলে একটা মোহ তৈরি হয়। আর কে না জানে, ভগবদ্গীতা বলেছে, সংমোহাৎ স্মৃতিবিভ্রমঃ, অর্থাৎ মোহ থেকে স্মৃতির বিভ্রান্তি ঘটে। ফলে রামায়ণের মৌল স্মৃতি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাঁরা এ বার হনুমানের গোত্র–পরিচয় নিয়ে এক–এক জন এক এক কথা বলছেন। এঁদের আবার সবাই নেতা। একটা শূন্য গোলক তাড়াতাড়ি ভরাট করতে গেলে যেমন যেখানে সেখানে রং লাগাতে হয়, তেমনই যেখানে সেখানে রামায়ণী কথা বললেই তাঁরা নেতা হয়ে যান। আর ধরা যাক যোগী আদিত্যনাথ— এক জন যোগী পুরুষ, গেরুয়া পরিধান করেন এবং যাঁর উচিত ছিল যোগারুঢ় অবস্থায় ‘অপানে জুহ্বতি পানম্’— এই গীতোক্ত মন্ত্রে দীক্ষিত হওয়া, তিনি হঠাৎ বলে উঠলেন— হনুমান ছিলেন দলিত সম্প্রদায়ের লোক।
এটাকে যোগ-বিভ্রাট বলে। পান–আপান–উদান বায়ু এমন ভাবেই জট পাকিয়ে গেল যে, রামায়ণী চরিত্রের যে সব নৃতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ পণ্ডিতেরা করেছেন, তাঁদের সমস্ত পাণ্ডিত্য অতিক্রম করে আদিত্যনাথ তাঁর যোগবিকৃতি প্রকাশ করলেন, হনুমান হয়ে গেলেন দলিত। যোগী এত বড় একটা মৌলিক কথা বলেছেন, তো আর এক বিজেপি নেতা বক্কাল নবাব সাহেব বললেন, হনুমান এক জন মুসলিম। এতটাই তিনি জনপ্রিয় যে মুসলমানদের অনেক ব্যক্তিনামের সঙ্গে হনুমান নামের সমতা আছে। যেমন, রামজাম, ফয়জাম, জিশান কিংবা কুরবান। নবাব সাহেবের নামোপমায় আমাদের পাড়ার বটুকদাস অত্যন্ত উল্লসিত হয়ে বলেছে, ‘‘আমাদের এই দাশবংশও কম নয়। কেননা এই বংশের পূর্বপুরুষরা হলেন কালিদাস, গোবিন্দদাস, জ্ঞানদাস এবং কাশীরাম দাসও।’’
আরও পড়ুন: গড়ে তুলি বাঙালির ‘জাতীয়’ বা ‘ন্যাশনাল’ ইতিহাস ও সংস্কারের উদ্যোগ
সম্প্রতি আবার ভোপালের জৈন সাধু মহারাজ নির্ভয় সাগরজি হনুমানকে জৈন বলে চিহ্নিত করেছেন। হনুমানের এই পরিচয় সঙ্কটে এতই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে যে, অন্যতর এক কৌশলী বিজেপি নেতা শুকসারীর দ্বন্দ্ব মিটিয়ে বলেছেন, হনুমান সবারই। বেশ বুঝতে পারি, মহাসঙ্কটে পড়েই যে হনুমানকে বিজেপি আপন একান্ত সম্পত্তি মনে করে, তাঁকে এই নেতা দলিত, জৈন কিংবা মুসলিমদের সম্পত্তি হতে দিতে চাননি। সবার নাম করে তিনি আসলে হনুমানকে আপন গৃহের রাজনীতিতে অধিষ্ঠিত করেছেন। যেন হনুমান শুধুই বিজেপির। আপনারা এক বার হনুমানকে আত্মসাৎ করেছেন, এক বার বিবেকানন্দের উদার বৈরাগ্যময় বিশাল হিন্দুত্বের মাথায় বিজেপির ‘টিপ’ পরিয়ে দিয়েছেন, পুনশ্চ, নেতাজির জাতীয়তাবোধকে আপন সঙ্কীর্ণতায় আবদ্ধ করার চেষ্টা করছেন।
আপনাদের ‘জাতীয়তাবাদ’, আপনাদের স্বকল্পিত ‘দেশাত্মবোধ’ এতটাই সঙ্কীর্ণ যে, উত্তর–ঔপনিবেশিক কালে সেটাকে দেশাত্মবোধ বলেও ভুল করা যায় না। আপনাদের জাতীয়তাবাদ মুসলিম লিগের বিপরীতে হিন্দু সম্মুত্থানের মতো। যদিও হিন্দু শব্দটাই ভারতীয় সংস্কৃতি বা ভারতীয় ভাষার জাতক নয়— রামায়ণ, মহাভারত বা মুখ্য পুরাণগুলি, সংস্কৃত কাব্য–নাটক, এমনকি এত এত ধর্মের বিধান দেওয়া স্মৃতিশাস্ত্র, কোথাও হিন্দু শব্দটা নেই।
কিন্তু যে ভাবেই হোক হিন্দু শব্দটা যদি সমগ্র ভারতীয়ের উপর চেপে গিয়ে থাকে, তো সেটাকেই এই ভারতবর্ষ আত্মীকৃত করেছে সাংস্কৃতিক অভিধায়। সেখানে ধর্ম আসে না, বিশেষত মুসলমানদের ধর্মের বিপরীতে হিন্দুধর্ম আসে না। নাকি একটি বিশেষণকে পরিণত করার জন্য গুরুত্ব, লঘুত্ব কিংবা মনুষ্যত্বের মতো ‘হিন্দুত্ব’ বলে একটি শব্দ তৈরি করলেই সেটা সর্বজনমান্য সর্বাশ্লেষী ভারতীয় জাতীয়তাবাদের সমতুল হয়ে ওঠে কি?
গুরুত্ব মানে যেমন গুরুর ভাব, লঘুত্ব মানে লঘুর ভাব, মনুষ্যত্ব মানে যেমন মনুষ্যের ভাব, তেমনই হিন্দুত্ব মানেও তো হিন্দুর ভাব? তা হলে হিন্দুর ভাবটা কী? এটা কি কোনও ভাবেই অখিল ভারতীয়ত্বের বোধ, নাকি একপ্রকার ধর্মবোধ— যেটা খাওয়া যায়, খাওয়ানোও যায়, আবার মাথায়ও দেওয়া যায়। উত্তর অবশ্যই ধর্মবোধ, যেটা এক শ্রেণির রাজনৈতিক গোষ্ঠীর কূটকৌশলে জাতি এবং জাতীয়তাবোধের ...একাত্মক করে ফেলা হয়েছে। এই ধর্মাত্মক জাতীয়তাবোধ একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের কপট নাট্যরঙ্গ, যা আবেগমুগ্ধ জনগণকে খাওয়ানো হচ্ছে এবং চাদের মাথায়ও ...হচ্ছে।
এঁদের উদারতার জায়গা যেটা, সেখানেও আছে প্রচ্ছন্ন নাটক এবং ইসলাম ধর্মের অনুকরণ এবং সেই জন্যই এই দলের জাতীয়তাবোধও আমার কাছে মুসলিম লিগের বিপ্রতীপে এক হিন্দু সংস্করণ মনে হয়। এই দলের গর্ভগৃহে যে ব্রাহ্মণ্য এবং উঁচু জাতের বীজ সুপ্ত এবং লুক্কায়িত আছে, সেটাকে আড়ালে রেখেই এঁরা উদার ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, হিন্দুধর্ম সবার এবং এই জন্য তাঁরা ধর্মান্তকরণের শুদ্ধিমন্ত্রও পাঠ করেন, ঠিক মুসলমান-খ্রিস্টানদের মতোই। তাতে আরও বুঝতে পারি যে, এঁদের রাজনীতিও মুসলমান-খ্রিস্টানদের মতোই একপ্রকার ধর্মান্তর প্রক্রিয়ার রাজনীতি। প্রকৃত জাতীয়তাবাদ, প্রকৃত হিন্দুত্ব এবং প্রকৃত দেশাত্মবোধ এখানে বর্জনীয়তা এবং exclusion-এর বিড়ম্বনার উপর নির্ভর করে দাঁড়িয়ে থাকে।
এটা ভয়ঙ্কর এক হন্তারক সময়, যেখানে জাতি, জাতীয়তাবাদ এবং সংস্কৃতি এক দল রাজনীতিকের ব্যক্তি ব্যবহারের যান্ত্রিকতায় পরিণত হয়েছে। এই সেই হন্যমান সময়, যেখানে ভারতবর্ষের মহান মনীষীরা রাজনীতিক ব্যবসায়িকদের হাতে পড়ে তাঁদের ভাবনা, মতো অন্য এক সঙ্কীর্ণতায় লোকসমক্ষে প্রত্যায়িত হচ্ছেন। সাধারণ মানুষ জাতীয়তাবাদও বোঝে না, মানবতাবাদও বোঝে না, তারা বিবেকানন্দের গভীর এবং প্রকৃত হিন্দুত্বও বোঝে না, রবীন্দ্রনাথের মানবতা আর নেতাজির দেশাত্মবোধ বোঝানো সুকুমারমতি বালককে মদ খাওয়ানোর মতো ব্যাপার হয়। মদের ঘোরে মাতাল বালক যেমন উত্তাল হয়ে ওঠে, সুশিক্ষার মোড়কে কুশিক্ষা এবং অপব্যাখ্যার প্রকোপে সাধারণ মানুষেরও তখন একই উত্তাল অবস্থা হয়— যেমনটা বিজেপি অনুগামীদের অবস্থা হচ্ছে। অথচ স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্ব না বুঝিয়ে তাঁরা তো জনগণকে স্বামীজির সরল কথা সরল ভাবেই সমস্ত সরল লোক এবং অনুগামীদের বোঝাতে পারতেন— যেমনটা স্বামীজি মহম্মদ সরফরাজ হোসেনকে চিঠি লিখে নিজেই বুঝিয়ে বলেছিলেন,
‘‘বেদান্তের মতবাদ যতই সূক্ষ্ম ও বিস্ময়কর হউক না কেন, কর্মপরিণত ইসলাম-ধর্মের সহায়তা ব্যতীত তাহা মানব সাধারণের অধিকাংশের নিকট সম্পূর্ণরূপে নিরর্থক। আমরা মানব জাতিকে সেই স্থানে লইয়া যাইতে চাই-যেখানে বেদও নাই, বাইবেলও নাই, কোরানও নাই অথচ বেদ, বাইবেল ও কোরানের সমন্বয় দ্বারাই ইহা করিতে হইবে। মানবকে শিখাইতে হইবে যে, সকল ধর্ম ‘একত্বরূপ সেই এক ধর্মে’রই বিবিধ প্রকাশ মাত্র, সুতরাং যাহার যেটি সর্বাপেক্ষা উপযোগী সেটিকেই বাছিয়া লইতে পারে।
আমাদের নিজেদের মাতৃভূমির পক্ষে হিন্দু ও মুসলমান ইসলামধর্মরূপ এই দুই মহান মতের সমন্বয়ই-বৈদান্তিক মস্তিষ্ক ও ইসলামীয় দেহ-একমাত্র আশা।’’
লেখক: গবেষক ও প্রাবন্ধিক
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy